জিম্বাবোয়ে সফরে প্রথম বার জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন কেকেআরের তরুণ পেসার হর্ষিত রানা। প্রথম দু-ম্যাচের জন্য শেষ মুহূর্তে স্কোয়াডে যোগ করা হয়েছিল। খেলার সুযোগ হয়নি। শ্রীলঙ্কা সফরে তাঁকে ওয়ান ডে স্কোয়াডে রাখা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে, প্রথম ম্যাচেই অভিষেক হতে চলেছে তাঁর। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে নজর কেড়েছেন। কলকাতা নাইট রাইডার্স বোলিংয়ের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছেন হর্ষিত। গত মরসুমে টিমে মিচেল স্টার্কের মতো পেসার থাকলেও স্লগ ওভারে বাড়তি ভরসা রাখা হয়েছিল হর্ষিত রানার উপরই। ভরসার মর্যাদা রেখেছেন। নতুন বলে যেমন নজর কেড়েছেন, তেমনই স্লগ ওভার বোলিংয়েও। তবে একটা কারণেই নয়, হর্ষিত রানাকে খেলানোর নানা যুক্তি রয়েছে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে নজর কাড়ার পর গত এমার্জিং এশিয়া কাপে ভারতের স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছিলেন হর্ষিত। অনূর্ধ্ব ২৩ দল পাঠিয়েছিল ভারত। সাই সুদর্শন, হর্ষিত রানার মতো তরুণরা ছিলেন। বোলিংয়ে পাশাপাশি লোয়ার অর্ডার ব্যাটিংয়েও ভরসা দিয়েছিলেন হর্ষিত রানা। লম্বা স্পেলে বোলিং করতে পারেন। র-পেস বলতে যা বোঝায়, হর্ষিত রানার সেটাই রয়েছে। পিচ থেকে মুভমেন্ট আদায় করে নেন। বোলিংয়ে বৈচিত্রও রয়েছে।
ওয়ান ডে স্কোয়াডে পেস বোলিং অলরাউন্ডার বলতে রয়েছেন শিবম দুবে। তবে তাঁর বোলিংয়ের গতি পেসারের মতো নয়। হর্ষিত রানার বোলিং যতটা ভালো ব্যাটিংয়েও দক্ষতা রয়েছে। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ৭ ম্যাচে করেছেন ৩৪৩ রান। ব্যাটিং গড় ৪৯! যে কোনও স্পেশালিস্ট ব্যাটারের মতোই। অনেকের চেয়ে ভালো বলা উচিত। ১টি সেঞ্চুরি এবং হাফসেঞ্চুরিও রয়েছে। সাদা বলের ক্রিকেটে অবশ্য খুব বেশি ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। লিস্ট এ ক্রিকেটে মাত্র ৭ ইনিংস ব্যাটিং পেয়েছেন। করেছেন ৬৮ রান। টি-টোয়েন্টিতে ৩ ইনিংস। তবে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ব্যাটিং পারফরম্যান্সই প্রমাণ করে তাঁর দক্ষতা।
হর্ষিতের মূল ভূমিকা অর্থাৎ বোলিংয়ের ক্ষেত্রে আসা যাক। লিস্ট এ (ঘরোয়া ওয়ান ডে) ক্রিকেটে ১৪ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়েছেন হর্ষিত। ম্যাচে সেরা বোলিং ১৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট। ইকোনমি মাত্র ৫.৫৪। পাওয়ার প্লে এবং স্লগ ওভারে বোলিং করা একজন পেসারের জন্য খুবই ভালো ইকোনমি। গত মরসুমে কেকেআরে গৌতম গম্ভীরের মেন্টরশিপে খেলেছেন। জিজি তাঁকে ভালো ভাবেই চেনেন। কতটা ভরসা করেন, তা নতুন করে বলার প্রয়োজন পড়ে না।