কলকাতা: শুক্রবার সকাল সকাল ধুন্ধুমার মোহনবাগান ক্লাবে। অতর্কিতে সবুজ-মেরুন শিবিরে হানা দিল সেনাবাহিনী। বেআইনি পাকা নির্মাণ ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, ক্লাব ও মাঠ আশেপাশে লাগানো বেশ কিছু হোর্ডিং, ব্যানারও ভেঙে দেওয়া হয়। এমন ঘটনার পর মোহনবাগান কর্তারা অবশ্য নীরব। কেউই সরকারি ভাবে মুখ খুলতে চাইছেন না। সেনার ‘অপারেশন’এ যে ক্লাবের ব্যবসায়িক স্বার্থে আঘাত লেগেছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কেন হঠাৎ মোহনবাগানের অতর্কিতে হানা চালাল সেনা?
ময়দানের কোনও ক্লাবই সেনার অনুমতি ছাড়া কোনও ভাবেই স্থায়ী নির্মাণ করতে পারে না। দুই বড় ক্লাব তো বটেই, ময়দানের ছোট ক্লাবগুলোতেও নিয়মিত পরিদর্শন চালায় সেনা। অক্টোবরের ১ থেকে ১৫ তারিখ ময়দান চলে যায় সেনার দখলে। ওই সময় সব ক্লাবের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হয়। অনুমতি ছাড়়া কোনও নির্মাণ হলে তা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। কয়েক দিন আগেই মোহনবাগান ঘটা করে গ্যালারির তলায় একটি মার্চেন্ডাইজ কিয়স্ক উদ্বোধন করেছিল। সেখান থেকেই বিক্রি শুরু হয় ক্লাবের লোগো লাগানো নানা জিনিস। ওই স্থায়ী কিয়স্ক নির্মাণের ক্ষেত্রে সেনার অনুমতি নেওয়া হয়নি। তা জানার পরই বাগানে হানা দেয় সেনা। ভেঙে গুড়িয়ে দেয় অস্থায়ী নির্মাণ। এতেই শেষ নয়, ক্লাবের ইতিউতি লাগানো অধিকাংশ হোডিং, ব্যানারও ভেঙে-ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। ক্লাব সংস্কারের কাজ চলছিল এদিন সকালে। তাও থামিয়ে দেওয়া হয়। ক্লাবের কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কর্তারাও দেরি করেননি। সেনার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরাও। তাতেও অবশ্য কিয়স্ক ভাঙা থামানো যায়নি।
সেনা আয়োজিত ডুরান্ড কাপে নিয়মিত খেলে তিন প্রধান। সেনাকে তুষ্ট রাখতেই এই টুর্নামেন্টে খেলা। অতীতেও অনুমতি ছাড়া নির্মাণ সেনা তদারকিতে ভেঙে ফেলা হয়েছে। ক্লাব চত্ত্বরে কোনও কিছু নির্মাণ করতে হলে সেনার অনুমতি নিতে চিঠি পাঠাতে হয়। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও অনেক সময় তা মেলে না। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ক্লাবগুলোর। কিন্তু কিছু করার থাকে না। এ দিনের সেনা হানার পর মোহনবাগান কার্যত নীরব। যোগাযোগ করা হলেও ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্ত এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।