Ganesh Chaturthi 2023: বাড়িতে গণেশপুজো করার আগে করুন এই ‘বিশেষ’ কাজ, সমৃদ্ধি ও সাফল্য মিলবে রাতারাতি

Ganesh puja 2023: ভারতীয় সংস্কৃতিতে এই রীতি বহু যুগ ধরেই চলে আসছে।  বাড়িতে নতুন কোনও জিনিস কিনে বাড়িতে আনা হলে, প্রথমে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে, সিঁদুরও তেল মিশিয়ে স্বস্তিক প্রতীক তৈরি করার পরেই তা ব্যবহার করে থাকেন।

Ganesh Chaturthi 2023: বাড়িতে গণেশপুজো করার আগে করুন এই 'বিশেষ' কাজ, সমৃদ্ধি ও সাফল্য মিলবে রাতারাতি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 17, 2023 | 12:26 PM

সনাতন ধর্মে,  সব দেব-দেবীর আরাধনা করার আগেই গণেশ পুজো করা হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, গণেশ পুজো যে কোনও শুভ কাজ করার সময়েও পালন করা হয়। হিন্দু ধর্মে গণেশঠাকুরকে সিদ্ধিদাতা, বাচস্পতি, গণপতি বাপ্পা বলে অভিহিত করা হয়। ভক্তদের বিপদ থেকে রক্ষা করতে, বাধাবিঘ্নকারী হিসেবেও গণেশকে আরাধনা করা হয়। হিন্দু পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বরে পালিত হবে সিদ্ধিদাতার আরাধনা করা হয়। চলবে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

হিন্দু ধর্মে, যে কোনও শুভ কাজের শুরুতে, ভগবান গণেশকে প্রথমে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বিশেষ আচার-রীতি মেনে পুজোও করা হয়। গৃহপ্রবেশ, বাড়ি তৈরির আগে ভূমিপূজন, যানবাহন পুজো, বিয়ে হোক বা কোনও বিশেষ পুজোর সময়েও গণেশের পুজো করার প্রচলন রয়েছে। বিয়ের প্রথম আমন্ত্রণও দেওয়া হয় গণেশকে। তাই আমন্ত্রণপত্রের শীর্ষে একটি মন্ত্র লেখা হয়, বিঘ্ন হারান মঙ্গল করণ শ্রী গণপতি মহারাজ। সমস্ত দেবতার মধ্যে, গণেশজিই একমাত্র ঈশ্বর যিনি পুজোর প্রথম স্থান পেয়ে থাকেন। অধিকাংশ হিন্দু গণেশ পুজো প্রথমে না  নতুন জিনিস ব্যবহার শুরু করেন না। ভারতীয় সংস্কৃতিতে এই রীতি বহু যুগ ধরেই চলে আসছে।  বাড়িতে নতুন কোনও জিনিস কিনে বাড়িতে আনা হলে, প্রথমে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে, সিঁদুরও তেল মিশিয়ে স্বস্তিক প্রতীক তৈরি করার পরেই তা ব্যবহার করে থাকেন।

শুভকাজে বা পুজোকর্মে যেমন প্রথমে গণেশের আরাধনা করা হয়, তেমনি হিন্দুমতে শুভ কাজ শুরু করার আগে স্বস্তিক চিহ্ন তৈরি করা হয়। বিয়ের আমন্ত্রণপত্র, ব্যবসায়ীদের হালখাতা, সদর দরজার উপরে ও পুজোর থালিতে, ঘট-কলসে আঁকা স্বস্তিক চিহ্ন হল ভগবান শ্রী গণেশের প্রতীক। স্বস্তিক প্রতীক শুধু শুভকাজের প্রতীক হিসেবে নয়, বড় আচার বা যজ্ঞের সময়ের আগেও স্বস্তিক প্রতীক আঁকা হয়। এই প্রতীকটি কেবল শুভর প্রতীক নয়,  ইতিবাচক শক্তিও ঘরে বয়ে নিয়ে আসে।

স্বস্তিকাকে গণেশের প্রতীক 

স্বস্তিকা ভগবান শ্রী গণেশের প্রতীক বলে মনে করা হয়। মনে করা হয়, স্বস্তিকার চারটি হাতকে গণেশের চারটি বাহুর প্রতীক। স্বস্তিকার চারটি বিন্দু হল চারটি প্রচেষ্টার প্রতীক। ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ। বাহুর কাছের দুটি রেখা গণেশের দুই স্ত্রী- ঋদ্ধি ও সিদ্ধির প্রতীক। তাদের সামনের দুটি রেখা তাঁর দুই পুত্র যোগ ও ক্ষেমার প্রতীক। এই পবিত্র স্বস্তিক চিহ্নকে গণেশের গোটা পরিবারের প্রতীক বলে মনে করা হয়।