আমেদাবাদ: টিম ইন্ডিয়ার এক যুগ অপেক্ষার অবসান হল না। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেল না ভারত। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ (ICC ODI World Cup 2023 Final) ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। ২০ বছর পর একদিনের বিশ্বকাপ ফাইনালে লড়াই হল ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার। টানা ১০ ম্যাচ জেতার পরও বিশ্বজয় করতে পারল না টিম ইন্ডিয়া। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাটিং করে ২৪০ রানে অলআউট হয় ভারত। ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা শুরু থেকেই ভারতীয় বোলারদের বিরুদ্ধে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন। অজিরা আবারও একবার বুঝিয়ে দিল তারা কেন বিশ্বকাপের অন্যতম সফল দল। ৪২ দল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে ওডিআই বিশ্বকাপ ট্রফিও জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া। ফাইনাল ম্যাচের পুঙ্খানুপুঙ্খ আপডেটের জন্য দেখুন TV9 Bangla Sports-এর এই লাইভ ব্লগ।
অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়া হল না। টানা দশ ম্যাচ জয়ের হাসি নিমেষে উধাও। অপেক্ষা বাড়ল। এক যুগ পর বিশ্বকাপ ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল ভারত। টানা দশ ম্য়াচ জিতে ফাইনাল। এখানেই দৌড় শেষ। আরও একবার এ ভাবেই মনে রাখা হবে, ‘ফাইনালে উঠেছিল ভারত।’ অতি আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে সাফল্য় মিলছিল টিম ইন্ডিয়া, সেই ব্যাটিংই ফাইনালে ফ্লপ। ৬ উইকেটের জয়ে ষষ্ঠ বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।
পড়ুন বিস্তারিত – IND vs AUS Match Report: দশ ম্যাচের হাসি নিমেষে উধাও, চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া
চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ষষ্ঠ বার বিশ্বজয় করল অজিরা। ভারতের এক যুগের অপেক্ষার অবসান হল না। ৪২ বল বাকি থাকতেই ২৪১ রান পূরণ করে ফেলল অস্ট্রেলিয়া।
আর কতক্ষণ চলবে এই ম্যাচ? ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের চোখে-মুখে হতাশা ফুটে উঠেছে। কারণ জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার আর চাই মাত্র ১০ রান।
অজিরা জয় থেকে আর বেশি দূরে নেই। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ৯ ওভারের খেলা এখনও বাকি। জয়ের জন্য আর ১১ রান প্রয়োজন ট্রাভিস হেডদের।
বিশ্বকাপের শুরুতে চোট। তবুও স্কোয়াডে রাখা হয়েছিল তাঁকে। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলেন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। প্রত্যাবর্তনেই সেঞ্চুরির ইনিংস। ফাইনালে ৯৫ বলে সেঞ্চুরি। ২০০৩ সালে শেষ বার বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন রিকি পন্টিং। এই ম্যাচে যেন ভারতের কাছে পন্টিং হয়ে উঠলেন ট্রাভিস হেড।
যে চিন্তা ছিল। ষষ্ঠ বোলার। আপাতত সেই সমস্যাই মনে হচ্ছে। সিরাজ এখনও কার্যকর ভূমিকা নিতে ব্যর্থ। ট্রাভিস হেডকে শর্ট বলে বিব্রত করার চেষ্টা। এখনও অবধি সব চেষ্টাই ব্যর্থ। ট্রাভিস হেড হাফসেঞ্চুরিতে। ৫৮ বলে হাফসেঞ্চুরি হেডের।
ট্রাভিস হেড ও মার্নাস লাবুশেনের ৭১ বলে ৫০ রানের পার্টনারশিপ। ভারতের জন্য ক্রমশ চিন্তার হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই জুটি।
দু-দিক থেকে স্পিন কার্যকর হচ্ছে না। এ বার হয়তো সিরাজকে আনা হতে পারে। সেই পরিকল্পনাই হল। আক্রমণে সিরাজ।
বোলিংয়ে প্রথম পরিবর্তন। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই জাডেজাকে আক্রমণে আনলেন রোহিত। দু-দিক থেকেই স্পিন। কুলদীপকেও বোলিংয়ে আনলেন রোহিত।
