India T20 WC Champion: সূর্য উঠল বার্বাডোজে, কাপকাহিনিতে সেরা রোহিত-বিরাটের ভারত

ICC MEN’S T20 WC 2024: তখনও আশা-আশঙ্কা কাজ করছে। হবে, নাকি হবে না? মার্কো জেনসেনকে বুমরা ক্লিন বোল্ড করে পাকাপাকি খেলায় ফিরিয়ে দিলেন। প্রোটিয়াদের হাত থেকে আবার রাশ ফিরল রোহিতের হাতে। তবু কি টেনশন ছিল না? কিলার মিলার ক্রিজে। শেষ ওভারে দরকার ১৬। বোলারের নাম? হার্দিক পান্ডিয়া।

India T20 WC Champion: সূর্য উঠল বার্বাডোজে, কাপকাহিনিতে সেরা রোহিত-বিরাটের ভারত
Image Credit source: TV9 Bangla Graphics
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 30, 2024 | 12:29 AM

অভিষেক সেনগুপ্ত

শান্তাকুমারন শ্রীসন্থ ইদানীং কমেন্ট্রি করেন। ফাইনালের দিনও তাঁকে হরভজন সিংয়ের পাশে বসে ১৭ বছর আগের সেই ক্যাচের গল্প করছিলেন। মিসবা উল হকের ক্যাচটা ধরেছিলেন কোচির ছেলেই। শ্রীসন্থের সেই ক্যাচ নিয়ে আলোচনা আর তেমন নাও হতে পারে। নতুন ক্যাচার পেয়ে গেল যে ভারত! হার্দিক পান্ডিয়ার ফুলটস বল উড়ছে তো উড়ছে। ছয়ই হবে হয়তো! আর হলে ম্যাচ আবার ঢলে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। ফিনিশার হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কিলার মিলার। ঠিক তখনই সূর্য উঠল বার্বাডোজে। ব্যাট হাতে কিছু করতে পারেননি। কিন্তু ‘আসল’ ক্যাচটা তিনিই ধরলেন। বাকিটা ইতিহাস।

জীবনভর একটাই আক্ষেপ লালনপালন করেছেন রাহুল দ্রাবিড়। ফাইনালে উঠেও বিশ্বকাপ জেতা হয়নি তাঁর। ২০০৩ সালের সেই হতাশা কাটেনি ঘরের মাঠে। কোচ হিসেবে শেষ স্টেশনে দাঁড়িয়ে হাসছিলেন রাহুল। সেই হাসিতে মুছে যাচ্ছিল কষ্ট। একটা টিম, একটা প্রজন্ম বিশ্বকাপ জেতায়। কপিল দেব- সুনীলগাভাসকররা পেরেছিলেন। ধোনি-সচিনরা পেরেছিলেন। রোহিত-বিরাটরা পেরেছিলেন। বিশ্বকাপ এর আগে জিতেছেন বিরাট। বিশ্বকাপ এর আগেও জিতেছেন রোহিত। কিন্তু জুটি বেঁধে এই প্রথম। কেরিয়ারের একেবারে শেষ প্রান্তে এসে।

আক্ষেপ তাঁর একার ছিল? বিশ্বের সেরা ব্যাটার। ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। কিন্তু গত কয়েক মাস স্রেফ সমালোচনা নিতে হয়েছে। বিশ্বকাপেও কি তার প্রভাব পড়েছিল? তাই হবে হয়তো। রানের ধারেকাছে ছিলেন না। এমনকি একটাও হাফসেঞ্চুরি নেই। ফাইনালটা বেছে নিলেন মঞ্চ হিসেবে। হয়তো আগেই ঠিক করে ফেলেছিলেন। এটাই হবে তাঁর শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ৫৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা। পুরস্কার নিতে উঠে বলে দিলেন, আর খেলবেন না এই ফর্ম্যাটে। বিদায় বেলায় ভারতকে দিয়ে গেলেন কাপের তৃপ্তি।

