নিম করোলি বাবা বলেন, এই তিন কারণেই টাকা জমে না, আপনিও কি এই ভুল করছেন?
আয়ের থেকে খরচ বেড়ে যায়। কেন উপার্জনের পরেও মনে শান্তি থাকে না? এই রহস্যের সমাধান দিয়েছেন নিম করোলি বাবা। তাঁর মতে, অর্থ কোনও মন্দ বস্তু নয়, কিন্তু এর পেছনে লুকিয়ে থাকা মানুষের উদ্দেশ্যই নির্ধারণ করে তা সুখ দেবে না কি দুঃখ।

বর্তমানের ইঁদুর দৌড়ের জীবনে মানুষের সবথেকে বড় চাহিদা হল অর্থ। কিন্তু এই অর্থই আবার অনেকের জীবনে অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কেননা অনেকেই টাকা ধরে রাখতে পারেন না? আয়ের থেকে খরচ বেড়ে যায়। কেন উপার্জনের পরেও মনে শান্তি থাকে না? এই রহস্যের সমাধান দিয়েছেন নিম করোলি বাবা। তাঁর মতে, অর্থ কোনও মন্দ বস্তু নয়, কিন্তু এর পেছনে লুকিয়ে থাকা মানুষের উদ্দেশ্যই নির্ধারণ করে তা সুখ দেবে না কি দুঃখ।
বাবা নিম করোলি বিশ্বাস করতেন যে উপার্জন হতে হবে সততা, পরিশ্রম এবং সৎ কর্মের মাধ্যমে। তিনি বলতেন, অসৎ পথে আসা অর্থ যেমন দ্রুত আসে, তেমনই দ্রুত বিনাশের পথ প্রশস্ত করে। শুধুমাত্র সৎ পথে অর্জিত অর্থই মানুষের জীবনে স্থিরতা আনে এবং পরিবারে সুখ ও ভারসাম্য বজায় রাখে।
১) অত্যধিক সুখ এবং ভোগ-বিলাসের ইচ্ছা মানুষকে ভুল পথে চালিত করে। বাবার ভাষায়, যখন প্রয়োজন ছাপিয়ে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা জাগে, তখনই তা লোভে পরিণত হয়। এই লোভই মানুষকে আসলে ‘দরিদ্র’ করে তোলে। কারণ, যার মনে সন্তোষ বা তৃপ্তি নেই, সে অফুরন্ত সম্পদের মালিক হলেও মনের দিক থেকে সর্বদাই রিক্ত থাকে। সন্তোষহীন মন কখনোই ধনাঢ্য হতে পারে না।
২) নিম করোলি বাবা বলতেন, একজন লোভি মানুষ সর্বদা ভয় এবং উদ্বেগের মধ্যে বাস করে। সবসময় সম্পদ হারানোর ভয় তার পিছু ছাড়ে না। এই ভয়ের কারণেই সে ভুল সিদ্ধান্ত নেয় এবং পরিণামে বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। লোভ মানুষের বিবেক ও বিচারবুদ্ধি কেড়ে নেয়, ফলে সে ন্যায় ও অন্যায়ের পার্থক্য ভুলে যায়।
৩) বাবার মতে, জোচ্চুরি বা অসততার মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ সাময়িকভাবে প্রাচুর্য দেখালেও তা কখনও দীর্ঘস্থায়ী হয় না। এমন অর্থ সাথে করে নিয়ে আসে কঠিন ব্যাধি, মানসিক অস্থিরতা এবং পারিবারিক কলহ। বাহ্যিকভাবে তাকে ধনী মনে হলেও, অন্তরালে সেই অর্থ কেবল অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
নিম করোলি বাবার শিক্ষা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, অর্থ কেবল ভোগ করার বস্তু নয়, বরং তা সমাজ ও মানুষের মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করা উচিত। দান এবং সঠিক কর্মে ব্যয়িত অর্থই প্রকৃত অর্থে বৃদ্ধি পায়। মনের তৃপ্তি এবং সৎ জীবনযাপনই হলো আসল ঐশ্বর্য।