প্রথম পাওয়ার প্লে শেষ। রান রেট দুর্দান্ত অস্ট্রেলিয়ার। শুরুটা বিধ্বংসী হলেও পরপর দুই উইকেট নিয়ে পাল্টা চাপ। ৪১ রানে ১ উইকেট থেকে দ্রুতই ৪৭-৩। প্রথম পাওয়ার প্লে-তে ৩ উইকেটে ৬০ রান তুলে নিল অজিরা।
ইনিংস হোল্ড করছিলেন। যা ক্রমশ ভারতের মাথা ব্য়থা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। স্টিভ স্মিথকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে পাল্টা চাপ। বুমরার সুইংয়ে বিপর্যস্ত। স্মিথ রিভিউ নিলে অবশ্য অন্য কিছুও হতে পারতো। স্মিথ রিভিউ নিলেন না। বলের ইমপ্যাক্ট আউট সাইড অফ ছিল। নটআউট হতেন।
প্রত্যাশা পূরণ! বিধ্বংসী মার্শকে ফেরালেন জসপ্রীত বুমরা। কাউন্টার অ্যাটাক কাজে দিল না তাঁর। উইকেট মেডেন বুমরার। ক্রিজে স্টিভ স্মিথ।
ওয়ার্নারের উইকেট হারালেও ভারতকে চাপে রেখেছে মার্শ-হেড জুটি। কাউন্টার অ্যাটাকে রান তোলার চেষ্টা। উইকেটের অপেক্ষায় ভারত।
বাকি ম্যাচ গুলোতে প্রথম পরিবর্তই আনা হত সামিকে। ফাইনালের মঞ্চে অভিজ্ঞ সামির হাতে দ্বিতীয় নতুন বল তুলে দিলেন রোহিত। বাঁ হাতি ওয়ার্নারের বিরুদ্ধে রাউন্ড দ্য উইকেট। সুইং এবং স্লিপে ক্যাচ। প্রথম উইকেট।
পুরো টুর্নামেন্টেই ভারতের মূল শক্তি ছিল বোলিং। ফাইনালে সামনে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ২৪০ রানের পুঁজি। এই স্কোর নিয়ে ভরসা এ বার বোলিং।
ভারতীয় সমর্থকরা যদিও স্বস্তিতে নেই। ম্যাচের টেনশন থেকে কিছুটা যেন ফোকাস ঘোরানোর চেষ্টা। সমর্থকরা উপভোগ করছেন মাঠের অনুষ্ঠান। ইনিংস ব্রেক শেষে তরতাজা ভাবে টিমকে সমর্থন জানানোর অপেক্ষা।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাত্র ২২৯ রান তুলেছিল ভারত। এই স্কোর নিয়ে জেতার আশা করাও কঠিন। তবে ভারতীয় বোলিং আক্রমণ প্রতিপক্ষকে মাত্র ১২৯ রানেই অলআউট করে। এমন কিছুরই প্রত্যাশা ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের। ভারতীয় ব্যাটাররা যেমন সমস্যায় পড়েছেন, অজিদেরও তো একই পরিস্থিতি হতে পারে! বিস্তারিত পড়ুন : মাত্র ২৪০! মন্থর উইকেটে এই স্কোর নিয়ে জেতা সম্ভব!
অ্যাডাম জাম্পা এবং মিচেল স্টার্কের স্পেল শেষ। ইনিংসের ৪ ওভার বাকি। প্যাট কামিন্স এবং জশ হ্যাজলউডকে সামলাতে হবে স্কাইকে।
উল্টোদিক থেকে উইকেট পড়ছে। রিভার্স সুইং, বড় শট খেলার চেষ্টা। সামি কটবিহাইন্ড। মিচেল স্টার্ক আবারও রাউন্ড দ্য উইকেট। কট বিহাইন্ড সামি।
রিভার্স সুইং। মিচেল স্টার্কও রাউন্ড দ্য উইকেট। বুঝতে পারেননি রাহুল। কট বিহাইন্ড।
নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারানোয় বড় শট খেলা চাপ। ইনিংস যতটা সম্ভব ডিপে নেওয়ার চেষ্টা। ৪০ ওভারে ১৯৭-৫ ভারত।
রিভার্স সুইং। বাঁ হাতি জাডেজার বিরুদ্ধে রাউন্ড দ্য উইকেট। কট বিহাইন্ড আউট জাডেজা। ক্রিজে স্কাই।
বিরাট কোহলি আউট হওয়ার পর থেকেই গ্যালারি শান্ত। বিরাট ভরসা না থাকায় চাপে সকলেই। হাফসেঞ্চুরি লোকেশ রাহুলের। পরিস্থিতির নিরিখে সেন্সিবল ব্যাটিং। ৮৬ বলে হাফসেঞ্চুরি রাহুলের।
বিরাট ফিরতে ক্রিজে আসার কথা সূর্যকুমার যাদবের। ভারতের টপ অর্ডারে কোনও বাঁ হাতি ব্যাটার নেই। বাঁ হাতি জাডেজাকে সূর্যর আগে নামানো হল। লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পাকে সামলাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন জাড্ডু।
প্যাট কামিন্সের হালকা শর্ট পিচ ডেলিভারি। গতি তেমন ছিল না। ট্যাপ করেছিলেন বিরাট কোহলি। ব্যাটে লেগে বল ক্রিজে ধাক্কা খেয়ে উইকেটে। বেল পড়তেই হতাশা। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে রইলেন ক্রিজে। দুর্ভাগ্যজনক আউট।
