Eden Gardens: সূর্যদের মুখে হাসি ফুটবে? ইডেনের পিচ নিয়ে যা বললেন কিউরেটর
India vs England T20I: বাংলাদেশ আর ইংল্য়ান্ড যে এক নয়, এ আর নতুন করে বলে বোঝাতে হবে না। ম্যাচে নজর থাকবে পিচের আচরণেও। যে কোনও সিরিজের প্রথম ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়। ইডেনের পিচ কেমন হতে চলেছে? উত্তর দিয়েছেন খোদ পিচ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ই।
আর ২৪ ঘণ্টাও নেই। আগামী কাল এ সময় ইডেন গার্ডেন্সে নেমে পড়বেন সূর্যকুমার যাদবরা। বছরের প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচও। নতুন বছরে ভারতীয় দলের কঠিন যাত্রা শুরু হচ্ছে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স থেকেই। শেষ বার ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এ বার ইংল্যান্ড। টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের অন্যতম সেরা দল। বাংলাদেশ আর ইংল্য়ান্ড যে এক নয়, এ আর নতুন করে বলে বোঝাতে হবে না। ম্যাচে নজর থাকবে পিচের আচরণেও। যে কোনও সিরিজের প্রথম ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়। পুরো সিরিজের জন্য ছন্দ তৈরি করে দেয়। ইডেনের পিচ কেমন হতে চলেছে? উত্তর দিয়েছেন খোদ পিচ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ই।
ঘরের মাঠে শেষ সিরিজ অর্থাৎ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রেকর্ড গড়েছিল ভারত। টি-টোয়েন্টিতে ৩০০ পেরিয়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। ইডেনেও কি তেমন কিছু হবে? ভারত-ইংল্যান্ডের যা বোলিং লাইন আপ, তাতে ৩০০ হয়তো তোলা কঠিন। কিন্তু ভারত-ইংল্যান্ড হাইস্কোরিং টি-টোয়েন্টি দেখা যাবে, এটুকু প্রত্যাশা করছেন পিচ কিউরেটরও। ম্যাচের এক দিন আগে তিনি বলেন, ‘একটা ইনিংসে ২৩০-২৫০ স্কোর হতে পারে। হাইস্কোরিং ম্যাচ হবে এটুকু বলতে পারি। জস বাটলার, ফিল সল্টের মতো বিগ হিটাররা রয়েছে ইংল্যান্ড টিমে। আমাদেরও বিগ হিটার রয়েছে। আইপিএল খেলে সকলেই প্রায় এখানকার পরিবেশের সঙ্গে অভ্যস্থ। শিশিরও বড় ভূমিকা নিতে পারে।’
একটা সময় অবধি ইডেনে মূলত স্পিন সহায়ক পিচই দেখা যেত। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যে বার বাংলা ক্রিকেট সংস্থার দায়িত্ব নেন, এরপরই পিচ পুরোপুরি বদলে ফেলা হয়। মূলত হাইস্কোরিং ম্যাচই দেখা গিয়েছে। ব্যতিক্রমও রয়েছে। ভারতের মাটিতে গত ওয়ান ডে বিশ্বকাপেই যেমন ভারতের বিরুদ্ধে জাডেজার স্পিনে হাবুডুবু খেয়েছিলেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা। সুজন মুখোপাধ্যায় আরও বলছেন, ‘ইডেনের পিচ নিয়ে আর আলাদা করে কিছু বলার নেই। শেষ কয়েক বছর ধরেই সেরা পিচের পুরস্কার পেয়েছি। ছেলেরা খাটনি করে উইকেট বানায়।’
এই খবরটিও পড়ুন
শিশিরের প্রভাবে যাতে সমস্যা না হয় এর জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও থাকবে। শিশিরের জন্য ব্য়াটারদের মূলত সুবিধাই। ব্যাটে বল ঠিকঠাক আসে। শট খেলা সহজ। তবে মাঠ প্রচণ্ড ভেজা থাকলে বোলার-ফিল্ডারদের সমস্যা। তেমনই শট খেলার পর বলও মন্থর গতিতে যেতে পারে। ইডেনের পিচ কিউরেটর বলছেন, ‘১০ ওভারের পর ব্রেক থাকছে। ফিল্ড আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলে ওই সময় রোপিং করব। অ্যান্টি ডিউ স্প্রে করব। এ ছাড়া ইনিংসের মাঝে সময় পাব। যদি কোনও দলের ক্রিকেটার তার মাঝে কিছু করার কথা বলে, তখন সেটা দেখতে হবে।’
তবে হাইস্কোরিং পিচের কথা শুনে সূর্যকুমার যাদব, সঞ্জু স্যামসন, রিঙ্কু সিংদের হাসি যে চওড়া হবে বলাই যায়। আবার বোলারদের জন্য কঠিন পরীক্ষাও। কোন দল ভালো বোলিং করবে, সেটাই যেন পার্থক্য গড়ে দেবে।