অবশেষে শেষ হচ্ছে ১৮ বছরের রাহুর মহাদশা। জ্যোতিষবিদরা জানাচ্ছেন, রাহুর মহাদশার শেষ আসন্ন, এক ঝড়ের রাতের পরে, ভোর বেলা রাহু ছেড়ে শুরু হবে বৃহস্পতির মহাদশা। কী কী হতে চলেছে এই পরিবর্তনের সময়? আপনার জীবনেই বা কী হতে পারে?
রাহু সর্বদাই আমাদের মধ্যে বিভ্রম এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি করে, যা আমাদের নানা অপ্রত্যাশিত অভিজ্ঞতার দিকেও ঠেলে দেয় অনেক সময়। রাহুর মহাদশার চলাকালীন জীবনে নানা অনভিপ্রেত অভিজ্ঞতা হয়। যা আমাদের জীবনে নানা চ্যালেঞ্জের এমনকি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেয়। যা আমাদের বাস্তব সম্পর্কে বহু কঠিন সত্য শেখায়।
উল্টোদিকে বৃহস্পতি আবার দেবগুরু হিসাবে পরিচিত। বৃহস্পতি গ্রহের চারিত্রিক গুণ তাই ভিন্ন ভিন্ন। জ্ঞান, উদারতার প্রতীক বৃহস্পতি। জানেন রাহু থেকে বৃহস্পতিতে মহাদশার পরিবর্তন ঘটলে কী কী হতে পারে?
রাহু আমাদের নানা অজানা, অনভিজ্ঞ প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেয়। তবে বৃহস্পতি ঠিক তার উল্টো। আপনার জীবনে স্থিরতা আনে, জীবন সম্পর্কে আরও সম্যক ধারণা গড়ে তোলে। আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটে। মন এবং আত্মার মধ্যে এক আধ্যাত্মিক সম্পর্ক ঘটে।
আপেক্ষিক বস্তুর প্রতি মোহ, প্রেম কমে আসে। বদলে সত্যি সম্পদের প্রতি ব্যাক্তির ঝোঁক বাড়ে। মানুষ পড়াশোনা, আধ্যাত্মিকতা, নিজের সম্পর্কগুলির প্রতি বেশি যত্নশীল হয়ে ওঠে। যা জীবনে অন্যরকম মানে খুঁজে দেয়।
বৃহস্পতি জীবনে প্রাচুর্য এবং আশার আলো জাগিয়ে তোলে। বহুদিন ধরে জীবনে যদি আর্থিক অনটন থেকে থাকে তবে সেই সমস্যার সমাধান হতে পারে। ক্যারিয়ারে উন্নতির সম্ভাবনা, ব্যাক্তিগত জীবনে সুখ খুঁজে পাওয়া বৃহস্পতির মহাদশার অন্যতম লক্ষণ।
রাহুর মহাদশার অন্যতম বড় লক্ষণ সম্পর্কের অবনতি এমনকি ভেঙে যাওয়া। যা আমাদের মনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে তবে এরপরেই বৃহস্পতির মহাদশা শুরু হওয়ায়, সেই পুরনো ক্ষত সারিয়ে নিজেকে আরও শক্ত করে তুলতে সাহায্য করে। সেলফ মোটিভেশন বাড়ে। জীবনে ব্যালেন্স আসে।
রাহুর মহাদশা আমাদের এমন পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দেয় যার উপর সচরাচর আমাদের খুব একটা নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তবে বৃহস্পতির মহাদশা ঠিক বিপরীত। আস্তে আস্তে জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ে, বিকাশ ঘটে, এমনকি উন্নতির সুযোগ আসে।