কাঁদছেন রোহিত শর্মা। বারবার ফাইনালে এসে থমকে যায় টিম। এক বছরে তিনটে ফাইনাল। আগের দুটোতে হার। এ বার আর মাথা নিচু করে ফিরল না রোহিতবাহিনী। অর্শদীপ সিং কাঁদছেন। চোখ ভিজে গিয়েছে জাডেজা-বুমরা-হার্দিকদের। সাফল্য এমনই হয়। অনেক যন্ত্রণা বেরিয়ে আসে সাফল্যের কান্না হয়ে।

১৭৭ রানের লক্ষ্য। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ম্যাচ কখনওই খুব বেশি ভাবার ফুরসত দেয় না। সাপ-লুডোর নিরন্তর খেলা যেন চলছে। এই গেল-গেল রব। এই এল-এল স্বস্তি। ৩০ বলে ৩০ রান দরকার। সহজ হিসেব। স্বপ্ন খুব কাছে। স্রেফ উইকেট রাখো, সিঙ্গলস খেলো, ম্যাচ বের করো। কে জানত, হার্দিক ব্রেক থ্রু দিয়ে যাবেন। হেনরিক ক্লাসেন তখন বিস্ফোরক, আগ্রাসী। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অক্লান্ত মেরে যাচ্ছেন ছয়। ২৭ বলে ৫২ করে ফেলেছেন। তাঁকেই ফিরিয়ে দিলেন হার্দিক।

তখনও আশা-আশঙ্কা কাজ করছে। হবে, নাকি হবে না? মার্কো জেনসেনকে বুমরা ক্লিন বোল্ড করে পাকাপাকি খেলায় ফিরিয়ে দিলেন। প্রোটিয়াদের হাত থেকে আবার রাশ ফিরল রোহিতের হাতে। তবু কি টেনশন ছিল না? কিলার মিলার ক্রিজে। শেষ ওভারে দরকার ১৬। বোলারের নাম? হার্দিক পান্ডিয়া।

এক বছরে তিনবার ফাইনালে উঠেছে ভারত। বিশ্ব টেস্ট ফাইনাল, ওয়ান ডে বিশ্বকাপ, তারপর এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগের দু’বার ফাইনালের দরজা থেকে ফিরতে হয়েছে। কিন্তু এ বার? ভারত টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৭৬-৭ তুলেছিল। সারা বিশ্বকাপে নিরাশ করেছেন বিরাট কোহলি। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে তিনিই নায়ক। রোহিত শর্মা (৯), ঋষভ পন্থ (০), সূর্যকুমার যাদব (৩) পর পর ফিরে যান। কিন্তু বিরাটকে টলানো যায়নি। যেন ফাইনালই বেছে নিয়েছিলেন দিল্লির ছেলে ফর্মে ফেরার জন্য। দুরন্ত ইনিংস খেলে গেলেন। ৫৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে গেলেন। ফাইনালেই এ বারের বিশ্বকাপের প্রথম হাফসেঞ্চুরি। ৬টা চার ও ২টো ছয় দিয়ে সাজালেন ইনিংস। ওয়ান ডে বিশ্বকাপেও হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। এ বারও তাই। বিরাটের সঙ্গে অক্ষর প্যাটেলের পার্টনারশিপটাই টিমকে বড় রানে পৌঁছে দিল।

ভারত ১৭৬-৭ (২০ ওভারে)

দক্ষিণ আফ্রিকা ১৬৯-৮ (২০ ওভারে)

অক্ষরকে নিয়ে যাই বলা হোক না কেন কম। যখনই প্রয়োজন পড়ে টিমের, তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হয়। নিরাশও করেন না। এই ম্যাচেও তাই করে দেখালেন। হার্দিক পান্ডিয়ার আগে পাঠানো হল তাঁকে। টিম তখন ৩৪-৩। সেখান থেকে বিরাটের সঙ্গ দিলেন। ৩১ বলে ৪৭ করে গেলেন। চাপের মুখে স্কোরবোর্ড সচল রেখেছিলেন। ১টা চার মেরেছেন ঠিকই, কিন্তু ব্যাট থেকে বেরিয়েছে ৪টে নিখুঁত ছয়। তাঁর আগ্রাসনের সামনেই চাপে ছিল প্রোটিয়া বোলাররা। অক্ষর আউট হওয়ার পর রানের গতি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বিরাট। শিবম দুবে ১৬ বলে ২৭ করে গেলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার কেশব মহারাজ ৩ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নিলেন ২ উইকেট। রোহিত ও পন্থকে এক ওভারে ফিরিয়ে ভারতের ভিত প্রায় নড়িয়ে দিয়েছিলেন মহারাজ। অনরিখ নর্টজে অবশ্য সেরা বোলার প্রোটিয়াদের। ৪ ওভার বল করে ২৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। মার্কো জেসন, কাগিসো রাবাডা ১ উইকেট করে নিলেও একটু বেশিই রান খরচ করেছেন।

