ভারতের মাটিতে টেস্টে ভারতকে তিন ম্যাচের সিরিজে ক্লিনসুইপ? এই ভাবনা দূর-অস্ত। সিরিজ শুরুর আগে কেউ ভেবেছিল নিউজিল্যান্ড ২-০ এগিয়ে থাকবে? পরিস্থিতি এমনই। এ বার সীমানা। ভারতের মাটিতে একের বেশি টেস্টের সিরিজে একমাত্র ১৯৯৯-২০০০ মরসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছিল। কিন্তু দুই ম্যাচের বেশি সিরিজে? কেউ কোনও দিন না। এ বার সেই সীমানা পেরোতে মরিয়া নিউজিল্যান্ড। আর ভারতীয় দল ‘প্রস্তুত’ তাদের আটকাতে।
শুধুমাত্র দলের মর্যাদাই নয়। ভারতের নজরে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালও। আর সে কারণেই ওয়াংখেড়েতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে জয় খুবই জরুরি। শুধুমাত্র জরুরি বললেও বোধ হয় কম হয়। মরন বাঁচনও বলা যায়। একটা হার মানে অনেকটা দূরে চলে যাওয়া। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবলে ভারত শীর্ষে থাকলেও ফাইনালের দৌড়ে রয়েছে সব মিলিয়ে পাঁচটি দল। একটা হার মানে সুযোগ শেষের দিকে।
প্রথম দু-টেস্টেই ভারতের সবচেয়ে বেশি অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যাটিং। বেঙ্গালুরুতে সিরিজের প্রথম টেস্টের কথাই ধরা যাক। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৬ রানেই অলআউট ভারত। অথচ একই পিচে রানের পাহাড় গড়েছে নিউজিল্যান্ড। আরও অস্বস্তি পুনেতে স্পিন সহায়ক পিচে। নিউজিল্যান্ডকে দ্রুত অলআউট করলেও তার সুযোগ নিতে ব্যর্থ ভারতীয় ব্যাটিং বিভাগ। অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো, ধৈর্যের অভাব এবং অপ্রয়োজনীয় শট খেলে প্রতিপক্ষকে ১০০-র উপর লিড দেওয়া। সেখানেই কার্যত ম্যাচটা ভারতের হাত থেকে বেরিয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ কম ছিল।
যাবতীয় ভুলভ্রান্তি শুধরে, ঘুরে দাঁড়ানোতেই নজর ভারতীয় দলের। আর এতে বাড়তি দায়িত্ব থাকবে ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা ও সিনিয়র ব্যাটার বিরাট কোহলির উপর। এই দু-জনের ব্যাট চললে, টিমের বাকিরাও আত্মবিশ্বাস পাবে। সেই লক্ষ্যেই নতুন ম্যাচ, নতুন শুরু।
ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড, সকাল ৯.৩০, স্পোর্টস ১৮ ও জিও সিনেমায় সম্প্রচার