T20 World Cup: আসিফের ব্যাটে বিশ্বকাপে জয়ের হ্যাটট্রিক পাকিস্তানের

TV9 Bangla Digital | Edited By: Prantik Deb

Oct 29, 2021 | 11:43 PM

টি-২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup) গ্রুপ পর্বে এখনও দুটি ম্যাচ বাকি পাকিস্তানের (Pakistan)। নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলা বাকি বাবর আজমের (Babar Azam) দলের। ক্রিকেট মহলের মতে বিশ্বকাপের ফেভারিট পাকিস্তান।

T20 World Cup: আসিফের ব্যাটে বিশ্বকাপে জয়ের হ্যাটট্রিক পাকিস্তানের
আসিফ আলির ব্যাটের ঝলকে মাত ক্রিকেট বিশ্ব। সৌ: টুইটার

Follow Us

দুবাই: টানটান একটা ম্যাচ। টি-২০ বিশ্বকাপে (T20 World Cup) প্রথম অঘটন ঘটানোর সুযোগটা হাতছাড়া করল আফগানিস্তান ( Afghanistan)। প্রথমে ব্যাটিং করে ২০ ওভারে ১৪৭ রান। বল হাতে পাকিস্তানকে (Pakistan) ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েও জয় তুলে নিতে ব্যর্থ মহম্মদ নবিরা। টি-২০ বিশ্বকাপে জয়ের হ্যাটট্রিক করে সেমিফাইনালের টিকিটটাও কার্যত পাকা করে ফেলল বাবর অজমের (Babar Azam) দল। শেষ ১২ বলে পাকিস্তানের ম্যাচ জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৪ রানের। তুমুল চাপে দল। তখনই আসরে নামলেন নিউজিল্যান্ড ম্যাচের নায়ক আসিফ আলি (Asif Ali)। জন্নতের এক ওভারে চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জিতে নিলেন। প্রথম জয়ের খুব কাছে এসেও শেষটা করতে পারল না অফগানিস্তান। তিন ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে বাবর অজমের দল। নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ বাকি তাদের। সেই দুটি ম্যাচ কার্যত নিয়মরক্ষার। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই পাকিস্তান দলটা শুধু গ্রুপ পর্বই নয়, এবারের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার। অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের এক দুরন্ত মিশেল। যারা গোটা ক্রিকেট বিশ্বকা অবাক করতে জানে।

 

 

টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। সিদ্ধান্তে কিছুটা চমক ছিলই। কারণ শিশির ফ্যাক্টর মাথায় রেখে এবারের বিশ্বকাপে সব দলকেই প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যাচ্ছে। আফগান অধিনায়ক মহম্মদ নবি যা ভেবেছিলেন হল তার উল্টো। স্কোর বোর্ডে ৬৪ রান তুলতে না তুলতেই ৫ উইকেট হারায় তারা। নাজিবুল্লার ২২ রান ছাড়া বাকিরা আযার রাম আর গয়া রাম। যখন মনে হচ্ছিল ১০০ রান বোর্ডে তোলা দুস্কর, তখনই হাল ধরলেন অধিনায়ক মহম্মদ নবি। অভিজ্ঞ গুলাবদিনকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেলেন দলের ইনিংস। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান বোর্ডে তুলে ফেলল আফগানিস্তান। নবি ও গুলাবদিন দুজনই অপরাজিত থাকলেন ৩৫ রানে। জোড়া উইকেটা পাক স্পিনার ইমাদ ওয়াসিমের।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রিজওয়ানের উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর ফকর জমান কে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস টানেন অধিনায়ক বাবর। ফকর আউট হওয়ার পর সামান্যা কাঁপুনি ধরে পাক ইনিংসে। রশিদ খান তাঁর ১০০ তম টি-২০ উইকেট হিসেবে তুলে নেন অভিজ্ঞ মহম্মদ হাফিজকে। ক্রিজে আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। আক্সিং রানরেট তখন প্রায় ৯। পাল্টা মারের রাস্তায় হাঁটলেন শোয়েব। উল্টো দিকে রশিদের বলে বাবর অজমের ক্যাচ ছাড়লেন নবিনউল হক। তবে রশিদকে থামানো গেল না। ওই ওভারেই পাক অধিনায়ককে বোল্ড করে প্যাভেলিয়ানে পাঠালেন তিনি। ক্রিজে এলেন আগের ম্যাচের হিরো আসিফ আলি। ১৮ তম ওভারে দুরন্ত বল করে ক্যাচ মিসের পাপ খন্ডন করলেন নবিনউল হক। শোয়েব মালিককে ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি দিলেন মাত্র ২ রান দিলেন ওভারে। পাকিস্তানের দিকে ঢলে পরা ম্যাচ তখন পঞ্চাশ পঞ্চাশ। কিন্তু এই পরিস্থিতির চাপটা নিতে পারলেন না জন্নত। গুরুত্বপূর্ণ ১৯ তম ওভারে তাঁকে চারটি ছক্কা মেরে ম্যাচ নিয়ে গেলেন পাকিস্তানের আসিফ আলি।

 

 

আসিফ আলি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও ম্যাচ জিতিয়েছিলেন শোয়েব মালিকে পাশে থেকে। কিন্তু এদিন তাঁর পাশে অভিজ্ঞ শোয়েবও ছিল না। কিন্তু এত চাপের মধ্যেও এমন ঠাণ্ডা মাথায় এক ওভারে চারটি ছয়! টি-২০ ক্রিকেটে তারকা হয়ে ওঠার সব গুনই আছে এই ক্রিকেটারের। মত ক্রিকেট মহলের। ম্যাচের সেরাও তিনি। অনেকে বলছেন এই ফর্ম ধরে রাখলে প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্টের ট্রফিটাও আসিফের হাতে দেখা যেতে পারে।

 

আরও পড়ুন : নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকেই মাঠে ফিরছে দর্শক

 

Next Article