ম্যাজিকের প্রত্যাশা কে না করেন। বাস্তব বড় নিষ্ঠুর। পঞ্চম দিন নানা সম্ভাবনার ছবি নিয়ে নেমেছিল ভারত-অস্ট্রেলিয়া। স্কোর বোর্ড বলছে অন্তত ৬৫ ওভার খেলা হবে আরও। আর এতে ভারতের চাই ৩০৭ রান। লাঞ্চের আগে বিরাট ধাক্কা না লাগলে, এই অঙ্কটাকেও যেন ভরসা করা যেত। আসলে এই ম্যাচে বারবার হেরেছে ভারত। আবার ঘুরেও দাঁড়িয়েছে। বক্স অফিসের জন্য দুর্দান্ত একটা ম্যাচ। ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য নয়।
চতুর্থ দিন তিনটি ক্যাচ মিস, নো-বলে উইকেট, নাথান লিয়ঁ-স্কট বোল্যান্ডের শেষ উইকেট জুটি। ভারত বারবার পিছিয়ে পড়েছে। এমসিজি-তে ভারতের টার্গেট দাঁড়ায় ৩৪০ রান। অঙ্কের নিরিখে অসম্ভব নয়। এর জন্য যেমন রান তোলা জরুরি, ক্রিজে টিকে থাকা আরও বেশি জরুরি। ক্রিজে পড়ে থাকলে রান আসবেই। রোহিত শর্মা ৪০ ডেলিভারি সামলে আগ্রাসী হওয়ার প্রথম চেষ্টাতেই উইকেট। একই ওভারে লোকেশ রাহুলকেও ফেরান প্যাট কামিন্স।
ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছনোর পরই আলোচনায় একটাই নাম, বিরাট কোহলি। তিনি কেমন খেলবেন, স্পট লাইট ছিল সে দিকেই। পারথ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করে সেই আলোচনায় আগুন জ্বালিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তনরাও জোর গলায় বলতে পেরেছিলেন, এই সিরিজ বিরাট কোহলিরই হতে চলেছে। কিন্তু এরপর একের পর এক হতাশা। মেলবোর্নেও তাড়া করল হতাশা। প্রথম ইনিংসে যাও বা একটা ভরসার সম্ভাবনা দেখিয়েছিলেন, দ্বিতীয় ইনিংসে লাঞ্চের আগে শেষ ওভারে আউট বিরাট। কী ভাবে? উত্তরটা যেন কমন। অফস্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি…।