Jim Parks: মারা গেলেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন উইকেটকিপার-ব্যাটার জিম পার্কস

লেগস্পিনার থেকে ব্যাটার, সেখান থেকে আবার কিপার। টেস্ট ক্রিকেট তাঁকে চিনত অ্যাটাকিং ব্যাটার হিসেবে। ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বেশি বয়সের ক্রিকেটার জিম পার্কস মারা গেলেন।

Jim Parks: মারা গেলেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন উইকেটকিপার-ব্যাটার জিম পার্কস
জিম পার্কসের জীবনাবসান। ছবি: টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 01, 2022 | 4:40 PM

লন্ডন: ব্যাটার হিসেবে পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে এক টেস্টের সিরিজে সুযোগ পেয়েছিলেন ১৯৫৪ সালে। কিন্তু সে ভাবে ছাপ রাখতে পারেননি। ইংল্যান্ডের (England Cricket) টেস্ট টিম থেকে বাদও পড়ে যান। সেই তিনিই আবার জাতীয় টিমে ফিরে আসেন চার বছর পর। ততদিনে ভূমিকা পাল্টে ফেলেছেন। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি কিপার হিসেবে নাম করে ফেলেছেন। সেই জিম পার্কস (Jim Parks) মারা গেলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। জিমই ছিলেন ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত ক্রিকেটার। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া ইংল্যান্ড ক্রিকেটে। ১৯৩১ সালে জন্ম। ১৮ বছর বয়সে সাসেক্সে (Sussex) ক্রিকেটার হিসেবে যোগ দেন। কাউন্টি টিমের হয়ে ৭৩৯টা প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। সঙ্গে ১৩২টা লিস্ট এ ম্যাচও।

ক্রিকেট যখন খেলতে শুরু করেন, তখন ছিলেন লেগস্পিনার। তার পর ব্যাটিংকেই আঁকড়ে ধরেছিলেন। পরে আবার কিপার হয়ে যান। জিম একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘কিপিং শুরু করাটা হঠাৎ করে। কেরিয়ারের শুরুর দিকে আমি কিপার ছিলাম না। স্পেশালিস্ট ব্যাটারই ছিলাম। সে বার কাউন্টিতে সাসেক্সের খেলা ছিল এসেক্সের বিরুদ্ধে। চেমসফোর্ডের ওই ম্যাচটার আগে দেখা যায়, চোটের কারণে রুপার্ট ওয়েব খেলতে পারবে না। ক্যাপ্টেন মার্লার আমাকে বলেছিল, তুমি কিপারের দায়িত্বটা পালন করছ।’

কিপিং শুরু করার ১৮ মাসের মধ্যে জাতীয় টিমে সুযোগ পান। তার পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। অ্যাটাকিং ব্যাটার হিসেবেই জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। আট নম্বরে ব্যাট করতেন। ইংল্যান্ডের হয়ে সব মিলিয়ে ৪৬টা টেস্ট খেলেছেন। ২টো সেঞ্চুরি ও ৯টা হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। সব মিলিয়ে ১৯৬২ রান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে করেছেন ৩৬ হাজারেরও বেশি রান। মোট ৫১টা সেঞ্চুরি। টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুটো সেঞ্চুরি করেছেন। ২৩ বছর সাসেক্সের হয়ে খেলার পর ১৯৭৩ সালে সামারসেটে চলে যান জিম। ৪৭ বছর পর্যন্ত সেখানেই খেলেন। সাসেক্সে আবার ফেরেন ক্রিকেট ছাড়ার পর, মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দুটো টার্মে কাজও করেছেন ওই কাউন্টি টিমের।

জিমের বাবা সিনিয়র জিমও ছিলেন ক্রিকেটার। সাসেক্সের হয়েই খেলতেন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৯৩৭ সালে একটা টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। জিমের ছেলে ববি আবার হ্যামশায়ারের হয়েই খেলেছেন দীর্ঘদিন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইংল্যান্ড ক্রিকেটের পক্ষে খুব খারাপ খবর। ক্রিকেটে প্রতি জিমের প্যাশনের কারণেই ওকে সবাই চিনত। সাসাক্সে, সামারসেট, ইংল্যান্ডের সঙ্গে চিরকাল জড়িয়ে থেকেছে। পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল।’

আরও পড়ুন: Indian Cricket: দ্বিপাক্ষিক সিরিজের পরিবর্তে বছরে দুটো আইপিএল চান রবি শাস্ত্রী