যদি কিছু ঠিক না হয়, বেসিকে ফিরে যাও। ব্যাটারদের কাছে এটিই যেন মূলমন্ত্র। বেসিক শক্তিশালী হলে যে কোনও পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত সেঞ্চুরি শুভমন গিলের। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ধরমশালা টেস্টেও সেঞ্চুরি করেছিলেন। টানা দু-ম্যাচে শতরানের ইনিংস শুভমনের। যদিও প্রথম ইনিংসে হতাশ করেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের প্রিন্স। লেগ সাইডের একটি ডেলিভারি অযথাই খেলেন। ব্যাট ছুঁয়ে কট বিহাইন্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে কোন পথে সেঞ্চুরি? খোলসা করলেন শুভমন গিল।
দ্বিতীয় ইনিংসে বেসিক ঠিক করার দিকেই নজর ছিল শুভমন গিলের। পেসারদের বিরুদ্ধে যেমন অনবদ্য ব্যাটিং করেছেন, তেমনই স্পিনের বিরুদ্ধেও। বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ খুবই ভালো। যদিও তাঁদের সেটল হতে দেননি শুভমন। এর জন্য পায়ের দুর্দান্ত ব্যবহার। চেন্নাইয়ে লাল মাটির পিচে এ বার বাউন্সও বেশি। তবে বেশ কিছু ডেলিভারি নীচু হচ্ছে। স্পিনারদের লাইন লেন্থ এলোমেলো করতে তাই বারবার এগিয়ে এসে খেলছিলেন।
দিনের খেলা শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে সেঞ্চুরিয়ন শুভমন গিল বলেন, ‘কেরিয়ারের শুরুর দিকে প্র্যাক্টিসে এমনটা করতাম। বিশেষ করে স্পিনারদের বিরুদ্ধে এগিয়ে যেতাম। এখানেও একই চেষ্টা করেছি। পিচে হাতে গোনা কিছু ডেলিভারি টার্ন হচ্ছিল। ফলে স্পিনারের পক্ষে লাইন লেন্থ ঠিক রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।’ তাঁর এই পরিকল্পনা কাজে দিয়েছে। সাকিব আল হাসান এবং মেহেদি হাসান মিরাজকে প্রবল অস্বস্তিতে দেখিয়েছে। দু-জনের বোলিংয়েই ছয় মেরেছেন শুভমন।
ক্রিকেটে শুরুর দিকের অভিজ্ঞতা ভাগ করে শুভমন আরও বলেন, ‘যেহেতু আমার হাইট ভালোই, লম্বা পা ফেলে এগিয়ে জমিঘেসা শটও খেলতে পারতাম। আমার কাছে বিষয়টা খুবই সহজ। শুরুর দিনগুলি থেকেই এমন প্র্যাক্টিস করেছি।’