Ganga Snan Vidhi: এক ডুবেই মেলে পুণ্য, কিন্তু মোক্ষ লাভ করতে গঙ্গায় স্নান করার সময় ভুলেও এই কাজ একেবারেই করবেন না
Mythology: হিন্দুদের বিশ্বাস অনুসারে, গঙ্গা নদীতে স্নান করলে যে কোনও মানুষের সমস্ত পাপ নাশ হয়। বিশ্বাস করা হয় যে গঙ্গার জল কখনও নষ্ট হয় না। গঙ্গা হেমাবতী, জাহ্নবী, মন্দাকিনী, অলকানন্দা, ত্রিপথগা ইত্যাদি নামেও পরিচিত।

হিন্দু ধর্মে কথিত আছে, মৃত্যুর পর যদি মৃত ব্যক্তির ভস্ম গঙ্গায় বিসর্জন না করা হয়, তাহলে সেই আত্মার মুক্তি মেলে না। আবার অনেকের মতে, গঙ্গার তীরে শেষকৃত্যে বিশ্বাসী। হিন্দু ধর্মে গঙ্গা নদীকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। গিরিরাজ হিমাল বুক চিরে পবিত্র ধামের পদধুলি ধুয়ে সমানে প্রবাহিত নদীর নামই গঙ্গা। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, গঙ্গা নদীকে মাতৃ রূপে দেখা হয়।গঙ্গোত্রী হল স্বর্গ ও মর্ত্যলোকের সন্ধিস্থল। ভাগিরথীর উত্পত্তিস্থল হল গঙ্গোত্রী। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, ষাট হাজার সন্তানের নশ্বর দেহে প্রাণ সঞ্চার করতে ভগীরথের তপস্যা বসেছিলেন সগর রাজা। কঠোর তপস্যা সন্তুষ্ট হয়ে মর্ত্যে আগমনের আশ্বাস দেন দেবী গঙ্গা। কিন্তু তার খরস্রোতে পৃথিবী ভেসে যেতে পারে বলে মনে করিয়ে দেন। সেই সময় মর্ত্যে গঙ্গাকে প্রবাহিত করতে নিজের জটায় ধারণ করার মত জানান মহাদিদেব। তারপর থেকেই মহাদেবের জটা থেকে প্রবাহিত হয়ে মর্ত্যে অবতীর্ণ করেন দেবী গঙ্গা।
হিন্দু ধর্মে গঙ্গাকে সবচেয়ে পবিত্র নদী হিসাবে বিবেচনা করা হয়। হিন্দুদের বিশ্বাস অনুসারে, গঙ্গা নদীতে স্নান করলে যে কোনও মানুষের সমস্ত পাপ নাশ হয়। বিশ্বাস করা হয় যে গঙ্গার জল কখনও নষ্ট হয় না। গঙ্গা হেমাবতী, জাহ্নবী, মন্দাকিনী, অলকানন্দা, ত্রিপথগা ইত্যাদি নামেও পরিচিত।
গঙ্গা স্নানের সঠিক পদ্ধতি
অমাবস্যা, পূর্ণিমা ও গঙ্গা দশেরার দিনে গঙ্গাস্নানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। গঙ্গায় স্নান করার সময় সত্য চিত্তে দেবী গঙ্গার ধ্যান করা উচিত। তারপর অর্ঘ্য, ধূপ, দীপ, নৈবেদ্য, তাম্বুল, শীতল জল, বস্ত্র, গহনা, মালা, চন্দন, আচমন ও সুন্দর শয্যা নিবেদন করা হয়। নিবেদন করা পর, হাত জোড় করে পাপ ও পুণ্যময় শ্লোক উচ্চারণ করে ভগবতী গঙ্গার স্তব পাঠ করা উচিত। হিন্দু ধর্ম অনুসারে, গঙ্গাস্নানের সময় এই মন্ত্রটি জপ করলে মানুষের সমস্ত পাপ নষ্ট হয়ে যায়।
গঙ্গা স্নানের সময় এই মন্ত্র উচ্চারণ করতে পারেন…
‘ওম নমো ভগবতী হিলি হিলি মিলি মিলি গঙ্গে মা পাভয় পাভয়ে স্বাহা’।।
এই ভুল কখনও করবেন না
গঙ্গায় স্নানের আগে স্বাভাবিক জল দিয়ে ভালো করে স্নান করুন। শুধুমাত্র গঙ্গা নদীতে ডুব দিন।
গঙ্গা নদীতে মানুষ কখনও অপবিত্র হন না। তাই স্নানের সময় হাত দিয়ে শরীর ঘষবেন না।
গঙ্গা স্নানের পর কাপড় দিয়ে শরীর মোছা উচিত নয়। নিজের গায়েই পানি শুকাতে দিন।
মৃত্যু বা জন্মের সূতকের সময়েও গঙ্গাস্নান করা নিয়ম। তবে ঋতুস্রাবের অবস্থায় মহিলাদের গঙ্গাস্নান করা উচিত নয়।
বাড়িতে স্নান করার ক্ষেত্রে, স্নানের জলে কয়েক ফোঁটা গঙ্গাজল বা অল্প পরিমাণে মিশিয়ে স্নান করতে পারেন।
