বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষ হতে এখনও অনেক দেরি। বছরের শেষে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে ভারতীয় দল। ঘরের মাঠের দুই সিরিজের চেয়েও সবচেয়ে বেশি আলোচনায় বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি। অজি ঔদ্ধত্যকে চুরমার করেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। গত দুটি অস্ট্রেলিয়া সফরেই টেস্ট সিরিজ জিতেছে ভারত। গত সফরে কার্যত ভাঙাচোরা দল নিয়েই সিরিজ জয়। এ বার হ্যাটট্রিকেই নজর ভারতের। অন্য় দিকে, সম্মান পুনরুদ্ধারের চেষ্টা অস্ট্রেলিয়ার। এখন থেকেই তাই মাইন্ডগেম শুরু অজিদের। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বিরাট কোহলি কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন, কারও অজানা নয়। তবে বিরাটকে নিয়ে নয়, অস্ট্রেলিয়া সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে ভুগছে ঋষভ পন্থকে নিয়ে।
অস্ট্রেলিয়ায় গত সিরিজে ‘গাব্বায়’ দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৎকালীন অজি অধিনায়ক টিম পেইন। উল্টে দেখে নিয়েছিলেন ঋষভ পন্থ। সেই ‘পেইন’ ভুলতে পারেননি অজিরা। বর্তমান ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্সও আতঙ্কে ভুগছেন। ২০২২ সালের শেষ দিকে গুরুতর গাড়ি দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করেছেন ঋষভ পন্ত। আর প্রত্যাবর্তনেই সেঞ্চুরি। কেরিয়ারের ষষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিতে মহেন্দ্র সিং ধোনির রেকর্ডও ছুঁয়েছেন পন্থ।
বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি প্রসঙ্গে স্টার স্পোর্টসে অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বলেন, ‘ঋষভ পন্থ বেশ কিছু সিরিজে বড় প্রভাব ফেলেছে। আগে ওকে আটকানোর পরিকল্পনা করতে হবে।’ ঋষভ পন্থ টেস্ট ক্রিকেটও খেলেন টি-টোয়েন্টির মেজাজে। নানা শট দেখা যায় তাঁর ব্যাটে। সে কারণেই তাঁকে আটকানো আরও বেশি কঠিন হয়ে পড়ে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঋষভ পন্থের পারফরম্যান্স চোখ ধাঁধানো। ১২ ইনিংসে ৬২.৪০ গড়ে ৬২৪ রান করেছেন।
পন্থকে নিয়ে কামিন্স আরও যোগ করেন, ‘ঋষভের মতো ব্যাটার কখন কোন শট খেলবে, কেউ বলতে পারে না। ও রিভার্স স্ল্যাপও খেলে। এখন আমরা কিছুটা ধাতস্থ হয়েছি বলা যায়।’ পন্থের এই আগ্রাসী ব্যাটিং স্টাইল সতীর্থ ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শের মধ্যেও রয়েছে বলে মনে করেন প্যাট কামিন্স।