টেস্ট ছিল নাকি লাল-বলের টি-টোয়েন্টি, এখনও ঘোর কাটছে না। কানপুরের আবহাওয়া চাপে ফেলেছিল। প্রথম দিন খেলা হয় মাত্র ৩৫ ওভার। বৃষ্টির জন্য দ্বিতীয় দিন এক বলও হয়নি। তৃতীয় দিন বৃষ্টি হয়নি তবে মাঠ খেলার উপযুক্ত ছিল না। যত সময় কাটছিল, অস্বস্তি বাড়ছিল ভারতীয় শিবিরে। চতুর্থ দিন খেলা শুরু হতেই কামাল। বাংলাদেশকে দ্রুত অলআউট করাও শেষ। ব্যাটিংয়ে নেমে তাণ্ডব ভারতের। রান রেট দেখে সকলেই হা হয়ে গিয়েছিলেন। মাত্র ৩৪.৪ ওভারেই ২৮৫-৯ স্কোরে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে ভারত। খেলার স্টাইল অবাক করার মতোই। কার্যত দু-দিনেই ম্যাচ পকেটে পুরেছে ভারত! বিধ্বংসী ব্যাটিং নিয়ে ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা কী বলছেন?
ভারত যে স্টাইলে খেলছিল, তাতে দ্রুত অলআউট হয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা ছিল। তাতে হারের ঝুঁকিও থাকত। ভারত অধিনায়ক পরিষ্কার করে দিলেন, ম্যাচ জেতার জন্য এই ঝুঁকি নিতে তৈরি ছিলেন তারা। পিচে বোলারদের জন্য তেমন কোনও সহায়তা ছিল না। অথচ এই পিচেই ভারতীয় বোলারদের কামাল। আর ব্যাটারদের তাণ্ডব। অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলছেন, ‘ম্যাচের প্রায় আড়াই দিন নষ্ট হয়েছে। এরপরই ভাবনা চিন্তা শুরু করি, এখান থেকে খেলা কী ভাবে ঘোরানো যায়।’
রোহিত নিজে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছেন। শুধু তাই নয়, ভারতের পাঁচ ব্যাটার যাঁরা ২০ কিংবা তার বেশি রান করেছেন, প্রত্যেকের স্ট্রাইকরেট একশোর উপর। রোহিত বলছেন, ‘চতুর্থ দিন মাঠে আসার পর ঠিক করি, ওদের দ্রুত আউট করতে হবে। এরপর ব্যাট হাতে কী করা যায়, দেখা যাক। আমরা কত রান করতে পারলাম, সেটা নিয়ে ভাবিনি। টার্গেট ছিল বোলারদের কতটা সময় দিতে পারব। পিচে বোলারদের সহায়তা ছিল না। সে কারণেই ওদের সময় দেওয়া প্রয়োজন। বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে গিয়ে যদি একশো রানেও অলআউট হয়ে যেতাম, তাতেও ক্ষতি ছিল না। এই ঝুঁকিটা নিতে প্রস্তুত ছিলাম।’
ক্যাপ্টেন রোহিত পরিষ্কার করে দিলেন, ভারতের লক্ষ্য ছিল ম্যাচ থেকে রেজাল্ট আসুক এবং সেটা নিজেদের পক্ষেই আনতে চেয়েছিলেন। সে কারণেই ঝুঁকি নিতে পিছপা হননি। বোলাররাও দায়িত্ব পালন করেছে। রোহিতদের ঝুঁকি বৃথা যায়নি।