টস জিতে ভারতকে ব্যাটিং দেওয়া। ভারতীয় ইনিংস শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েই হাত কামড়াতে শুরু করে প্রোটিয়া শিবির। সঞ্জু যে ভাবে ব্যাট করছিলেন তাতে কত স্কোর হতে পারে, এটাই যেন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। ঘরের মাঠে হায়দরাবাদে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেছিলেন সঞ্জু স্যামসন। ডারবানেও সেঞ্চুরি করলেন। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে টানা দুটি টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি সঞ্জুর। সঙ্গে তিলক ভার্মার ক্য়ামিও ইনিংস, স্কাই-রিঙ্কুদের অবদান। ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২০৩ রানের টার্গেট দিল ভারত।
সঞ্জু, হার্দিক আউট হতেই সাময়িক অস্বস্তিতে পড়ে ভারত। একই গতিতে রান আসছিল না। ১৮তম ওভারে কোনও বাউন্ডারি আসেনি। তবে ক্রিজে রিঙ্কু সিং থাকায় ভরসা ছিল। ১৮ ওভারে ১৮৫-৫ স্কোর ছিল ভারতের। নতুন ওভার বাউন্ডারিতে শুরু করেন অক্ষর প্যাটেল। তবে স্লগ ওভারে প্রত্যাশিত সেই ব্যাটিং দেখা গেল না। সঞ্জুর সেঞ্চুরির পাশাপাশি স্কাই ২১ রান করেন। তিলক ভার্মা মাত্র ১৮ বলে ৩৩ রানের ক্য়ামিও খেলেন। পরপর উইকেট হারিয়ে শেষ দিকে অস্বস্তিতে পড়ে ভারত।
এর মধ্যেই অবশ্য রেকর্ড গড়েছে ভারত। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে ২০২৩ সালে এক ইনিংসে একডজন ছক্কা মেরেছিল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকায় এক ইনিংসে এটিই ছিল ভারতের সর্বাধিক ছয়ের রেকর্ড। এ দিন সঞ্জু একাই ১০টি ছয় মারেন। তিলক দুটি ও স্কাই একটি ছয় মারেন। গত বছরের সেই রেকর্ড ভেঙে দেয় ভারত।
শেষ ওভারে মার্কো জানসেনের একটি নো-বল। যদিও অর্শদীপ স্ট্রাইকে থাকায় সমস্যায় পড়েনি প্রোটিয়ারা। তবে এক দুই রানও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। ম্যাচ ক্লোজ হলে এই রানগুলোই পার্থক্য গড়ে দেবে। শেষ অবধি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০২ রান করে ভারত। এই মাঠে সর্বাধিক ১৯১ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড রয়েছে। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে রেকর্ড গড়তে হবে।