তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছে ভারত। ফলে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে পরীক্ষা হবে, এমন সম্ভাবনা ছিলই। ব্যাটিং কম্বিনেশনেও নানা বদলের সম্ভাবনা ছিল। হলও ঠিক তাই। সুযোগ পেয়েও তা যেন হারালেন সঞ্জু স্য়ামসন, রিঙ্কু সিংরা। পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামের একই মাঠে খেলা। তবে অন্য পিচ। আর তাতেই কি অস্বস্তি? পাওয়ার প্লে-তেই চার উইকেট হারাল ভারত। এর মধ্যে রয়েছে ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদবেরও উইকেট। শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে থাকা সঞ্জু স্যামসন এবং রিঙ্কু সিং বড় সুযোগ হারালেন।
বৃষ্টির প্রভাব তৃতীয় ম্যাচেও। গত ম্যাচে বৃষ্টিতে ওভার কমেছিল। এ দিন ম্যাচ শুরু হল নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক। প্রথমে ব্যাটিং কিংবা রান তাড়া। প্রথম দুই ম্যাচে দুটোতেই জিতেছে ভারত। এ দিন প্রথমে ব্যাট করতে হওয়ায় বরং তরুণ ক্রিকেটারদের কাছে দারুণ সুযোগ ছিল নিজেদের মেলে ধরার। সঞ্জু স্যামসন গত ম্যাচে গোল্ডেন ডাক হয়েছিলেন। একটা ম্যাচ দিয়ে কাউকে বিচার করা ঠিক নয়। তাঁর সঙ্গেও এমনটা করা হয়নি। ভাইস ক্যাপ্টেন শুভমন গিল ফিরলেও একাদশে জায়গা পেলেন সঞ্জু। শুধু তাই নয়, সবচেয়ে বেশি সাফল্য পাওয়া পছন্দের তিন নম্বরেই জায়গা পেলেন।
শুভমন গিলের সঙ্গে ওপেন করেন যশস্বী জয়সওয়ালই। যদিও যশস্বীর ইনিংস দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে লেগ বিফোর হন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে তিনে ব্যাট করেন সঞ্জু স্যামসন। সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছেন এই পজিশনেই। ক্যাপ্টেন সূর্যকুমারের জায়গায় তিনে প্রোমোশন দেওয়া হয় সঞ্জুকে। ৪ বল খেলে শূন্য হাতেই ফেরেন সঞ্জু।
প্রথম ম্যাচে ১৯তম ওভারে ব্যাটিং পেয়েছিলেন রিঙ্কু সিং। গত ম্যাচে বৃষ্টিতে ওভার কমায় ডাকওয়ার্থ লুইসে ভারতের ইনিংস হয়ে দাঁড়ায় ৮ ওভারের। তার আগেই ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। ফলে ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পাননি রিঙ্কু। এ দিন তাই তাঁকে চারে নামানো হল। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে নেমেছিলেন। সিঙ্গল নিয়ে খাতা খোলেন। সুযোগ ছিল অনেকটা সময় নিয়ে একটা বড় ইনিংস খেলার। পরের ওভারের প্রথম বলে স্ট্রাইক ছিল তাঁর কাছে। অফস্টাম্পের বাইরের বল নিজে আরও সরে গিয়ে বড় শট খেলেন। মিস টাইমে হাই ক্যাচ ওঠে। পাথিরানা দুর্দান্ত একটা ক্যাচ নেন। ২ বলে ১ রানে ফেরেন রিঙ্কুও।
পাঁচে নামেন ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব। গত দু-ম্যাচেই তিনে ব্যাট করেছেন। তরুণদের জন্যই জায়গা ছেড়েছিলেন। তাতে যেন নিজেরও ছন্দপতন। মাত্র ৫.৪ ওভারের মধ্যেই চার উইকেট হারায় ভারত। সবচেয়ে বেশি অস্বস্তির পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়াল সঞ্জু-রিঙ্কুর জন্য।