ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের নতুন মরসুমে হার্দিক পান্ডিয়া ঠিক কোন পরিস্থিতিতে! পজিটিভ নাকি নেগেটিভ। গত কয়েক সপ্তাহ নেতিবাচক দিকটাই বেশি মনে হচ্ছিল। ধীরে ধীরে সমর্থকদের মন জয় করছেন ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া। আইপিএল কেরিয়ার শুরু হয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে। মাঝে দু-বছর গুজরাট টাইটান্সে খেলেছেন। অভিষেক মরসুমেই সেই টিমকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। গত মরসুমে রানার্স। এ বার মুম্বইয়ে ফিরেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর ভাষায়, ঘরে ফিরেছেন। কিন্তু রোহিত শর্মাকে সরিয়ে হার্দিককে অধিনায়ক করা মুম্বই সমর্থকরা মেনে নিতে পারেননি। সেই অস্বস্তিটা এখন অনেকটা কমছে। আইপিএলে হার্দিকের সফর, বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে হার্দিক পান্ডিয়ার উত্থান মুম্বই ইন্ডিয়ান্সেই। সেই ২০১৫ সালে। এরপর টানা সাত মরসুম খেলেছেন এই দলের হয়েই। শুরুতেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি মুম্বইয়ের এক্স ফ্যাক্টর। মুম্বইয়ের পরপর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন হার্দিক। আইপিএলের বড় মঞ্চে তাঁর শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। ঠিক যেন তাঁর জন্যই মঞ্চটা গড়া হয়েছিল। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচ। শেষ দু-ওভারে মুম্বইয়ের চাই ৩০ রান। এরপর!
ক্রিজে প্রবেশ হার্দিক পান্ডিয়ার। চার বলের মধ্যে তিনটি বিশাল ছয়। হারের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন মুম্বইয়ের এই অলরাউন্ডার। সেই ম্যাচে ৮ বলে ২১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। পরবর্তী সাত বছর মুম্বইয়ের এক্স ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ান। প্রয়োজনে বোলিং ওপেন করেছেন, স্লগ ওভারেও। ব্যাটিংয়ে আস্কিং রেট আকাশছোঁয়া হলেও ভরসা ছিলেন হার্দিক। বড় মঞ্চে জ্বলে ওঠার যোগ্যতা শুরু থেকেই।
আইপিএলে টিম বাড়ানো হয় ২০২২ সালে। নতুন দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে যোগ দেয় লখনউ সুপার জায়ান্ট ও গুজরাট টাইটান্স। নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাট চাইটান্সে যোগ দেন হার্দিক। অধিনায়ক এবং প্লেয়ার দুই ভূমিকাতেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। এ মরসুমেও তাঁকে রিটেইন করেছিল গুজরাট টাইটান্স। ট্রেডিংয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে যোগ দেন। এ বার তাঁর লড়াই শুধু প্রতিপক্ষর সঙ্গে নয়, নিজের সঙ্গেও। সমর্থকদের ভালোবাসাও জিততে হবে হার্দিককে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি মিলিয়ে ১২৩ ম্যাচ খেলেছেন হার্দিক। ৩০-র উপর গড়ে ২৩০৯ রান করেছেন। স্ট্রাইকরেট ১৪৫-এর বেশি। ১০টি হাফসেঞ্চুরি। ক্যামিও ইনিংস খেলতেই বেশি দেখা যায়। বোলিংয়েও একই রকম ধার। ৫৩ উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচে সেরা পারফরম্যান্স ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট। ইকোনমি ৮.৮০।