IPL 2022: নো, ওয়াইড বলের ক্ষেত্রেও কি ডিআরএস থাকা উচিত?
আম্পায়ারিং নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আইপিএলে। নো, ওয়াইড বলের ক্ষেত্রে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তাঁরা, যা বিরুদ্ধে যাচ্ছে কোনও না কোনও টিমের। এ ক্ষেত্রেও কি ডিআরএস নেওয়া উচিত?
মুম্বই: নো-বল, ওয়াইড বল নিয়ে চরম বিতর্ক দেখা দিয়েছে আইপিএলে (IPL 2022) । খুব জটিল পরিস্থিতিতে এমন কিছু নো বা ওয়াইড বলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আম্পায়াররা, যা নিয়ে বিতর্ক হওয়ার পাশাপাশি কোনও না টিমকে খেসারত দিতে হয়েছে। কেকেআর (KKR) বনাম রাজস্থান রয়্যালস (RR) ম্যাচেও তা-ই হয়েছে। শেষ ২ ওভারে জেতার জন্য ১৮ রান দরকার ছিল কলকাতা নাইন রাইডার্সের। আম্পায়ার নীতিন পণ্ডিত ওই সময় তিনটে ওয়াইড দিয়েছিলেন। যা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসন। আর তাতেই অ্যাডভান্টেজ পেয়ে যায় শ্রেয়স আইয়ারের টিম। সঞ্জু সে সময় এতটাই বিরক্ত হন যে, ওয়াইড বলে হয়েছে কিনা, তা নিয়ে রিভিউ নিয়েছিলেন। আর তার পরই প্রশ্ন উঠছে, নো আর ওয়াইড বলও কি ডিআরএসের আওতায় আসা দরকার? নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন ড্যানিয়েল ভেট্টোরি ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার ইমরান তাহির কিন্তু তাই মনে করছেন।
রাজস্থানের কোচ ভেট্টোরির কথায়, ‘কেকেআর ওই পরিস্থিতিতে জেতার মতো জায়গায় ছিল। কিন্তু আমাদের টিম এই রকম কঠিন পরিস্থিতিগুলোর ক্ষেত্রে বারবার দেখেছি, বোলারদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত যাচ্ছে। খুব সূক্ষ্ম সিদ্ধান্তগুলো নিতে ভুল আম্পায়ারের। আর সেই কারণেই মনে হচ্ছে, ওয়াইড আর নো-বলের ক্ষেত্রে রিভিউ নেওয়ার সুবিধা থাকা উচিত। যাতে এইরকম ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার কিছুটা সুযোগ থাকে। এ সব ক্ষেত্রেও ডিআরএস থাকলে সুবিধা। আমি দেখেছি কী ঘটেছে। প্লেয়াররা কিন্তু ডিআরএস নেওয়া উচিত কিনা, সে ব্য়াপারে অধিকাংশ সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়।’
ক্রিকেটের নিয়ম বলছে, ওয়াইডের সিদ্ধান্ত মাঠের দুই আম্পায়ারই নেন। তার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলা যায় না। কিন্তু রাজস্থান শুধু ওয়াইড নয়, নো-বল বিতর্কেও জুড়ে রয়েছে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচেই শেষ ওভারে নাটক হয়েছিল। জেতার জন্য ৩৬ দরকার ছিল দিল্লির। রোভম্যান পাওয়েল শেষ ওভারে পর পর তিনটে ছয় মেরে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তৃতীয় ছয়টা কোমরের থেকে উঁচু বলে মেরেছিলেন কিনা, তা নিয়েই বিতর্ক দেখা দেয়। আম্পায়ার নো দেননি। দিল্লির ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্থ টিম তুলে নিতে চেয়েছিলেন। ব্যাপক বিতর্ক ওঠে যা নিয়ে।
ইমরান তাহির বলছেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমনিতে বোলারদের হাতে কার্যত কিছুই থাকে না। ব্যাটাররা যখন মারতে শুরু করে তখন বোলারদের ওয়াইড ইয়র্কার দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। সেই বল যদি ওয়াইড হয়ে যায়, তা হলে বোলারই সমস্যায় পড়ে। আর সেই কারণেই এই রকম সিদ্ধান্তগুলো কঠিন হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে ডিআরএস থাকলে সমস্যা কোথায়? আম্পায়ার সিদ্ধান্ত জানানোর পর কিন্তু ভীষণ হতাশ দেখিয়েছিল সঞ্জুকে। ৫০-৫০ ছিল ওটা। রিভিউ নেওয়ার মতো জিনিস।