Ganesh Chaturthi 2023 Bhog: ঘরে থাকবেন টানা ১০দিন, দুরাবস্থা কাটাতে গণেশ চতুর্থীতে নিবেদন করুন এই ‘দশভোগ’
Lord Ganesh: হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পালিত হবে অনন্ত চতুর্দশী। এই ১০দিনে সকালে ও সন্ধ্যেয় ভগবান গণেশের আরতি করুন। পুজো করার পাশাপাশি নয়া খাবার সুস্বাদু খাবার নিবেদন করতে পারেন তাতে সিদ্ধিদাতা খুব প্রসন্ন হন।
হিন্দু পঞ্চাঙ্গ মতে, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর সারা ভারত জুড়ে পালিত হবে গণপতি বাপ্পার আরাধনা। টানা ১০দিন ধরে অত্যন্ত আড়ম্বরের সঙ্গে গণেশের পুজো করার প্রচলন রয়েছে। কথিত আছে যে গণপতির প্রিয় খাবার মিষ্টি। তাই মোদক, লাডডু-সহ বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার নিবেদন করা হয় এদিন। মনের সব ইচ্ছে পূরণের জন্য টানা ১০দিন ধরে কোন কোন ভোগ নিবেদন করতে পারবেন, তাতে শুভ ফল পাবেন, তা জেনে রাখা প্রয়োজন।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পালিত হবে অনন্ত চতুর্দশী। এই ১০দিনে সকালে ও সন্ধ্যেয় ভগবান গণেশের আরতি করুন। পুজো করার পাশাপাশি নয়া খাবার সুস্বাদু খাবার নিবেদন করতে পারেন তাতে সিদ্ধিদাতা খুব প্রসন্ন হন। প্রথম দিন থেকে শেষদিন পর্যন্ত কোন কোন ভোগ নিবেদন করতে পারবেন, তা জেনে নিন…
– মোদক গণপতির প্রিয় খাবার। দেবী পার্বতী প্রতিদিন গণেশের জন্য মোদক তৈরি করতেন। সেই অনুসারে গণেশ পুজোর প্রথম দিন মোদক নিবেদন করা হয়। তবে দ্বিতীয় দিনে গণপতিকে বেসনের লাড্ডু পরিবেশন করার নিয়ম রয়েছে
– তৃতীয় দিনে গৌরীর পুত্র গণেশকে মতিচুর লাড্ডু নিবেদন করুন। তাতে প্রেমের সম্পর্ক আরও গাঢ় হবে, একে অপরের প্রতি ভালোবাসা থাকবে চিরতরে। এই ভোগ নিবেদন করলে জীবনসঙ্গীও পাবেন মনের মতো।
– যদি বিবাহে পর পর বাধা আসতেই থাকে, তাহলে চতুর্থ দিনে গণেশকে ক্ষীরের মালপোয়া নিবেদন করতে পারেন। বিশ্বাস করা হয় যে গণপতির আশীর্বাদে ঘরে শীঘ্রই বিয়ের সানাই বাজতে পারে।
– পঞ্চম দিনে গজাননকে সুজির পায়েস ভোগ হিসেবে নিবেদন করতে পারেন। এই ভোদ নৈবেদ্য দিলে খুব তাড়াতাড়ি শত্রুদের বিনাস করা সম্ভব হয়।
– ষষ্ঠ দিনে গজানন জিকে সুজির পুডিং নিবেদন করুন। কথিত আছে যে শত্রুরা এই ভোগ নিবেদনের ফলে বিনাস হবে দ্রুত।
– সপ্তম তিথিতে বাপ্পার পুজোয় নারকেলের নাড়ু বা নারকেলের তৈরি কোনও খাবার তৈরি করে নিবেদন করতে পারেন। গণপতির প্রতীকও মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় এই ভোগ নিবেদনের ফলে কখনও ঘরে নেতিবাচক শক্তি ধেয়ে আসতে পারে না।
– অষ্টম দিনে গ্রহের দোষ বা অশুভ কারণে অগ্রগতি বন্ধ হয়ে গেলে অষ্টমীর দিন গণেশকে পঞ্চামৃত অর্পণ করুন। তাতে সমস্ত বাধা বিপত্তি কেটে যেতে পারে।
– নবমী তিথিতে গজানন পুজোয় মাখন বা ঘিয়ের তৈরি ক্ষীর ভোগ হিসেবে নিবেদন করতে পারেন। তাতে ধনলক্ষ্মী প্রসন্ন হয়ে আশীর্বাদ বর্ষণ করতে পারেন। বাড়িতে কখনও অন্ন ও অর্থের অভাব ঘটে না।
– অনন্ত চতুর্দশীতে সকালে গণেশের বন্দনা করা উচিত। বিসর্জনের আগে কলার প্রসাদ নিবেদন করুন। এই ভোগ সকলের মধ্যে প্রসাদ হিসেবে বিলি করতে পারেন। তাতে সমস্ত দোষ-ত্রুটি কেটে যেতে পারে।