বোর্ডে ৪৪৫। ভারতীয় দলের প্রাথমিক লক্ষ্য এর কাছাকাছি পৌঁছনো। এর জন্য সবার আগে প্রয়োজন নতুন বল সামলানো। কিন্তু কোথায় কী! টেস্ট ম্যাচ আর ‘টেস্ট’ পরীক্ষা নয়! ডেড বল ডিফেন্স যেন ডিকশনারি থেকে উধাও। এর খেসারতও দিতে হল। উইকেটে ওভার শুরু হয়েছিল। ২২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে ভারত। অজি পেসারদের নিখুঁত লাইন লেন্থের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে পারলে এমনটা হয়তো হত না। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং জুটি যেটা করেছিল। বিশাল রান যোগ করতে না পারলেও ক্রিজ আঁকড়ে পড়েছিল। মিডল অর্ডার ব্যাটাররা এর সুবিধা তুলতে পেরেছে।
অফস্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করার রোগ নতুন নয় বিরাট কোহলির। তিন ফরম্যাটে হাজার হাজার রান করেছেন। কিন্তু পরিস্থিতি অনুযায়ী এই লোভ সামলাতে পারেনি। ব্রিসবেনেও তাই হল। দুই তরুণ ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমন গিল ফিরেছেন। ইনিংসের ১৩ বল পরই ক্রিজে নামতে হয় কিং কোহলিকে। তাঁর কভার ড্রাইভের ‘লোভ’ মাথায় রেখেছিলেন মিচেল স্টার্ক। প্রথম ডেলিভারিতেই আউট সাইড এজ থেকে বাঁচেন কোহলি।
বেশ কিছুটা সময় সংযত ছিলেন বিরাট কোহলি। মনে হচ্ছিল, লোকেশ রাহুলের সঙ্গে একটা মজবুত পার্টনারশিপ গড়বেন। তা আর হল না। বোলার অন্য, লাইন এক। ততক্ষণে ১৫টা ডেলিভারি সামলে নিয়েছেন। কিন্তু জশ হ্যাজলউডের অফস্টাম্পের সামান্য বাইরের ডেলিভারিতে সংযত থাকতে পারলেন না। খোঁচা। কিপার অ্যালেক্স ক্যারির হাতে। পারথের প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও সেঞ্চুরিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন দ্বিতীয় ইনিংসে। এরপর থেকে অফস্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে আউটের ধারা চলছেই। ১৬ বলে তাঁর অবদান ৩ রান।