Vaastu Tips: বাড়িতে অশান্তি লেগেই আছে, মিটছে না দাম্পত্য কলহ? হতে পারে বাস্তুদোষ, এই কাজ করে দেখুন
Vaastu Dosh: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া, অথবা কাজকর্মে বারবার ব্যাঘাত ঘটে। শাস্ত্র অনুযায়ী, এর একটি বড় কারণ হতে পারে বাস্তুদোষ। বাস্তু কেবল স্থাপত্যের নিয়ম নয়, এটি প্রকৃতির শক্তি এবং দিকনির্দেশনার সঙ্গে জীবনের সামঞ্জস্য রক্ষা করার এক প্রাচীন পদ্ধতি।

মানুষের জীবনে সুখশান্তি বজায় রাখার জন্য সংসারের পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া, অথবা কাজকর্মে বারবার ব্যাঘাত ঘটে। শাস্ত্র অনুযায়ী, এর একটি বড় কারণ হতে পারে বাস্তুদোষ। বাস্তু কেবল স্থাপত্যের নিয়ম নয়, এটি প্রকৃতির শক্তি এবং দিকনির্দেশনার সঙ্গে জীবনের সামঞ্জস্য রক্ষা করার এক প্রাচীন পদ্ধতি। তাই সংসারে শান্তি ফিরিয়ে আনতে বাস্তুতে কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।
১. মূল প্রবেশদ্বার পরিষ্কার এবং আলোকিত রাখুন। ঘরের প্রবেশদ্বারকে ইতিবাচক শক্তির উৎস ধরা হয়। দরজা সবসময় পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল রাখা উচিত। সেখানে আলোর ব্যবস্থা থাকা দরকার। ময়লা, জঞ্জাল বা ভাঙাচোরা দরজা অশুভ শক্তি টেনে আনে, যা অশান্তির কারণ হতে পারে।
২. ঈশান কোণ অর্থাৎ উত্তর-পূর্ব কোণ খালি ও পবিত্র রাখুন। বাস্তু অনুসারে, উত্তর-পূর্ব দিক ঈশ্বরের স্থান। এই দিকটা সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। এখানে পুজোর ঘর বা ছোট্ট ধ্যানকক্ষ রাখা ভালো। ভারী জিনিস বা আবর্জনা রাখলে সংসারে কলহ ও অর্থহানি হতে পারে।
৩. শোবার ঘরের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। দম্পতির শোবার ঘর দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে হওয়া ভাল। এই দিক স্থায়িত্ব ও পারিবারিক বন্ধনকে শক্তিশালী করে। বিছানা উত্তর-দক্ষিণে না রেখে পূর্ব-পশ্চিমে রাখা শ্রেয়। ঘরে আয়না বিছানার মুখোমুখি না থাকাই ভালো, কারণ এটি মানসিক অশান্তি ও দাম্পত্য কলহ ডেকে আনে।
৪. রান্নাঘর বাস্তুমতে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে থাকা উচিত, কারণ এই দিকটি অগ্নিদেবতার স্থান। উনুন উত্তর-পূর্ব বা উত্তর দিকে রাখলে দাম্পত্য জীবনে অশান্তি বাড়তে পারে। রান্নাঘর ও শোবার ঘর পাশাপাশি থাকাও অশুভ।
৫. রঙ মানসিক শান্তি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শোবার ঘরে হালকা নীল, গোলাপি বা ক্রিম রঙ ব্যবহার করলে দাম্পত্য সম্পর্কে মাধুর্য বজায় থাকে। ড্রয়িং রুমে সবুজ বা হলুদ রঙ সমঝোতা ও আনন্দ আনে। খুব বেশি গাঢ় বা কালো রঙ এড়িয়ে চলা উচিত।
৬. অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলুন। বাড়িতে ভাঙা আসবাব, বন্ধ ঘড়ি, শুকনো ফুল বা অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জমিয়ে রাখা অশুভ। এগুলো নেতিবাচক শক্তিকে আকর্ষণ করে এবং পরিবারে অশান্তির জন্ম দেয়। তাই ঘর সর্বদা পরিপাটি করে গুছিয়ে রাখুন।
৭. বাড়ির প্রবেশদ্বারে শঙ্খ, স্বস্তিক, গণেশের ছবি বা উল্কা চিহ্ন লাগানো যেতে পারে। এগুলো ইতিবাচক শক্তিকে আহ্বান করে। ঘরে নকশি করা তুলসী গাছ, বেল গাছ বা মানিপ্ল্যান্ট রাখা শুভ বলে মনে করা হয়।