১৩৫ বছরের ইতিহাস। নির্বাসনের দগদগে ঘা। এ সব যদি উপেক্ষাও করা যায়, কী পড়ে থাকে? ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়। আর শুধুই শূন্যতা। দলা পাকানো কান্না আর মাথা নিচু করে চলে যাওয়া। সমস্যাকীর্ণ এই জাতিটাকেই তো দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল চোকার্স বলে! ক্যাচ ফেলে হারিয়ে যায়। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কেঁপে যায়। বড় মঞ্চ দেখলেই শুকিয়ে যায় গলা। ৩২ বছরের বিশ্বকাপ অপেক্ষার অবসান আর হল না। এইডেন মার্কব়্যামও পারলেন না। ১৭৭ রানের লক্ষ্য নিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু ওই যে, ঠোঁট আর কাপের ফারাকটা আজও মেটাতে পারলেন না। ক্লাসেন, ডি’কক খেললেন বটে, কিন্তু শেষ করতে পারলেন না। ৭ রানে ফাইনাল হেরে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।

বিরাটের একটা ইনিংস। সূর্যর একটা ক্যাচ। বুমরা-হার্দিকের একটা স্পেল। টিম মানে তো অনেক মুহূর্তের সমষ্টি। রোহিতের ভারত সব অঙ্ক মেলাতে পারল। খুব যত্ন করে।

লাদাখে দুর্ঘটনার কবলে 'অজেয়', মৃত্যু ৫ সেনা জওয়ানের
লাদাখে দুর্ঘটনার কবলে 'অজেয়', মৃত্যু ৫ সেনা জওয়ানের
চিকিৎসকের অকাল মৃত্যু, ময়নাতদন্ত না করেই তড়িঘড়ি দাহ করা হল কেন?
চিকিৎসকের অকাল মৃত্যু, ময়নাতদন্ত না করেই তড়িঘড়ি দাহ করা হল কেন?
কারা কারা এলেন রুক্মিনীর জন্মদিনের বিশেষ পার্টিতে?
কারা কারা এলেন রুক্মিনীর জন্মদিনের বিশেষ পার্টিতে?
দুয়ারে নতুন মহামারি, চিন্তা বাড়ছে, সাবধান হোন আজই!
দুয়ারে নতুন মহামারি, চিন্তা বাড়ছে, সাবধান হোন আজই!
গণধোলাইয়ের সুযোগ পেলে হাত গরম করতে কেউই বাদ যাচ্ছেন না আজকাল
গণধোলাইয়ের সুযোগ পেলে হাত গরম করতে কেউই বাদ যাচ্ছেন না আজকাল
রাস্তার ধারের তন্দুরি খাচ্ছেন? শরীর শেষ হয়ে যেতে পারে...
রাস্তার ধারের তন্দুরি খাচ্ছেন? শরীর শেষ হয়ে যেতে পারে...
অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্করের কপালে পিণ্ড কি টিউমার?
অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্করের কপালে পিণ্ড কি টিউমার?
'অপারেশন সানশাইন' থেকে বর্তমান উচ্ছেদ অভিযান―হকারদের প্রশ্ন একটাই...
'অপারেশন সানশাইন' থেকে বর্তমান উচ্ছেদ অভিযান―হকারদের প্রশ্ন একটাই...
'লাভ জিহাদ' প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সোনাক্ষী, কীভাবে দিলেন জবাব?
'লাভ জিহাদ' প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সোনাক্ষী, কীভাবে দিলেন জবাব?
পরপর তিনবার পুষ্পকের সফল পরীক্ষা সারলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা
পরপর তিনবার পুষ্পকের সফল পরীক্ষা সারলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা