AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Friday Special: এগিয়ে আসছে দুর্গা পুজো, সব সঙ্কট কাটাতে জপ করুন দুর্গা চালিশা

Durga Chalisa: জ্যোতিষশাস্ত্রে পুজোর জন্য ব্রাহ্ম মুহুর্তকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। সূর্যোদয়ের আগের ঠিক নির্দিষ্ট সময়কে বলা হয় ব্রহ্ম মুহুর্ত। এ দিনে সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে মাতৃদেবীর বন্দনা করা উচিত। এরপর দেবী দুর্গার পুজোর জন্য ধূপ, প্রদীপ, নৈবেদ্য, ফল,  ফুল নিবেদন করতে পারেন।

Friday Special: এগিয়ে আসছে দুর্গা পুজো, সব সঙ্কট কাটাতে জপ করুন দুর্গা চালিশা
| Edited By: | Updated on: Sep 15, 2023 | 5:44 PM
Share

দুর্গা চালিশা হল দেবী মামায়ার প্রতি মোট ৪০ শ্লোকের প্রার্থনা। এই শ্লোকের মাধ্যমে দেবী দুর্গার কীর্তি, গুণ ও মাহাত্ম্যের প্রশংসা করা হয়েছে। হিন্দুদের মধ্যে দেবী দুর্গার মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব অনেক বেশি। নারীশক্তির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিদিন দুর্গা চালিশা পাঠ করেন। তাই নয়দিন ধরে নবরাত্রির উপবাস পালন করার জন্য সারা বছর পালন করে থাকেন। নবমীর দিন অত্যন্ত ভক্তিভরে নবরাত্রি পালন করা হয়। কথিত আছে যে ভক্তি সহকারে দুর্গা চালিশা পাঠ করলে মানসিক শান্তি, আত্মবিশ্বাস, সাহস, শত্রুদেরকে হারিয়ে সাফল্য অর্জন করতে ও আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই মহামায়ার কৃপা পেতে রোজ দুর্গা চালি্শা জপ করতে পারেন। এও বলা হয়, দেবী দুর্গা ভক্তদের সর্বশক্তি দিয়ে রক্ষা করেন, দুষ্টদের দমন করেন। আর দেবী দুর্গাকে তুষ্ট করতে চান, তাহলে প্রতি শুক্রবার দুর্গা চালিশা পাঠ করা উচিত।

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে মহামায়ার কৃপায় ভক্তদের সমস্ত ইচ্ছাপূরণ হয়। যদি দুর্গার আশীর্বাদ পেতে চান তাহলে প্রতি শুক্রবার পুজোর সময় দূর্গা চালিশা পাঠ করচে পারেন।

