দিনের শুরুতে জসপ্রীত বুমরার ফাইফার। ভারতের টার্গেট দাঁড়ায় ৩৪০ রান। দুর্দান্ত একটা জুটি গড়ছিলেন রোহিত শর্মা ও যশস্বী জয়সওয়াল। প্রথম সেশন পেরিয়ে যেতে পারলে পরে যে রান তোলা সম্ভব, বলার অপেক্ষা রাখে না। রোহিত শর্মা ও যশস্বী সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছিলেন। যতটা সময় সম্ভব ক্রিজে টিকে থাকতে হবে। অনেক বল ছাড়লেন, আউট সাইড এজ থেকে বাঁচলেন। শেষ রক্ষা হল না। নায়ক হওয়ার সুযোগ হারালেন ভারত অধিনায়ক। একই ওভারে ফিরলেন রাহুলও।
টেস্ট ক্রিকেটে সেট হওয়া বলে কিছু নেই। কিন্তু কোনও ব্যাটার ৪০টা ডেলিভারি সামলে দিতে পেরেছেন, মানে বলা যায়, পরিস্থিতি বুঝে উঠতে পারছেন। পরবর্তী পরিকল্পনা গড়ে তুলতে পারবেন। রোহিত শুরু থেকে সেই প্রতিরোধই গড়ার চেষ্টা করলেন। সেট ওপেনিং জুটি ভেঙে এমনিতেই সমালোচিত হয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই সমালোচনা দূর করার একটা সুযোগ ছিল। কিন্তু নিজের ভুলেই সুযোগ হারালেন।
ক্যাপ্টেন বনাম ক্যাপ্টেনে জিতলেন প্যাট কামিন্স। ভারতীয় ইনিংসের ১৭তম ওভার। ম্যাচের পরিস্থিতিই বদলে দেন কামিন্স। ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে রোহিত শর্মার উইকেট। ৪০ বলে ৯ রানে ফেরেন রোহিত। অফস্টাম্পের সামান্য বাইরের ডেলিভারি। বাউন্স যথেষ্ট ছিল। অনসাইডে খেলতে চেয়েছিলেন রোহিত। যদিও স্লিপ কর্ডনে যায় বল। মিচেল মার্শের ক্যাচে ফিরতে হল রোহিতকে। দীর্ঘ সময় প্রতিরোধ গড়ার পর আগ্রাসী হতে চেয়েছিলেন। তাতেই ইতি।
ইনিংসের শুরুটা রোহিতের উইকেট। ক্রিজে প্রবেশ লোকেশ রাহুলের। এই সিরিজে ভারতের সলিড ওপেনার ছিলেন রাহুলই। ধারাবাহিক রান করেছেন। মেলবোর্নে ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন। তাঁকে তিনে নামানো হয়। প্রথম ইনিংসে তবু কিছুটা ভরসা দিয়েছিলেন। এদিন পাঁচটি ডেলিভারি সামলেই ডাগআউটে। খেলবেন না ছাড়বেন, এই সিদ্ধান্ত নিতেই দেরি হয়ে গেল। খাতা খোলার সুযোগ পেলেন না। উইকেটের পিছনে আউট রাহুল।
রোহিত শর্মাকে নিয়ে আশঙ্কার একটা পরিস্থিতি ছিলই। নির্বাচকদের জন্য কাজটা যেন সহজ করে দিলেন নিজেই। আজই অবসর ঘোষণা করে দেবেন না তো? এই প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে। হতে পারে, সিরিজ শেষের অপেক্ষা করলেন। মিডল অর্ডারের হাতেই এখন রোহিতের ভাগ্যও!