কলকাতা: রিঙ্কু সিংকে (Rinku Singh) যে পজিশনে ব্যাটিংয়ে পাঠায় টিম, তিনি সেখানেই খেলেন। তাঁকে ইউটিলিটি প্লেয়ার হিসেবেই ব্যবহার করে দল। বর্তমানে আলিগড়ের ছেলে ব্যস্ত দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। ভারতের (India) বাঁ-হাতি ব্যাটার রিঙ্কুকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টি-২০ ম্যাচে দেখা যায় ৬ নম্বরে ব্যাটিং করতে। তিনি ১০ বলে ১১ রান করেন। দেশের এক প্রাক্তন ক্রিকেটারের মতে, রিঙ্কুর যে ক্ষমতা রয়েছে তাতে তাঁর প্রতিভার প্রতি সুবিচার হচ্ছে না। কবে কেকেআরের নায়কের প্রতি সুবিচার হবে?
টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার, বর্তমান ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিয়োতে বলেন, ‘রিঙ্কুর সঙ্গে আমরা কি ঠিক করছি? এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আর আমি এই প্রশ্নটা কেন করছি? ওকে প্রথমে টিমে রাখা হয়েছে। ও দলের আসলেই পছন্দের ক্রিকেটার। এই সিরিজের (দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-২০) আগে ও বাংলাদেশেক বিরুদ্ধেও খেলেছে। যখনও ওকে ব্যাটিং অর্ডারে আগে পাঠানো হয়েছে কিংবা পাওয়ার প্লে-তে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হয়েছে, ও প্রতিবারই রান করেছে।’
একজন ক্রিকেটার তখনই বেশি রান করার সুযোগ পান, যখন বেশ কিছু ওভার ক্রিজে কাটাতে পারেন। আকাশ চোপড়ার মতে, রিঙ্কু যখন মাঠে বেশি ওভার কাটানোর সুযোগ পেয়েছেন, তখন রানও বেশি করেছেন। ভালো স্ট্রাইকরেটে, কঠিন পরিস্থিতিতে ম্যাচ বের করার ক্ষমতা রাখেন রিঙ্কু। আকাশের কথায়, ‘ও প্রতিবারই হাফসেঞ্চুরি করে। ও দলের ক্রাইসিস ম্যান হয়ে উঠেছে। যে হাফসেঞ্চুরি গুলো ও করেছে, তা ভালো স্ট্রাইকরেটে। ওকে কেন ৪ নম্বরে পাঠানো হচ্ছে না? বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কেন ওকে ৬ নম্বরে পাঠানো হয়? আমার মনে হয় ডারবানে ওকে চারে ব্যাটিংয়ে পাঠানো উচিত। এই সিরিজের বাকি ম্যাচগুলোতে ওকে চারে নামিয়ে তিলক ভার্মাকে ছয়ে পাঠিয়ে দেওয়া যেতে পারে।’
রিঙ্কু সিংকে ভারতের জার্সিতে এবং কেকেআরের হয়ে বিভিন্ন ম্যাচে লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করতে দেখা গিয়েছে। টিমের প্রয়োজন যখন হয়, সেই পজিশনেই খেলেন তিনি। ভারতের হয়ে এখনও অবধি তিনি ২৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২০টি ইনিংস খেলেছেন। তাতে ৫৪.৪৪ গড়ে ৪৯০ রান করেছেন। রয়েছে ৩টি হাফসেঞ্চুরি।