Asia Cup 2022: ভারত-পাক ম্যাচের টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে, হুড়োহুড়িতে বসে গেল ওয়েবসাইট

India vs Pakistan in Asia Cup 2022: ভারত-পাক ম্যাচের টিকিটের ব্যাপক চাহিদা। টিকিট কাটার হুড়োহুড়িতে একসঙ্গে সাত লাখ মানুষ ওয়েবসাইটের প্রবেশ। তাতেই ক্র্যাশ করল সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ওই ওয়েবসাইট।

Asia Cup 2022: ভারত-পাক ম্যাচের টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে, হুড়োহুড়িতে বসে গেল ওয়েবসাইট
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিটের চাহিদা তুঙ্গেImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 15, 2022 | 6:20 PM

দুবাই: এমন সুযোগ কি বারবার আসে? সীমিত ওভারে ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) দ্বৈরথের বয়স দুই কুড়ি পার হলেও এর আকর্ষণ থেকে মুখ ফেরানো দায়। তবে এবছরটা ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে মনের মতো একটা বছর। প্রথমে এশিয়া কাপ, তারপর টি-২০ বিশ্বকাপ। বড় অঘটন না ঘটলে মাস দুয়েকের মধ্যে কমপক্ষে চারবার মুখোমুখি হওয়ার কথা ওয়াঘার দু’পারের বাসিন্দাদের। তা বলে প্রথম সুযোগ মিস করা যাবে না। এই মনোভাব নিয়েই ১৫ অগাস্ট রাত ১২টা থেকে সংযুক্ত আরবশাহির ওয়েবসাইটে টিকিটের কাটতে বসে যান লক্ষ লক্ষ মানুষ। টিকিট বিক্রি (Ticket Sales) শুরু হতেই ওয়েবসাইটে একসঙ্গে লগ ইন করেন সাত লক্ষ মানুষ! একসময় ওয়েবসাইট ক্র্যাশ করে যায়। এমনিতেই এশিয়া কাপে (Asia Cup 2022) ভারত-পাক ম্যাচের টিকিট এত দেরিতে ছাড়ায় ক্ষুব্ধ ক্রিকেটপ্রেমীরা। আমিরশাহির একটা বড় অংশে পাকিস্তানিদের বসবাস। রয়েছে ভারতীয়রাও। যে কারণে স্থানীয়দের মধ্যে স্টেডিয়ামে গিয়ে ম্যাচ উপভোগ করার আগ্রহ রয়েছে।

এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ১৫ অগাস্ট থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। ক্রিকেট ভক্তদের ক্ষোভ এতে কিছুটা কমেছিল। নির্ধারিত সময়ে ওয়েবসাইটে ঢুকেও টিকিটের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। অপেক্ষার সময় ৬ মিনিট থেকে শুরু করে ৪০ মিনিট পর্যন্ত গড়ায়। কেউ কেউ সারারাত অপেক্ষা করেও টিকিট পাননি। একটা সময় জানিয়ে দেওয়া হয় রাত আড়াইটে পর্যন্ত কোনও টিকিট পাওয়া যাবে না। এরপর টুইটারে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ২৩ অক্টোবর টি-২০ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। একইভাবে এশিয়া কাপেও টিকিটের অগ্রিম বুকিং করতে চেয়েছিলেন সমর্থকরা। তা হল কই। টিকিট নিয়ে এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিল কোনওরকম ঘোষণা না করায় সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছিল।

দুবাইয়ের বাসিন্দা এক ভারতীয় বলেন, “সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে সবসময় এরকম বড় ম্যাচ দেখার সুযোগ হয় না। আর সুযোগ এলেও ম্যানেজমেন্টের গোলমালে সব বিগড়ে যায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে এসিসি-কে মেইল করেছি। এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের কাছেও মেল দিয়েছি। উত্তর পাইনি। দুবাইয়ে স্টেডিয়ামের টিকিট কাউন্টারেও বেশ কয়েকবার ঢুঁ মেরে এসেছি। কেউ কিচ্ছু বলতে পারেনি। আমার বন্ধুদের সঙ্গেও এমনটা হয়েছে।”