অভিষেক সেনগুপ্ত
এত জোর হাতে? পুশ করছেন স্রেফ। বল যেন আকাশ ছোঁবে বলে উড়তে শুরু করেছে। ইডেনের মাঝ পিচে দাঁড়িয়ে মন দিয়ে যেন ওয়াগন হুইল আঁকছেন। কাউ কর্নারে গাঁথলেন একটা। অন্যটা সাইড স্ক্রিনের উপর দিয়ে। উড়ন্ত ফ্লিক, চকিত সুইচ হিট। সান্ধ্য ইডেন যেন একাই মাতিয়ে দিলেন। ভরা ইডেনে কী করবেন? কাল যদি নতুন করে ফেরা হয় সূর্যকুমার যাদব, গৌতম গম্ভীরের, ইডেন তবে দেখতে চায় একজনকেই— রিঙ্কু সিং! ভারতীয় ক্রিকেটে যদি পোস্টার বয় হন হার্দিক পান্ডিয়া, তবে আগ্রাসনের নতুন উপাখ্যান রিঙ্কু। ঠান্ডা মাথার সিরিয়াল কিলার যেন!
ইডেন যাঁদের জন্ম দেয়, বিশ্ব শাসন করেন তাঁরা। রিঙ্কুর ক্ষেত্রে এই তত্ত্ব এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। হবে, এমনটা কিন্তু বিশেষজ্ঞ মহল জোর গলায় বলতেও দ্বিধা করে না। তবু ফুল যেন সব পাপড়ি এখনও মেলেনি। নতুন ভারতে নতুন করে প্রতিষ্ঠা পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন রিঙ্কু। ব্যাটিং অর্ডারের ঠিক নেই। প্রয়োজন পড়লেই ডাক পাবেন। ইডেনে সর্বস্ব দেবেন বলে, তৈরি হচ্ছেন এখন থেকেই। কেকেআর তাঁকে চিনিয়েছে, ভারত কি কিংবদন্তি করবে? এই রিঙ্কুকে ঘিরে এখন বিয়ের গল্প। সাংসদ প্রিয়াকে নাকি বিয়ে করছেন। মাঠের বাইরের গল্প যাই হোক না কেন, মাঠের রিঙ্কু যেন অন্য জাতের। খোদ ক্যাপ্টেন সূর্য বলে গেলেন, “এটা ওর মাঠ। ইডেনের প্রতিটা ইঞ্চি ও চেনে। আমি তো ওকে ছয় মারতে দেখতে পাচ্ছি।”
এই রিঙ্কুকে আরও গুছিয়ে দেওয়ার কাজটা করছেন এক সিনিয়র। না সূর্য নন, হার্দিক পান্ডিয়া। মাঝ পিচে ব্যাট করছেন রিঙ্কু, পিছনে দাঁড়িয়ে দেখছেন হার্দিক। ভুল করলেই এগিয়ে যাচ্ছেন। শর্টআর্ম জ্যাব কেন মাঠের বাইরে আছড়ে পড়ছে না? কেন পুলে তীক্ষ্ণতা নেই? ভুল শুধরে নিয়েই রিঙ্কু আবার বিস্ফোরক। এই বিস্ফোরণই তাঁর ইউএসপি। ছয় যাঁকে চিনিয়েছে, তিনি ছয়ই তো মারবেন!