অবশেষে বাউন্ডারি। ৯৭ বলের ব্যবধানে ভারতীয় ইনিংসে বাউন্ডারি এল। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বোলিংয়ে স্কোয়ারকাটে বাউন্ডারি লোকেশ রাহুলের।
আমেদাবাদে ফাইনালের মঞ্চে হাফসেঞ্চুরিতে কিং কোহলি। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে মজবুত জুটি গড়ার মরিয়া চেষ্টায়। হাফসেঞ্চুরি এল ৫৬ বলে।
স্লো পিচ। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ভালো বোলিং করতেই ট্রাভিসকে হেডকে আক্রমণে আনলেন কামিন্স। ৭০ বল পেরিয়ে গেল, কোনও বাউন্ডারি আসেনি।
বিধ্বংসী শুরু করেছিলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। তিন উইকেট হারিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়ে। স্বাভাবিক ভাবেই বড় শট খেলার লোভ সংবরণ করতে হয়। সিঙ্গল-ডাবলে স্কোর বোর্ড সচল রাখার চেষ্টা বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুলের। ৫০ বল পেরিয়ে গেল, কোনও বাউন্ডারি আসেনি।
চেন্নাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ভারতের টপ অর্ডার চাপে ছিল। বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল জুটি পরিস্থিতি সামাল দেয়। ফাইনালেও ভরসা দিচ্ছে এই জুটি।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচেও এমনটা দেখা গিয়েছিল। হঠাৎই মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন এক দর্শক। মিলারের সঙ্গে সেলফি নিয়েছিলেন। আমেদাবাদে বিরাট দর্শনে কড়া নিরাপত্তা ভেঙে ঢুকে পড়লেন একজন। দ্রুত তাঁকে সরিয়ে নেন নিরাপত্তাকর্মীরা।
মাত্র ৪ রান করেই ফিরলেন শ্রেয়স। তৃতীয় উইকেট হারিয়ে চাপে ভারত।
হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রানের দূরত্বে ফিরলেন রোহিত শর্মা।
সপ্তম ওভারের মাথায় অর্ধ শতরান এল ভারতের ঝুলিতে।
জীবনের প্রথম বিশ্বকাপ ফাইনাল। কিন্তু ভাগ্য সঙ্গ দিল না। মাত্র ৪ রান করে ফিরলেন শুভমন গিল।
ভারতের হয়ে ওপেনিংয়ে চেনা রোহিত-গিল জুটি।
বিস্তারিত পড়ুন: টস হেরেও খুশি ভারত! কী বলছেন রোহিত শর্মা?
টস জিতে রোহিতদের ব্যাটিংয়ে পাঠালেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
সচিনের ২০১১ বিশ্বকাপের জার্সি উপহার হিসেবে পেলেন বিরাট। আজকের দিনে এর থেকে বড় পাওনা আর কী হতে পারে বিরাটের জন্য!
রোহিতের পর মাঠে হাজির বিরাট কোহলি। কিংকে এক পলক দেখে আনন্দে আত্মহারা গ্যালারি।
ওয়ার্ম আপ শুরু টিম ইন্ডিয়ার। সবার প্রথম মাঠে নামলেন রোহিত শর্মা।
বিস্তারিত পড়ুন: যেন বলছেন, ‘বন্ধু চল, আবারও বিশ্বকাপ জিতি…’
নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছল ভারতের টিম বাস। একে-একে স্টেডিয়ামের ভিতর প্রবেশ করলেন রোহিত-বিরাটরা।
টস শুরু হতে আর কিছুক্ষণ। আজকের ম্যাচে টস কিন্তু বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে। ভারতের ভাগ্যে কী রয়েছে? তা দেখার জন্য মুখিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা।
বিস্তারিত পড়ুন: মোতেরায় শুরু নীল জার্সির দাপট, দেখুন ছবিতে
বিস্তারিত পড়ুন: রবিবারের মহারণে নজর থাকবে ভারত-অজি ক্রিকেটারদের যে সকল রেকর্ডে…
সকাল থেকেই স্টেডিয়ামের বাইরে ভিড় জমিয়েছেন সমর্থকরা। মাঝে মধ্যেই ধ্বনি উঠছে, ‘জিতেগা জিতেগা…ইন্ডিয়া জিতেগা।’
নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে জনজোয়ার। জার্সি গায়ে গ্য়ালারি মাতাতে হাজির হাজার-হাজার দর্শক।
সকাল-সকাল বিরাট-রোহিতদের হয়ে গলা ফাটাতে হাজির সমর্থকরা। উন্মাদনা যেন বাঁধ মানছে না ক্রিকেটপ্রেমীদের। মোতেরায় আজ নীল-সমুদ্র
বিস্তারিত পড়ুন: ফিরে দেখা: তেইশের বিশ্বকাপে মেন ইন ব্লুর রোড টু ফাইনাল
বিস্তারিত পড়ুন: বিশ্বকাপে ‘তৃতীয়া’র অপেক্ষায় অপরাজিত ভারত
উৎসবের মেজাজে মোতেরা। বিশ্বকাপ সমাপ্তি অনুষ্ঠানের মহড়া চলছে।