ওয়াংখেড়ের পিচে চতুর্থ ইনিংসে কতটা রান তাড়া করা সম্ভব, এ যেন খুবই কঠিন প্রশ্ন। পিচে টার্ন রয়েছে। বাউন্সও। স্পিনাররা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন প্রথম দিন থেকেই। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনও স্পিনারদেরই দাপট। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে করা ২৩৫ রানের জবাবে ভারত করে ২৬৩ রান। প্রথম ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ লিডের পরও খুব একটা স্বস্তিতে থাকা যাচ্ছে না। দ্বিতীয় দিনের শেষে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ১৭১-৯। দিনের শেষ ওভারে ম্যাট হেনরির উইকেট নেন জাডেজা। সব মিলিয়ে নিউজিল্যান্ডের লিড ১৪৩। তৃতীয় দিন সকালে আর কোনও রান যোগ না করতে দিলেও ভারতকে ১৪৪ রান তুলতে হবে। যা এই পিচে জলভাত নয়। এর জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে গ্লেন ফিলিপসকেও।
পুনের মতো টার্নিং পিচ। তারপরও অবশ্য দুই পেসারেই কম্বিনেশন সাজিয়েছে দু-দল। নিউজিল্যান্ড দুই পেসার খেলাচ্ছে। সঙ্গে ড্যারেল মিচেলের মতো মিডিয়াম পেসার অলরাউন্ডার রয়েছেন। পেসার ম্যাট হেনরিকে ৮ ওভার বোলিং করানো হলেও উইল ও’রুরকিকে মাত্র ২ ওভার ব্যবহার করানো হয়। ফিল্ডিং করতে করতে তিনিও হয়তো ভাবছিলেন, কেন তাঁকে খেলানো হচ্ছে! এ দিন দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেশনে ১৪ উইকেট পড়েছে। এর মধ্যে পেসার আকাশ দীপের ঝুলিতে এক উইকেট।
ভারত প্রথম ইনিংসে আরও একটু লিড হয়তো নিতেই পারত। যদিও শুভমন গিল আউট হতেই বাকি রানটা কার্যত বোনাস হয়ে দাঁড়ায়। নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস আজই শেষ হয়ে যেতে পারত। দিনর শেষ ওভারে এক উইকেট পড়ে। আর একটু সময় পেলে আজই নিউজিল্যান্ডকে অলআউট করার সুযোগ ছিল। রবীন্দ্র জাডেজা যে বোলিংটা করছিলেন তাতে প্রত্যাশা করাই যায়।
দ্বিতীয় ইনিংসে কিউয়ি ব্যাটারদের মধ্যে হাফসেঞ্চুরি উইল ইয়ংয়ের। তবে গ্লেন ফিলিপসের কথা আলাদা করে বলার কারণ, বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন তিনি। ১ বাউন্ডারি এবং ৩টি ওভার বাউন্ডারি মারেন। প্রথম ইনিংসে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে দাপট ছিল জাডেজা এবং সুন্দরের। দ্বিতীয় ইনিংসে জাডেজার ঝুলিতে চার, অশ্বিনের তিন। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ফাইফারের সুযোগ রয়েছে জাডেজার। এর জন্য তৃতীয় দিনের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের শেষ উইকেটটা নিতে হবে।