Pakistan Cricket: পাকিস্তান ক্রিকেট টিমে ‘রিলেটিভ কোটা’, তালিকায় শ্বশুর-জামাই থেকে কাকা-ভাইপো
টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ব্যর্থতার পর অনেকেই সরব পাক ক্রিকেট টিমে রিলেটিভ কোটা নিয়ে। এমনটাও তাও আবার হয় নাকি? খোঁজ পড়েছে তা নিয়ে। অবশ্য যে-সে দল নয়, পাকিস্তান ক্রিকেট (Pakistan Cricket) টিমের দিকে এই বিষয় নিয়ে আঙুল তুলছেন অনেকেই।
কলকাতা: কোটা… আরও ভালো করে বললে সংরক্ষিত, এই তালিকা বিভিন্ন জায়গায় থাকে। বাসে লেডিজ় সিট, প্রতিবন্ধীদের সিট, সিনিয়র সিটিজেনও সিট থাকে। এই দৃশ্য কমবেশি সকলেই দেখে থাকেন। চাকরির ক্ষেত্রে স্পোর্টস কোটা, ওবিসি কোটাও থাকে। কিন্তু তা বলে ক্রিকেট টিমে রিলেটিভ কোটা! তাও আবার আছে নাকি? খোঁজ পড়েছে। যে-সে দল নয়, পাকিস্তান ক্রিকেট (Pakistan Cricket) টিমের দিকে এই বিষয় নিয়ে আঙুল তুলছেন অনেকেই।
রিলেটিভ কোটা কেন বলা হচ্ছে? আসলে পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের পরিবারের কেউ না কেউ তাঁদের দেশের হয়ে খেলেছেন। এ বারের টি-২০ বিশ্বকাপে খেলতে দেখা গিয়েছিল আজম খানকে। এক সময় রব উঠেছিল তিনি প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারের ছেলে বলে এত ভারী চেহারা সত্ত্বেও পাক টিমে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। এমন রিলেটিভ কোটা কোনও দেশের ক্রিকেট টিমেই হওয়া কাম্য নয়। ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সই হল তাঁদের মাপার মাপকাঠি।
এক ঝলকে দেখে নিন পাক ক্রিকেট টিমে এখনও অবধি কয়েকটি রিলেটিভ জুটি—
- শাহিদ আফ্রিদি ও শাহিন আফ্রিদি – এই দুই আফ্রিদি পাক ক্রিকেট টিমের বেশ জনপ্রিয় ক্রিকেটার। শাহিদ এখন প্রাক্তন ক্রিকেটার। আর শাহিন এখন জাতীয় দলে খেলেন। দুই আফ্রিদি হল শ্বশুর-জামাইয়ের জুটি।
- বাবর আজম ও আকমল ভাইরা – পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন বাবর আজমের তুতো দাদা হলেন উমর আকমল ও কামরান আকমল।
- ইনজামাম উল হক ও ইমাম উল হল – পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার ইনজামাম উল হকের ভাইপো হলেন ইমাম উল হক।
- মইন খান ও আজম খান – পাক ক্রিকেটে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় থাকা ক্রিকেটার আজম খান। তাঁর বাবা হলেন প্রাক্তন পাকিস্তানি ক্রিকেটার মইন খান।
- জাভেদ মিয়াদাঁদ ও ফয়সল ইকবাল – পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াদাঁদের আত্মীয়ও পাক ক্রিকেট টিমে খেলেন। তাঁর ভাইপো হলেন ফয়সল ইকবাল।