একদিন, ফল যা কিছু হতে পারে। কানপুরে বাংলাদেশ বোলারদের ‘গজব’ বেইজ্জতি! বলাই যায়। ইংল্যান্ডের বাজ়বলও এত ভয়ঙ্কর নয়। যেটা বাংলাদেশ বোলাররা টের পেলেন। চেন্নাই টেস্ট জিতে সিরিজে ১-০ এগিয়ে রয়েছে ভারত। লক্ষ্য ফুল পয়েন্ট। কিন্তু ভারতের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল কানপুরের আবহাওয়া। ম্যাচের প্রথম দিন মাত্র ৩৫ ওভার খেলা হয়েছিল। দ্বিতীয় দিন বৃষ্টিতে এক বলও না। তৃতীয় দিন বৃষ্টি হয়নি। তবে মাঠ ভেজা থাকার কারণে দিনের খেলা পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। চতুর্থ দিনও নানা আশা-আশঙ্কা ছিল। অবশেষে খেলা হল। তা খুবই ভয়ঙ্কর খেলা। শেষ দিন তিন রাস্তাই যেন খোলা আছে।
বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৩৩ রানেই অলআউট করেছে ভারত। জসপ্রীত বুমরা ৩ উইকেট নিয়েছে। এ ছাড়া আকাশ দীপ, মহম্মদ সিরাজ ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। জাডেজার ঝুলিতে মাইলফলকের একটি উইকেট। কিন্তু এরপর যা হল, নিজের চোখকেই যেন কেউ বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। ইনিংসের প্রথম ওভারেই তিনটি বাউন্ডারি মারেন যশস্বী জয়সওয়াল। রোহিত শর্মা নিজের ইনিংস শুরু করেন পরপর দুটো ছয় মেরে। সেখান থেকেই পরিষ্কার বার্তা দিয়ে রেখেছিল ভারত। ৩৪.৪ ওভারে ২৮৫-৯ স্কোরে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেন রোহিত শর্মা। ৫২ রানের লিড।
অফিসিয়ালি দিনের খেলার তখনও ১৯ ওভার বাকি। ভারতের টার্গেট ছিল এই সময়ের মধ্যে অন্তত ৪ উইকেট। যদিও ১৯ ওভার খেলা হয়নি। ১১ ওভারে খেলা হয়েছে। এর মধ্যেই ভারতের ঝুলিতে ২ উইকেট। ওপেনার জাকির হাসানের উইকেটের নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে পাঠানো হয় হাসান মাহমুদকে। যদিও ৯ বলের বেশি স্থায়ী হয়নি তাঁর ইনিংস। সব কিছু ঠিক থাকলে উইকেট সংখ্যা ৩ হতে পারত। স্লিপে লোকেশ রাহুলের হাত থেকে একটি ক্যাচ ফসকায়। ১১ ওভারে ২৬ রানে ২ উইকেটে চতুর্থ দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।
ভারতের কাছে এখনও ২৬ রানের লিড। শেষ দিন যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশকে অলআউট করে রান তাড়া করে জেতা এবং ফুল পয়েন্টেই লক্ষ্য ভারতের। এই ম্যাচ জিতলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবলে শীর্ষস্থান আরও মজবুত হবে ভারতের। তবে বাংলাদেশ যদি ২০০ প্লাস টার্গেট দেয় এবং বাংলাদেশের তিন স্পিনার যদি পাল্টা চাপে ফেলে ভারতকে! এই ম্যাচে ভারতের জয়, ড্রয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের জয়েরও কিন্তু রাস্তা কিছুটা হলেও খোলা রয়েছে।