Bonedi Barir Durga Puja: কোথাও পোড়া ল্যাটা মাছ, কোথাও আবার মিঠাই! কলকাতার বনেদি বাড়ির ভোগেও আছে নানা চমক

Bonedi Barir Durga Puja: কেবল রীতি নীতি নয়, ভোগেও থাকে নানা বিশেষত্ব। কোন বনেদি বাড়ির পুজোয় কী ভোগ নিবেদন করা হয়?

Bonedi Barir Durga Puja: কোথাও পোড়া ল্যাটা মাছ, কোথাও আবার মিঠাই! কলকাতার বনেদি বাড়ির ভোগেও আছে নানা চমক
Follow Us:
| Updated on: Oct 03, 2024 | 3:18 PM

কলকাতার বনেদি বাড়িগুলির দুর্গাপুজোয় রয়েছে একেক ধরনের চল। নানা নিয়ম রীতি নীতিতে অনন্য এই সব পুজোগুলি। কেবল পুজোকে ঘিরে সেই সব বনেদিয়ানা দেখলে কপালে ওঠে চোখ। কেবল রীতি নীতি নয়, ভোগেও থাকে নানা বিশেষত্ব। কোন বনেদি বাড়ির পুজোয় কী ভোগ নিবেদন করা হয়?

সাবর্ণ রায়চৌধুরীর বাড়ির ভোগ – আজকের দক্ষিণ কলকাতায় বাস জমিদার সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের। কলকাতার গোড়াপত্তনের আগে থেকেই শুরু হয়েছিল দুর্গাপুজো। এখন মোট আট শরিকদের বাড়িতে দুর্গাপুজো হয় প্রতি বছর। সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের বাড়ির পুজোয় মাকে আমিষ ভোগ নিবেদন করার চল রয়েছে। সেই প্রথা চলছে আজও।

সাদা ভাত, পোলাও, পাঁচ রকমের ভাজা, মাছ, চাটনি, পায়েস থাকে আরও অনেক কিছু। দশমীর দিন নিবেদন করা হয় পান্তা ভাত, কচু শাক, চালতার চাটনি, কই মাছের ঝাল, খেসাড়ির ডাল। আবার সন্ধি পুজোতে ১০৮ পদ্ম ফুলের সঙ্গেই নিবেদন করা হয় পোড়া ল্যাটা মাছ। এছাড়াও এই পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল পশু এবং অপদেবতাদের জন্যও মাটির খুঁড়িতে মাষকলাই ঘি নিবেদন করার প্রথা। মহাভোগে থাকে ঘি ভাত, বাসন্তী পোলাও, খিচুরি, ভাজা, নানা ধরনের মাছ আরও অনেক কিছু।

এই খবরটিও পড়ুন

শোভাবাজার রাজবাড়ির ভিয়েন ঘর।

শোভাবাজার রাজবাড়ির ভোগ – কলকাতার প্রথম দুর্গাপুজোর শুরু শোভাবাজারের দেব পরিবারের হাত ধরেই। রাজা নবকৃষ্ণ প্রতিষ্ঠা করেন শোভাবাজার রাজাবাটীর। তাঁর হাতেই শুরু দুর্গাপুজোর।

শোভবাজার রাজবাড়ির ভোগে অন্ন ভোগ নিবেদন করার কোনও প্রথা নেই। বরং তার বদলে বাড়ির মেয়ে উমাকে ভোগ হিসাবে নিবেদন করা হয় বাড়িতেই তৈরি মিঠাই। পুজোর পাঁচ দিন এবং লক্ষ্মী পুজো ভিয়েন বসে রাজবাড়িতে। গজা, চৌকো গজা, জিবে গজা, পান্তুয়া, খাস্তা কচুরি, সিঙারা, জিলিপি, নিমকি, রাধাবল্লভী ভোগ হিসাবে নিবেদন করা হয় দেবীকে। আজও সেই পুরোনো প্রথা মেনেই ভিয়েন বসিয়ে প্রস্তুত করা হয় মায়ের ভোগ। ১৭৫৭ সাল থেকে বংশ পরম্পরায় মিঠাই প্রস্তুতকারকরা পুজোর সময় এসে থাকেন রাজবাড়িতে। তারাই তৈরি করেন মিঠাই।

ছাতু বাবু-লাটু বাবুর বাড়ির ভোগ – ১৭৮০ সালে বিডন স্ট্রীট নিবাসী ঈশ্বর রাম দুলাল দের হাত ধরে শুরু এই দুর্গা পুজোর। তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর দুই পুত্র আশুতোষ বা ছাতু বাবু ও প্রমথ বা লাটু বাবুর আমলে বেড়ে ওঠে এই পুজোর রমরমা। এই বাড়িতে মায়ের সঙ্গে আসেন তাঁর দুই সখী জয়া ও বিজয়া।

এঁদের বাড়ির পুজোয় ভোগ হিসাবে মাকে নিবেদন করা হয় লুচি। সঙ্গে থাকে নানা ধরনের ভাজা, তবে সেই সব কিন্তু তেলে নয়, ঘিয়ে ভাজা হয়। আবার মায়ের ভোগে রান্নায় নুন দেওয়ার চল নেই এই পুজোয়। নৈবেদ্যতে আছে চমক। চাল, ফল, মিষ্টির সঙ্গে দই থাকাটা কিন্তু বাধ্যতামূলক। অতিথিদের জন্য থাকে এলাহী ভোগের আয়োজন, রাধাবল্লভী, ছানার ডালনা, ধোকার ডালনা, স্টাফ ক্যাপশিকাম, ফুলকপির তরকারি, মিষ্টি দই, দরবেশ, লেডিকেনি।