AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ashes Series: বাটলার লড়লেন, তবুও অ্যাডিলেডে গোলাপি বল টেস্টে হার রুটের ইংল্যান্ডের

পঞ্চম দিন কোনও ব্যাটারকে থিতু হতে দিতে চাইছিল না অজিরা। কিন্তু, রীতিমতো লড়লেন ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার-ব্যাটার জস বাটলার। ক্রিজ কামড়ে এক্কেবারে পড়ে থাকা যাকে বলে, সেই ছবিটাই দেখা গেল গোলাপি বল টেস্টের শেষ দিন। তবুও শেষরক্ষা হল না। ২-০ এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।

Ashes Series: বাটলার লড়লেন, তবুও অ্যাডিলেডে গোলাপি বল টেস্টে হার রুটের ইংল্যান্ডের
Ashes Series: বাটলার লড়লেন, তবুও অ্যাডিলেডে গোলাপি বল টেস্টে হার রুটের ইংল্যান্ডের
| Edited By: | Updated on: Dec 20, 2021 | 4:35 PM
Share

অস্ট্রেলিয়া ৪৭৩-৯ (ডিঃ) ও ২৩০-৯ (ডিঃ) ইংল্যান্ড ২৩৬ ও ১৯২ ২৭৫ রানে জয়ী অস্ট্রেলিয়া

অ্যাডিলেড: অ্যাসেজ সিরিজটা (Ashes Series) মোটেও ভালো কাটছে না জো রুটের (Joe Root) ইংল্যান্ডের (England)। গাব্বাতে প্রথম টেস্টে হারের পর অ্যাডিলেডেও একই দশা। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের পরই আন্দাজ করছিল ক্রিকেট মহল সিরিজে ২-০ এগিয়ে যাওয়ার পথে পা বাড়িয়ে রেখেছে স্টিভ স্মিথের অস্ট্রেলিয়া (Australia)। অ্যাডিলেড টেস্টের শেষ দিনে অজিদের প্রয়োজন ছিল ৬টা উইকেট। আর বাটলারদের দরকার ছিল ৩৮৬ রান। শেষমেশ দিন-রাতের টেস্টের পঞ্চম দিনে ২৭৫ রানে রুটব্রিগেডকে হারিয়ে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অজিরা।

পাহাড়প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে লড়ে গেলেন জস বাটলার (Jos Buttler)। কিন্তু সেই লড়াই কাজে এল না। ক্রিস ওকসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টানছিলেন বাটলার। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। এক ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে বসলেন ঝাই রিচার্ডসন। ইংলিশ ব্যাটাররা স্টার্ক-রিচার্ডসনদের সামলাতেই পারলেন না। অ্যাডিলেড টেস্ট শুরুর আগে কোভিডবিধিতে ছিটকে যান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ক্যাপ্টেন্সির দায়িত্ব এসে পড়ে সহ-অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের ওপর। বল বিকৃতি কাণ্ডে ক্যাপ্টেন্সি যাওয়ার পর অ্যাডিলেডে ফের অজি নেতার দায়িত্বে দেখা গেল স্টিভ স্মিথকে। দীর্ঘদিন পর অধিনায়কের ব্যাটন হাতে নিয়ে পেলেন জয়।

চতুর্থ দিনের শেষবেলার ক্যাপ্টেন রুটের উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ফলে পঞ্চম দিন কোনও ব্যাটারকে থিতু হতে দিতে চাইছিল না অজিরা। কিন্তু, রীতিমতো লড়লেন ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার-ব্যাটার জস বাটলার। ক্রিজ কামড়ে এক্কেবারে পড়ে থাকা যাকে বলে, সেই ছবিটাই দেখা গেল গোলাপি বল টেস্টের শেষ দিন। ২০৭টা বল খেললেন, করলেন ২৬ রান। পঞ্চম দিনের শুরুতেই অলি পোপকে ফেরান স্টার্ক। মাত্র ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন পোপ। ৭৭ বল খেললেও বেন স্টোকসের ব্যাট জ্বলে ওঠেনি। ১২ রান করে নাথান লিঁয়র শিকার হল স্টোকস। এরপর ক্রিজে আসেন ক্রিস ওকস। তাঁর সঙ্গে জুটিতে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন বাটলার। এই জুটি ১৯০ বল খেলে ৬১ রান যোগ করে স্কোরবোর্ডে। বাটলার ধরে খেললেও ওকসের ব্যাট থেকে বেশ কয়েকটা বড় শট দেখা গিয়েছিল। কিন্তু ৪৪ রানের মাথায় ঝাই রিচার্ডসনের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওকস। অ্যাডিলেডে আজ যেন অন্য বাটলারকে দেখা গেল। কোথায় সেই আক্রমনাত্মক ভঙ্গি? মন্থর গতিতে এগোচ্ছিলেন তিনি। তবে রিচার্ডসনের বলে হিট উইকেট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বাটলার। তিনি ফেরার পর আর কোনও ব্যাটার সেরকম রান তুলতে পারেননি। ১৯২ রানে আটকে যায় ইংল্যান্ড।

ম্যাচের শেষে অস্ট্রেলিয়ার অস্থায়ী অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ বললেন, “আমি নার্ভাস ছিলাম না। আমি মনে করি জস খুব ভালো খেলেছে এবং ২০০-র ওপর বল খেলছিল ও ফলে, ক্রিস ওকস ও রোবো (অলি রবিনসন) সঙ্গে ভালো প্রতিরোধ গড়েছিল ও। আমরা শান্ত থাকতে চেয়েছিলাম, কারণ জয়ের জন্য কয়েকটা ভালো বল ও কয়েকটা উইকেট প্রয়োজন ছিল। আমি অধিনায়কত্বটা উপভোগ করেছি এবং ছেলেরা ভালো খেলেছে এবং প্রথম দিনের পর থেকে গেমে নিয়ন্ত্রন করেছে। ডেভি (ডেভিড ওয়ার্নার) এবং মার্নাসের জুটিটা জমাট ছিল, তাই আমরা বেশি করে গেমে নিয়ন্ত্রন ধরে রাখতে পেরেছিলাম।”

বোলারদের প্রশংসা করতে ভোলেননি স্মিথ। তিনি বলেন, “স্টার্কের কথা বিশেষ উল্লেখ করতেই হয়। ও লম্বা সময় ধরে বল করেছে এবং ভীষণ ভালো ভাবে বোলিং পরিচালনা করেছে। ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করার জন্য ক্যামেরন গ্রিনের বোলিং না করাই শ্রেয় ছিল বলা হচ্ছিল। কারণ, আজ ওর বল করার কথা ছিল না। কিন্তু আমাদের আজ ওকে দরকার ছিল, এবং ও কিন্তু যথেষ্ট ভালো করেছে।”