কলকাতা: বাংলাদেশে থেকে কি মেয়েদের বিশ্বকাপ (Women’s T20 World Cup) সরছে? সে দিকেই ক্রমশ গড়াচ্ছে পরিস্থিত। বলা যেতে পারে, বাংলাদেশই চাইছে না মেয়েদের বিশ্বকাপ আয়োজন করতে। ঘটনা পরম্পরা অন্তত তাই বলছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই সারা দেশে চরম ডামাডোল চলছে। সেনা হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস। তাতেও দেশের হাল ফেরানো যায়নি। অনেকেই বলছেন, সময় লাগবে। কিন্তু বাংলাদেশের হাতে যে সময় নেই! আগামী মাসেই মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আয়োজক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ তা সাফল্যের সঙ্গে আয়োজন করতে পারবে কিনা, সংশয় রয়েছে। বিশ্বকাপ আয়োজন করার জন্য সেনা সাহায্যও চাওয়া হয়েছে। তাতেও জট ছাড়ছে, এমন বলা যাচ্ছে না। বরং আরও জটিল হয়ে যাচ্ছে পরিস্থিতি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান পদত্যাগ করতে চাইছেন। তাতেই পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে চলে গিয়েছে বোর্ডের। নাজমুল ক্রিকেটমহলে পাপন নামে পরিচিত। তিনি আওয়ামি লিগের ঘনিষ্ঠ। হাসিনা দেশ ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও যে ক’জন দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে পাপনও রয়েছেন। তিনি এই মুহূর্তে রয়েছে লন্ডনে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর পাপনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলা হয়েছে। জটিল পরিস্থিতিতে পাপন জানিয়েছেন, তিনি নতুন সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করতে চান। আর তাই বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছেন। যাতে নতুন সরকার ক্রিকেট বোর্ডের রদবদল করতে পারে।
পাপন সরে দাঁড়ালেও কি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারবে বাংলাদেশ? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের মুখ রক্ষার জন্য বিশ্বকাপ হাতছাড়া করতে চাইছে না। যে কারণে সব রকম ভাবে আঁকড়ে ধরতে চাইছে মেগা ইভেন্ট। যাতে দেশকে মূলস্রোতে ফেরানো যায়। কিন্তু আইসিসি অচেনা বাংলাদেশ সম্পর্কে কতটা আস্থাশীল বা ভরসা রাখতে পারবে, তা কিন্তু জোর দিয়ে বলা মুশকিল। বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে এগোচ্ছে আপাতত। তবে প্রয়োজন হলে শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপ সরাতে দ্বিধা করবে না তারা। যে কারণে আমিরশাহিকে তৈরি থাকতে হলা হয়েছে।