ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মেগা অকশনের আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। অকশনে নাম লেখানো ক্রিকেটাররা সুযোগ পেলেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের চেষ্টা করছেন। এই মুহূর্তে ভালো পারফর্ম করা মানে দর বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ। অনেক দলই ভাবতে বাধ্য হবে। অস্ট্রেলিয়ার বাঁ হাতি তরুণ পেসার স্পেন্সার জনসন তেমনই একজন। ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁর পাঁচ উইকেটের সৌজন্যেই রুদ্ধশ্বাস জয় অজিদের। সিরিজও জিতে নিলেন তাঁরা। পাশাপাশি আইপিএল অকশনের আগে দরও বাড়িয়ে নিলেন।
আইপিএলের গত সংস্করণে মিনি অকশনে মিচেল স্টার্ককে প্রায় ২৫ কোটি টাকায় নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এ বার অবশ্য তাঁকে রিটেন করেনি। স্টার্কের বিকল্প হিসেবে কেকেআরের রাডারে রয়েছেন আর এক অজি বাঁ হাতি তরুণ পেসার স্পেন্সার জনসন। গত বারও তাঁকে নেওয়ার ট্রাই করেছিল কেকেআর। মাত্র ৫০ লক্ষ টাকার বেস প্রাইস ছিল। যদিও স্টার্ককে নিতে অনেক খরচ হয়ে যাওয়ায় জনসনকে নেওয়া হয়নি। গুজরাট টাইটান্স ১০ কোটি টাকায় নিয়েছিল স্পেন্সরকে।
এ বারও অকশনে রেজিস্টার করেছেন অজি বাঁ হাতি পেসার স্পেন্সার। বেস প্রাইস ২ কোটি টাকা। মেগা অকশনে অবশ্য অনেক প্লেয়ার নেওয়ার ব্যাপার থাকে। ফলে কোনও টিমই এক প্লেয়ারের জন্য বিশাল অঙ্ক খরচ করতে নারাজ। বিকল্পও অনেক। কেকেআর তাঁকে টার্গেট করতেই পারে। কেকেআরের পরিকল্পনায় আরও বেশি করে জায়গা করে নেবে তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজেও ভালো বোলিং করেছিলেন। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে এ দিন ৪ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিলেন। আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের প্রথম ফাইফার।
কেকেআরের রিটেনশন লিস্ট- আন্দ্রে রাসেল (১২ কোটি), সুনীল নারিন (১২ কোটি), রিঙ্কু সিং (১৩ কোটি), বরুণ চক্রবর্তী (১২) হর্ষিত রানা (৪ কোটি), রমনদীপ সিং (৪ কোটি)।