‘টয়লেটে যেতে চাই’, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অভিনব ঘটনা
কারও যদি বারবার প্রস্রাব পায়, তিনি কী করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরের খোঁজ চলছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে!
মেলবোর্ন: কারও যদি বারবার প্রস্রাব পায়, তিনি কী করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরের খোঁজ চলছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে (Australian Open)!
টেনিসের নিয়ম যদি বলতে হয়, তা হলে যে কোনও টুর্নামেন্টে তিন সেটের ম্যাচের জন্য একবার টয়লেট-ব্রেক পাওয়া যায়। আর পাঁচ সেটের ম্যাচ হলে দু’বার। তার পরও ডেনিস শাপোভালোভের (Denis Shapovalov) মতো কারও যদি বারবার প্রস্রাব পায়?
আরও পড়ুন: প্রথম রাউন্ডেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে বিদায় সুমিত নাগালের
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে কানাডিয়ান টেনিস প্লেয়ারকে পড়তে হল এমনই পরিস্থিতির মুখে। বিশ্বের ১১ নম্বর তারকার খেলা ছিল ইতালিয়ান টেনিস প্লেয়ার জানিক সিনারের সঙ্গে। চার ঘণ্টার পাঁচ সেটের ম্যাচ ৩-৬, ৬-৩, ৬-২, ৪-৬, ৬-৪ জিতেছেন ডেনিস। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু ম্যাচ চলাকালীন ডেনিসের ‘টয়লেট যেতে চাই’ নিয়েই হইচই পড়ে গিয়েছে।
২১ বছরের ডেনিস ম্যাচের মাঝে আম্পায়ারকে বলেন, ‘আমাকে একবার টয়লেট ব্রেক দেওয়া হোক।’ কিন্তু জার্মান আম্পায়ার নিকো হেলওয়ার্থ সেই দাবি নাকচ করে দেন। ক্ষুব্ধ ডেনিস তখন পাল্টা বলেন, ‘আপনার অনুমতি ছাড়াই যদি টয়লেট চলে যাই, কী হবে? ফাইন করবেন? করুন, তাকে কিছু যায় আসে না! আপনি না ছাড়লে আমি হয়তো প্যান্টেই করে ফেলব।’
আরও পড়ুন: সিংহের ভিডিয়ো পোস্ট করে বিতর্কে জাদেজা
টেনিসে যখন লম্বা ম্যাচ হয়, তখন অনেক সময় আম্পায়ার টয়লেট ব্রেক দেন। যাতে প্লেয়ারের পক্ষে ম্যাচটা খেলতে অসুবিধা না হয়। তার কারণ, ডিহাইড্রেশন যাতে না হয়, তার জন্য সারা ম্যাচ জুড়ে প্লেয়াররা বারবার জল পান করেন। ডেনিস আর জানিসের ম্যাচের সময়ও তাই ঘটেছিল।
ম্যাচের পর ডেনিস বলেছেন, ‘নিয়মটা বদলাতে হবে। একটা বাজে নিয়ম। অন্তত আমার কাছে তো বটেই। আমার মূত্রথলি খুব ছোট। সেই কারণে প্রতিটা সেটের পর আমাকে টয়লেটে ছুটতে হয়। ম্যাচ যখন বড় হয়, আমার পক্ষে ব্যাপারটা আরও কঠিন হয়ে ওঠে।’