Dol Purnima 2022: দোলের দিন দেবীর বোধন! হুগলির শ্রীরামপুরে বিরল নজির ঘটনার কথা জানতে আগে?
Durga Puja 2022: দোলের দিন দেবী বোধন হয়, তারপর হয় ষষ্ঠী ও সপ্তমীর পুজো, তারপর মায়ের পায়ে আবির দিয়ে এলাকাবাসী মেতে ওঠে দোল খেলায়, দোলের পরের দিন হয় অষ্টমী।
দোলের দিন সত্যনারায়ণ পুজোর রীতি রয়েছে। কিন্তু দুর্গাপুজো! দোলের দিন থেকে দুর্গাপুজোর ব্যবধান অনেকটা। তবে রাজ্যে এমন শুভ দিনেও বিরল নজির ঘটনাও ঘটে। হুগলির শ্রীরামপুরের পঞ্চাননতলায় দোলের দিন থেকেই শুরু দুর্গাপুজো।
দোল পূর্ণিমার দিন থেকে দশভূজা পূজিতা হন মহিষমর্দিনী রূপেই। একা নন, চার ছেলেমেয়েকে নিয়েই মর্ত্যে নেমে আসেন। লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ, কার্তিক ছাড়াও পাশে থাকে জয়া ও বিজয়া, দুই সখীও। হুগলীর শ্রীরামপুরের দে পরিবারের এই পুজো দোলের দিন এক অন্য মাত্রা যোগ করে। অক্টোবরে যে দুর্গাপুজোয় বাঙালি মেতে উঠেন, তেমনভাবেই ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী নবমী, বিজয়া হিসেবে এই দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হয়। ভোগ রান্না থেকে পুজোর আয়োজন সবেতেই সামিল হোন এলাকার বাসিন্দারা। দোল উপলক্ষ্যে আবার বিরাট শোভাযাত্রাও বের করা হয়।
বসন্তের আগমনে দুর্গার বোধন কিন্তু নতুন নয়। বেশ প্রীচান এই পুজো। ২১৮ বছরের এই পুজোর আয়োজন করা হয় শ্রীরামপুরের টাউন ক্লাবে। এই পুজো শুধুমাত্র পারিবারিক পুজোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, বর্তমানে এই পুজো দে বাড়ির পাশাপাশি শ্রীরামপুরের সাধারণ মানুষেরও পুজো হয়ে উঠেছে।রীতি নিয়ম মেনে দোলের দিন পূজা হয় দেবী মায়ের।
দোলের দিন দেবী বোধন হয়, তারপর হয় ষষ্ঠী ও সপ্তমীর পুজো, তারপর মায়ের পায়ে আবির দিয়ে এলাকাবাসী মেতে ওঠে দোল খেলায়, দোলের পরের দিন হয় অষ্টমী। এদিন পুজো প্রাঙ্গণে মায়ের ভোগ খান, কোনও বাড়িতেই সেদিন রান্না হয় না। অষ্টমীর পরের দিন অর্থাৎ নবমীতে বলি দেওয়ার রেওয়াজ থাকলে বর্তমানে আইনের কারণে তা এখন আর হয়ে ওঠে না। নবমীতে পুজোর ভোগে সেদিন দেওয়া হয় মাছ। দশমীতে মহিলারা দেবীবরণ করে সিঁদুর খেলেন, রাতে শোভাযাত্রা বের হয়ে দেবীর প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Bhasma Holi 2022: এ এক অন্য হোলি! জ্বলন্ত চিতার ছাই দিয়ে অভিনব হোলি খেলার চল রয়েছে এখানে!