পাওয়ার প্লে-তেই চার উইকেট হারানোর পর চাপ বাড়তে বাধ্য। ভারতীয় ব্যাটিংয়ে সেটাই হল। ফ্রেশ পিচে খেলা। একটু সতর্ক থাকতে হত। তার উপর বৃষ্টির পর পিচের পরিস্থিতি বোঝা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। ভারতীয় টপ অর্ডারের অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো অস্বস্তিতে ফেলল কোচ গৌতম গম্ভীরকে। সিরিজ আগেই নিশ্চিত হওয়ায় তরুণদের পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন। তিনি সুযোগ দিলেন, তরুণরা সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৭ রান তুলল ভারত। পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছিল, ভারতীয় দল ১২০ রানে অলআউট হলেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না।
ভারতীয় ব্যাটিংয়ে কিছুটা ভরসা দিলেন ভাইস ক্যাপ্টেন শুভমন গিল ও রিয়ান পরাগ। সপ্তম উইকেটে ৪২ বলে ৫৪ রান যোগ করেন শুভমন ও রিয়ান। শুভমন গিল ৩৭ বলে ৩৯ রান করেন। রিয়ান পরাগ ১৮ বলে ২৬ রান করলেও জুটিটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। লোয়ার অর্ডারে ভারতকে কিছুটা ভরসা দিল ওয়াশিংটন সুন্দরের ব্যাট। ১৮ বলে ২৫ রান করেন তিনি। টপ অর্ডার শুরুটা ভালো করলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হত না।
ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন পিচ। তবে সঞ্জু স্যামসন, রিঙ্কু সিংদের কাছে যথেষ্ট সময় ছিল সেট হওয়ার। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে নিজেদের সুযোগ হারালেন। এই পিচে ১৩৭ রানও যথেষ্ট হতে পারে। তবে এর জন্য ভরসা বোলিং আক্রমণ। এই ম্যাচে অর্শদীপ সিংকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। সুযোগ পেয়েছেন খলিল আহমেদ। রবি বিষ্ণোই, ওয়াশিংটন সুন্দরের পাশাপাশি পার্টটাইম স্পিনার রিয়ান পরাগ ভরসা হয়ে উঠতে পারেন।