অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলছে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতা ডুবিয়েছিল ভারতকে। দ্বিতীয় ম্যাচে বোলিং ব্যর্থতা। প্রথম ম্যাচে ওয়ান ডে আন্তর্জাতিকে অভিষেক হয়েছিল বাংলার পেসার তিতাস সাধুর। দ্বিতীয় ম্যাচেই একাদশে পরিবর্তন। তিতাস নয়, একাদশে সুযোগ দেওয়া হল মিন্নু মনিকে। তার উপর চোট লাগে ওপেনার প্রিয়া পুনিয়ার। সমস্যা আরও বাড়ে। তাতেও ভাগ্য খুব একটা বদলাতো বলে মনে হয় না। পাহাড় সমান টার্গেট থাকলে চাপ পড়তে বাধ্য। দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১২২ রানের বিশাল ব্যবধানে হার হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন ভারতের।
প্রথম ওয়ান ডে ভারতের ব্যাটিং খুবই খারাপ হয়েছিল। মাত্র ১০০ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল ভারতের ইনিংস। দ্বিতীয় ওয়ান ডে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। ওপেনিং জুটিতেই ১৩০ রান যোগ করে অজিরা। কেরিয়ারের অভিষেক ওয়ান ডে ম্যাচে অল্পের জন্য হাফসেঞ্চুরি করতে পারেননি অজি ওপেনার জর্জিয়া ভল। টার্গেট কম হওয়ায় তাঁর হাফসেঞ্চুরি হয়নি। কেরিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তেই বিধ্বংসী সেঞ্চুরি। ৮৭ বলে ১০১ রানে ফেরেন জর্জিয়া। আর এক ওপেনার লিচফিল্ড ৬০ রানে ফেরেন। দুই ওপেনারকেই ফেরান সাইমা ঠাকোর।
তিনে নামা এলিস পেরি মাত্র ৭৫ বলে ১০৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। বেথ মুনি করেন ৫৬। টপ ফোরে দুটি সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরি। শেষ দিকে ভারতীয় বোলাররা নিয়মিত উইকেট নেন। ততক্ষণে অনেক অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৭১-এর বিশাল স্কোর গড়ে অস্ট্রেলিয়া।
প্রিয়া পুনিয়ার চোট, বোর্ডে বিশাল টার্গেট। বিধ্বংসী কিপার-ব্যাটার রিচা ঘোষকে ওপেন করানো হয়। ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ৯ রানেই ফেরেন। তিনে নামা হরলীন দেওল ১২। ভারতের ইনিংসে একমাত্র হাফসেঞ্চুরি রিচা ঘোষের। ৫৪ রান করেন তিনি। এ ছাড়া জেমাইমা রডরিগজ (৪৩) ও মিন্নু মানি অপরাজিত ৪৬ রান করেন। ৪৪.৫ ওভারে ২৪৯ রানেই অলআউট ভারত। তিন দিন পর তৃতীয় ওয়ান ডে-তে মুখোমুখি হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। যদিও হোম টিম ইতিমধ্যেই সিরিজ জিতে নিয়েছে।