টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারতীয় দল। টুর্নামেন্টে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন অক্ষর প্যাটেল। ব্যাটিং অর্ডারে তাঁকে ভিন্ন পজিশনে নামানো হয়েছে। কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন। গুরুত্বপূর্ণ কিছু পার্টনারশিপ গড়েছেন। এমনকি ফাইনালের মঞ্চেও বিরাট কোহলির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ একটা পার্টনারশিপ গড়েছিলেন অক্ষর। বেশ কিছু ভালো স্পেল করেছেন। দুর্দান্ত কিছু ক্যাচ নিয়েছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের অন্যতম সফল মুখ অক্ষর। বিশ্বকাপের পরই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন রবীন্দ্র জাডেজা। সুতরাং, বর্তমান স্কোয়াডে অক্ষরই যে বাঁ হাতি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে প্রথম পছন্দ, এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
বিশ্বকাপের পর জিম্বাবোয়েতে একাধিক সিনিয়র ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। ২৭ জুলাই শুরু হচ্ছে শ্রীলঙ্কা সিরিজ। আজই শ্রীলঙ্কায় যাবে ভারতীয় দল। স্কোয়াডে ফিরেছেন অক্ষর প্যাটেলও। আচ্ছা, ইংরেজিতে অক্ষর প্যাটেলের নামের বানান কী হতে পারে? হওয়া উচিত Akshar! অক্ষর প্যাটেলও সেটাই লেখেন। কিন্তু টিভি স্ক্রিন কিংবা স্কোরশিটে তাঁর নামের বানান তো অন্য! এর মধ্যে কি কোনও বিশেষ ব্যাপার রয়েছে? এমন প্রশ্ন মনে হওয়াই স্বাভাবিক। সেটা খোলসা করেছিলেন অক্ষর নিজেই।
নামের বানান নিয়ে এই কনফিউশন বহু আগের। ব্রেকফাস্ট উইথ চ্যাম্পিয়ন শো-তে অক্ষর নিজেই সেটাই জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আসলে আমার নামের বানানটা AKSHAR-ই। কিন্তু অনূর্ধ্ব ১৯ এর একটা ঘটনায় এমন হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে আমাদের শিবির চলছিল। বিশ্বকাপের শিবির। টিম অস্ট্রেলিয়া যাবে। আমাকেও বলা হল, পাসপোর্ট রেডি করতে। আমার তখন পাসপোর্ট ছিল না। পাসপোর্ট বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজও ছিল না। ফলে স্কুল থেকেই একটা সার্টিফিকেট জোগার করা হয়।’
এখানেই পরিস্থিতির বদল। অক্ষরের কথায়, ‘আমি স্কুলে গিয়ে সার্টিফিকেট নিই। প্রিন্সিপাল স্যার সেটায় AXAR লিখেছিলেন। আমি সেটা খেয়াল করিনি। পাসপোর্ট আসার পর সবাই বলে, তুই তো AKSHAR লিখিস। পাসপোর্টে কেন AXAR রয়েছে? আমি বাবাকে ফোন করে বিষয়টা বলি। বাবাও বলে, এটা আর এখন চেঞ্জ করা যাবে না। এরপর আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে সুযোগ পাই। সবই ঠিকঠাক চলছিল। তাই ভাবলাম, যা চলছে চলুক।’
দিল্লি ক্যাপিটালস শিবির হোক বা জাতীয় দল। অক্ষর প্যাটেল, ঋষভ পন্থদের মধ্যে একটা খুব প্রচলিত কথা রয়েছে। এই শো-তেই অক্ষর সেটা জানিয়েছিলেন। যখন সব ঠিকঠাক চলে নিজেরাই বলেন, ‘জো চল রহা হ্যয়, চলনে দো’! নামের বানানের ক্ষেত্রেও এটাই হয়েছিল।