প্রেমানন্দ মহারাজের আদেশে বিরাট-অনুষ্কা পরলেন তুলসীর মালা! জানেন আপনি পরলে কি হবে?
কেবল পুজো-পার্বণেই নয়, তুলসী মালা পরার অভ্যেসও বহু যুগ ধরে চলে আসছে। বিশেষ করে বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। তবে জানেন কি, এই মালা ধারণের পেছনে কেবল ধর্মীয় বিশ্বাস নয়, লুকিয়ে আছে গভীর বৈজ্ঞানিক ও স্বাস্থ্যগত কারণও?

সনাতন ধর্মে তুলসী গাছকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। কিন্তু কেবল পুজো-পার্বণেই নয়, তুলসী মালা পরার অভ্যেসও বহু যুগ ধরে চলে আসছে। বিশেষ করে বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। তবে জানেন কি, এই মালা ধারণের পেছনে কেবল ধর্মীয় বিশ্বাস নয়, লুকিয়ে আছে গভীর বৈজ্ঞানিক ও স্বাস্থ্যগত কারণও?
মন ও শরীরের ওপর ইতিবাচক প্রভাব আয়ুর্বেদ শাস্ত্র এবং আধুনিক গবেষকদের মতে, তুলসী কাঠের সংস্পর্শে শরীরে এক ধরণের পজিটিভ এনার্জি বা ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার হয়। প্রতিবেদনে উঠে আসা প্রধান কয়েকটি উপকারিতা নিচে তুলে ধরা হলো:
মানসিক প্রশান্তি: তুলসী মালা পরলে মন শান্ত থাকে এবং মানসিক চাপ (Stress) অনেকটাই কমে। এটি স্নায়ুতন্ত্রকে শিথিল করতে সাহায্য করে।
একাগ্রতা বৃদ্ধি: মনে করা হয়, তুলসী মালা ধারণ করলে মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা বাড়ে। শিক্ষার্থীদের জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর।
শারীরিক সুস্থতা: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে তুলসী কাঠের স্পর্শ পরোক্ষভাবে সাহায্য করে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন।
নেতিবাচক শক্তি রোধ: ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, তুলসী মালা পরলে অশুভ দৃষ্টি বা নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকা যায়।
তুলসী মালা ধারণের নিয়মাবলী খবরের কাগজের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে যে, এই মালা পরার কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে যা মেনে চললে সুফল পাওয়া যায়:
শুদ্ধিকরণ: মালা পরার আগে সেটি গঙ্গার জলে ধুয়ে পবিত্র করে নেওয়া উচিত।
নিরামিষ আহার: যারা তুলসী মালা পরেন, তাদের সাধারণত সাত্ত্বিক বা নিরামিষ আহার গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয় বলে মনে করা হয়।
আচরণগত সংযম: এই মালা ধারণ করলে মিথ্যা কথা বা কটু বাক্য বলা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন শাস্ত্রজ্ঞরা।
জ্যোতিষবিদদের মতে, তুলসী মালার সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে বুধ ও বৃহস্পতি গ্রহের সঙ্গে। যার ফলে এটি পরলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং কেরিয়ারে শুভ ফল পাওয়া যায়। অন্যদিকে, গবেষকদের মতে তুলসী কাঠের ভেষজ গুণ ত্বক ও হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করতে সহায়ক। সব মিলিয়ে, তুলসী মালা কেবল একটি অলঙ্কার বা ভক্তির প্রতীক নয়; এটি একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল জীবনধারা গড়ে তোলার চাবিকাঠি।
