ভারতীয় ক্রিকেটে শুরু হয়েছে গম্ভীর অধ্যায়। টি-টোয়েন্টি সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে ক্লিনসুইপ করেছে ভারত। গম্ভীর অধ্যায়ের শুরুটা দুর্দান্ত হলেও ওয়ান ডে সিরিজে চাপে টিম ইন্ডিয়া। তিন ম্যাচের সিরিজ। প্রথম ম্যাচ টাই হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে স্পিনের ফাঁদে ভারত। মিডল অর্ডার ব্যর্থতা। হার ভারতের। সিরিজে ১-০ এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। প্রথম দু-ম্যাচে একই কম্বিনেশন ধরে রেখেছিল ভারত। শেষ ম্যাচে কম্বিনেশনে বদল হতে পারে। ওয়েটিং লিস্টে রয়েছেন দুই তরুণ ক্রিকেটার রিয়ান পরাগ ও হর্ষিত রানা। দু-জনই ওয়ান ডে স্কোয়াডে প্রথম বার ডাক পেয়েছেন।
ভারতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার আগে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মেন্টর ছিলেন গৌতম গম্ভীর। তার আগে দু-মরসুম লখনউ সুপার জায়ান্টসে। গত মরসুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সে মেন্টর হিসেবে ফেরেন গৌতম গম্ভীর। দীর্ঘ সময় আইপিএলে কলকাতা ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন গম্ভীর। ক্যাপ্টেন হিসেবে দু-বার ট্রফি দিয়েছেন কেকেআরকে। মেন্টর হয়ে ফিরেও সাফল্য। দীর্ঘ ১০ বছর আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। মেন্টর হিসেবেও কেকেআরকে সাফল্য দিয়েছেন গম্ভীর। এই সফরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তরুণ পেসার হর্ষিত রানা।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে গত দু-মরসুমে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন হর্ষিত রানা। গত মরসুমই ছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে তাঁর দ্বিতীয় মরসুম। পারফরম্যান্সে নজর কাড়েন। গৌতম গম্ভীরের নজরেও পড়েন। গৌতম গম্ভীর মেন্টর হয়ে আসার খবরে কেকেআর টিমের কী পরিস্থিতি ছিল, সেই নিয়ে খোলসা করেছেন হর্ষিত রানা। শুভঙ্কর মিশ্র-র শো-তে নানা বিষয়েই কথা বলেছেন হর্ষিত। গম্ভীর প্রসঙ্গও ওঠে। সেখানেই হর্ষিত বলেন, ‘টিমের অনেকের মধ্যেই একটা জল্পনা ছিল, গৌতি ভাই প্রচণ্ড রাগী। কিন্তু তিনি আসার পর সবটাই অন্যরকম হয়ে যায়।’
প্লেয়ারদের সঙ্গে খুবই ভালো ভাবে মেশেন গম্ভীর। হর্ষিত বলেন, ‘হারি-জিতি সবসময় পাশে থাকেন। কোনও ম্যাচে যদি পারফরম্যান্স ভালো না হয়, অপেক্ষা করতাম কখন ড্রেসিংরুমে গৌতি ভাই কিছু বলবেন। তাঁর মধ্যে অদ্ভূত একটা ব্য়াপার রয়েছে। ড্রেসিংরুমে এলেই পরিবেশ পাল্টে যেত। একটা ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হত। আমরা এনার্জি পেতাম। বিশ্বাস জন্মাত, পরের ম্যাচটায় ভালো পারফর্ম করতে পারব।’
হর্ষিতও দিল্লির ক্রিকেটার। গৌতম গম্ভীরকে আগে দেখেছেন দূর থেকে। তবে গম্ভীরের সঙ্গে চেনা-জানা কলকাতা নাইট রাইডার্সেই। প্রথম বার দেখা হওয়ার পর কী বলেছিলেন গম্ভীর? হর্ষিত বলেন, ‘আমার এখনও মনে পড়ে, প্রথম যেদিন কথা হল, পরিষ্কার বলেন- তুমি ৪ ওভারে ৭০ রান দিচ্ছ কিনা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। তুমি চারটে উইকেট নিয়ে দেখাও। ম্যাচে যাই হোক, মাথা উঁচু করে থাকবে। ভীতু ক্রিকেটার আমার পছন্দ নয়।’ জাতীয় দলেও গম্ভীরের কোচিংয়ে সাফল্য় পেতে পরিয়া হর্ষিত। শুধু সুযোগের অপেক্ষায়।