Radha Ashtami 2023: কৃষ্ণের জন্মদিন পালন তো করলেন, রাধাষ্টমী কবে?
Date and Time: সনাতন ধর্মে উদয় তারিখ বৈধ। তাই রাধাঅষ্টমী উপবাস পালিত হবে ২৩ সেপ্টেম্বর। হিন্দু ও বৈষ্ণব ধর্ম মতে, ২৩ সেপ্টেম্বর উপবাস করে রাধারানীর পুজো করে সুদিন ফিরবে তাড়াতাড়ি।
শ্রীকৃষ্ণের অধিশ্বরী রাধারাণীও ভক্তদের কাছে সমান পুজো পেয়ে থাকেন। কৃষ্ণের পাশে সবসময় বিরাজমান রাধা। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথি ২২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টা ৩৫ মিনিট শুরু হবে। পরের দিন অর্থাৎ ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটে শেষ হবে। সনাতন ধর্মে উদয় তারিখ বৈধ। তাই রাধাঅষ্টমী উপবাস পালিত হবে ২৩ সেপ্টেম্বর। হিন্দু ও বৈষ্ণব ধর্ম মতে, ২৩ সেপ্টেম্বর উপবাস করে রাধারানীর পুজো করে সুদিন ফিরবে তাড়াতাড়ি।
প্রতি বছর ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রাধা অষ্টমী পালিত হয়। চলতি বছরে রাধা অষ্টমী পালিত হবে ২৩ সেপ্টেম্বর। জন্মাষ্টমীর মতো এ দিনে রাধারানীর জন্মোৎসব পালিত হয়। এজন্য রাধারানীর শহর বারসানে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এই বিশেষ ও শুভ দিনে রাধারানী ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পুজো করা হয়। এর পাশাপাশি মনোবাসনা পূরণের জন্যও উপবাস রাখা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস যে রাধার আরাধনা করলে ভক্তদের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। সেই সঙ্গে আয়, বয়স ও ভাগ্যের অপার বৃদ্ধি পায়। ধর্মীয় শাস্ত্রে বলা রয়েছে, যে রাধারানীর পুজো ছাড়া ভগবান কৃষ্ণের ভক্তি অসম্পূর্ণ। কথিত আছে যে রাধে-রাধে মন্ত্র জপ করলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অসীম আশীর্বাদ ভক্তদের উপর বর্ষিত হয়।
উপাসনার পদ্ধতি
ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে ব্রহ্মসময়ে ঘুম থেকে উঠে রাধারানীকে প্রণাম করে দিন শুরু করুন। প্রতিদিনের কাজ শেষ করে গঙ্গাজলে স্নান ও ধ্যান করুন। হাতের কাছে গঙ্গা না থাকলে জলের মধ্যে গঙ্গাজল মিশিয়ে স্নান করতে পারেন। তাতে কোনও অসুবিধা নেই। পুজো করার আগে হাতের তালুতে জল রেখে মাথায় জল ছিটিয়ে নিন। এতে তিনবার হাতের তালুতে রাখা জল নিন। আচমনের সময় ‘ওম কেশবায় নমঃ ওম নরানায় নমঃ ওম মাধবায় নমঃ ওম হৃষীকেশে নমঃ’ মন্ত্রটি জপ করুন। এবার বুড়ো আঙুল দিয়ে মুখ মুছে নিন। এরপরে ‘ওম গোবিন্দায় নমঃ’ মন্ত্র পাঠ করে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। এবার নতুন ও পরিষ্কার পোশাক পরতে হবে। সূর্যদেবকে জল অর্পণ করুন। এরপর পুজোর ঘরে সুন্দর ও পরিষ্কার কাপড় বিছিয়ে রাধাকৃষ্ণের মূর্তি স্থাপন করুন। এবার পঞ্চোপচার করে রাধারানী ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বন্দনা করতে হবে। এসময় রাধা চালিসা পাঠ করুন। শেষে রাধারানীর আরতি করুন , সুখ, সমৃদ্ধি ও বংশবৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করুন। মনের বাসনা পূরণ করার প্রার্থনা কররতে পারেন। এদিন সারাদিন উপবাস রেখে পুজোকর্ম করতে পারেন। সন্ধ্যায় আরতি করার পর আশীর্বাদ চেয়ে পুজো করতে পারেন। পরদিন পূজা করে উপবাস ভঙ্গ করুন।