দুর্গা চালিশা

নমো নমো দুর্গে সুখ করনী । নমো নমো অম্বে দুঃখ হরনী ॥

নিরঙ্কার হৈ জ্যোতি তুম্হারী । তিহূং লোক ফৈলী উজিয়ারী ॥

শশি লিলাট মুখ মহা বিশালা । নেত্র লাল ভৃকুটী বিকরালা ॥

রূপ মাতু কো অধিক সুহাবে । দরশ করত জন অতি সুখ পাবে ॥

তুম সংসার শক্তি লয় কীনা । পালন হেতু অন্ন ধন দীনা ॥

অন্নপূরনা হুঈ জগ পালা । তুম হী আদি সুন্দরী বালা ॥

প্র্লয়কাল সব নাশন হারী । তুম গৌরী শিব শঙ্কর প্যারী ॥

শিব যোগী তুমরে গুণ গাবেং । ব্রহ্মা বিষ্ণু তুম্হেং নিত ধ্যাবেং ॥

রূপ সরস্বতী কো তুম ধারা । দে সুবুদ্ধি ঋষি মুনিন উবারা ॥

ধরয়ো রূপ নরসিংহ কো অম্বা । প্রগট ভঈ ফাড় কর খম্বা ॥

রক্ষা করি প্রহলাদ বচায়ো । হিরণাকুশ কো স্বর্গ পঠায়ো ॥

লক্ষ্মী রূপ ধরা জগ মাহীং । শ্রী নারায়ণ অঙ্গ সমাহী ॥

ক্ষীরসিন্ধু মেং করত বিলাসা । দয়া সিন্ধু দীজৈ মন আসা ॥

হিঙ্গলাজ মেং তুম্হীং ভবানী । মহিমা অমিত ন জাত বখানী ॥

মাতঙ্গী অরু ধূমাবতি মাতা । ভুবনেশ্বরী বগলা সুখদাতা ॥

শ্রী ভৈরব তারা জগ তারিণি । ছিন্ন ভাল ভব দুঃখ নিবারিণি ॥

কেহরী বাহন সোহ ভবানী । লাঙ্গুর বীর চলত অগবানী ॥

কর মেং খপ্পর খড্গ বিরাজে । জাকো দেখ কাল ডর ভাজে ॥

সোহে অস্ত্র ঔর ত্রিশূলা । জাতে উঠত শত্রু হিয় শূলা ॥

নগর কোটি মেং তুম্হীং বিরাজত । তিহূং লোক মেং ডঙ্কা বাজত ॥

শুম্ভ নিশুম্ভ দানব তুম মারে । রক্ত বীজ শঙ্খন সংহারে ॥

মহিষাসুর নৃপ অতি অভিমানী । জেহি অধ ভার মহী অকুলানী ॥

রূপ করাল কালিকা ধারা । সেন সহিত তুম তিহি সংহারা ॥

পরী গাঢ় সন্তন পর জব জব । ভঈ সহায় মাতু তুম তব তব ॥

অমরপুরী অরু বাসব লোকা । তব মহিমা সব রহে অশোকা ॥

জ্বালা মেং হৈ জ্যোতি তুম্হারী । তুম্হেং সদা পূজেং নর নারী ॥

প্রেম ভক্তি সে জো যশ গাবে । দুঃখ দারিদ্র নিকট নহিং আবে ॥

ধ্যাবে তুম্হেং জো নর মন লাঈ । জন্ম-মরণ তাকৌ ছুটি জাঈ ॥

জোগী সুর মুনি কহত পুকারী । যোগ ন হো বিন শক্তি তুম্হারী ॥

শঙ্কর আচারজ তপ কীনো । কাম অরু ক্রোধ জীতি সব লীনো ॥

নিশিদিন ধ্যান ধরো শঙ্কর কো । কাহু কাল নহিং সুমিরো তুমকো ॥

শক্তি রূপ কো মরম ন পায়ো । শক্তি গঈ তব মন পছতায়ো ॥

শরণাগত হুঈ কীর্তি বখানী । জয় জয় জয় জগদম্ব ভবানী ॥

ভঈ প্রসন্ন আদি জগদম্বা । দঈ শক্তি নহিং কীন বিলম্বা ॥

মোকো মাত কষ্ট অতি ঘেরো । তুম বিন কৌন হরে দুঃখ মেরো ॥

আশা তৃষ্ণা নিপট সতাবৈ । মোহ মদাদিক সব বিনশাবৈ ॥

শত্রু নাশ কীজৈ মহারানী । সুমিরোং ইকচিত তুম্হেং ভবানী ॥

করো কৃপা হে মাত দয়ালা । ঋদ্ধি-সিদ্ধি দে করহু নিহালা ॥

জব লগী জিয়ৌ দয়া ফল পাঊং । তুম্হারো যশ মৈং সদা সুনাঊং ॥

দুর্গা চালীসা জো জন গাবে । সব সুখ ভোগ পরমপদ পাবে ॥

দেবীদাস শরণ নিজ জানী । করহু কৃপা জগদম্ব ভবানী ॥

শ্রী দুর্গামাতা কী জয় ॥

ইথি শ্রী শ্রীদুর্গা চালীসা ||

কীভাবে দেবী দুর্গা চালিসা পাঠ করবেন

জ্যোতিষশাস্ত্রে পুজোর জন্য ব্রাহ্ম মুহুর্তকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। সূর্যোদয়ের আগের ঠিক নির্দিষ্ট সময়কে বলা হয় ব্রহ্ম মুহুর্ত। এ দিনে সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে মাতৃদেবীর বন্দনা করা উচিত। এরপর দেবী দুর্গার পুজোর জন্য ধূপ, প্রদীপ, নৈবেদ্য, ফল,  ফুল নিবেদন করতে পারেন। কথিত আছে, দেবী ভগবতী লাল ফুল খুব পছন্দ করেন। তাই দুর্গাকে লাল রঙের ফুল নিবেদন করুন। এছাড়াও, দেবীকে নিবেদন করা জিনিসগুলিও লাল রঙের হওয়া উচিত। পুজোর সময় প্রথমে দেবী দুর্গাকে জল নিবেদন করুন। তারপর জামাকাপড়, টিপ, লাল সিঁদুর ইত্যাদি নিবেদন করুন। এরপরেই দুর্গা চালিশা পাঠ করা উচিত। তারপর দুর্গা আরতি করে পুজোর সময় ওম শ্রী দুর্গায় নমঃ মন্ত্র জপ করুন। এই মন্ত্র জপ অত্যন্ত ফলদায়ক বলে মনে করা হয়।