বরাবরই তিনি আলোচনার কেন্দ্রে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আরও বেশি। ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি থেকে ব্যাটার বিরাট কোহলি। অস্ট্রেলিয়া বরাবরই তাঁর ভয়ঙ্কর রূপ দেখেছে। কিন্তু এ বারের বিরাট কোহলি যেন একেবারেই আলাদা। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে খেলেননি। তবে দেশের মাটিতে শেষ দুটি সিরিজ অর্থাৎ বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলেছেন। সব মিলিয়ে শেষ পাঁচ টেস্টে মাত্র একটি হাফসেঞ্চুরি। নিউজিল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে ক্লিনসুইপ হওয়ার অন্যতম কারণ ভারতের ব্যাটিং ব্যর্থতা। এমন পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ায় বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি।
আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন। ২২ নভেম্বর শুরু ভারত-অস্ট্রেলিয়া পাঁচ ম্যাচের সিরিজ। অজি শিবির বরাবরই সমীহ করে চলে বিরাট কোহলিকে। কিন্তু নেট হোক বা প্র্যাক্টিস ম্যাচ, বিরাটকে সেই চেনা ছন্দে দেখা যাচ্ছে না। পারথ টেস্টের প্রস্তুতির লক্ষ্যে নিজেদের মধ্যে তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে ভারত। টিমের সঙ্গে রয়েছেন এ দলের খেলোয়াড়রাও। ভারতীয় ব্যাটাররা অবশ্য অস্বস্তিতে কাটালেন। হতাশ করলেন কিং কোহলিও।
কিছুদিন থেকেই শোনা যাচ্ছিল, বিরাট কোহলির চোট রয়েছে। সদ্য তিনি স্ক্যানও করিয়েছেন। যদিও প্র্যাক্টিস ম্যাচে তাঁর ব্যাটিংয়ের শুরুটা দেখে ফিটনেস নিয়ে আশ্বস্ত হওয়া গিয়েছে। দুর্দান্ত দুটি কভার ড্রাইভও খেলেন। দেখে মনে হচ্ছিল, বড় ইনিংস আসছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে খেলার সময় একটা কথা বারবার বলা হয়ে থাকে, এখানে ব্যাটাররা কখনও ‘সেট’ নয়। প্রতি ডেলিভারিতেই আশঙ্কা থাকে। সেটাই হল। ব্যক্তিগত ১৫ রানে মুকেশ কুমারের বোলিংয়ে সেকেন্ড স্লিপে ক্যাচ, আউট বিরাট কোহলি। এরপরই প্র্যাক্টিস নেটে চলে যান বিরাট কোহলি। প্রায় আধঘণ্টা নেটে ব্যাটিং প্র্যাক্টিস সারেন।
পরে আবারও সেন্টার পিচে ব্যাটিংয়ে আসেন বিরাট কোহলি। এ বার তুলনামূলক ছন্দে। ব্যাকফুট পাঞ্চে, পুল শটে বাউন্ডারি। দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন। তবে দ্বিতীয় বার মুকেশ কুমারের বোলিংয়েই আউট বিরাট। প্রথম দিনের শুরুটা হতাশ হলেও সার্বিক ভাবে তাঁর ব্যাটিং পারফরম্যান্স অবশ্য খারাপ বলা যায় না।