কলকাতা: তাঁর ছোঁয়ায় এক লহমায় পাল্টে গিয়েছে নাইটদের সংসার। ক্যাপ্টেন থাকা সময় ঠিক এটাই করেছিলেন। দায়িত্ব নিয়েই টিমের খোলনলচে পাল্টে ফেলেছিলেন। দীর্ঘদিন পর আবার কেকেআরের ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন। গৌতম গম্ভীর টিমের মেন্টর হওয়ার পর থেকে মানসিকতাই পাল্টে গিয়েছে বেগুনি জার্সির। যে কোনও প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে কথা বলছেন নাইটরা। ঘরের মাঠে জয় দিয়ে শুরু। বাইরের মাঠে পর পর দুটো ম্যাচে জয়। টানা তিন ম্যাচ জিতে চেন্নাইয়ে পা রেখেছে গম্ভীর। মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) সিএসকের (CSK) বিরুদ্ধে তাঁর যুদ্ধ বহু পুরনো। ২০১২ সালে চেন্নাইয়েই প্রথম বার আইপিএল খেতাব জিতেছিল কেকেআর। এ বারও হলুদবাহিনীর ঘরের মাঠে জয় ছাড়া আর কিছু ভাবছে না কেকেআর।
কয়েক ঘণ্টা পরেই ম্যাচ। তার আগে গম্ভীর বলে দিচ্ছেন ২০১২ সালের কথা, ‘আমি জিততে চেয়েছিলাম। এই ভাবনা ছাড়া আর কিছু ছিল না আমার মাথায়। বন্ধুত্বে দু’তরফেই সম্মান থাকে। কিন্তু সব কিছু উপরে থাকে জয়ের ভাবনা। যখন কেউ মাঠে থাকে, তখন এটা ছাড়া আর কিছু ভাবে বলে মনে হয় না। আমি কেকেআরের ক্যাপ্টেন ছিলাম, ধোনি ছিল সিএসকের নেতা। ধোনিকে জিজ্ঞেস করুন, ও-ও কিন্তু একই কথা বলবে। জয়ই পেতে চায় সবাই। ধোনি ভারতের সবচেয়ে সফল ক্যাপ্টেন। আমার মনে হয় না, ওর জায়গায় কেউ পৌঁছতে পারবে।’
চেন্নাইয়ে শুধু সিএসকে নয়, ধোনির মস্তিষ্ক এবং ফিনিশার ধোনির বিরুদ্ধেও খেলতে হবে কেকেআরকে। এটা মাথায় রেখেই গম্ভীর বলছেন, ‘ধোনি কিন্তু ট্যাক্টিকাল মানসিকতা সব সময় ধরে রাখে, বিশেষ করে আইপিএলে। অঙ্কের হিসেবে ও সব সময় মাস্টার। খুব ভালো করে জানে, স্পিনারদের কী ভাবে কাজে লাগাতে হয়। স্পিনার বিরুদ্ধে কেমন ফিল্ডিং দরকার, সেটা ওর থেকে ভালো আর কেউ জানে না। সেই সঙ্গে কখনও হাল ছেড়ে দেয় না। ৬ কিংবা ৭ নম্বরে ও যখন ব্যাট করতে নামে, আমরা ভালো করে জানি ক্রিজে যতক্ষণ ও আছে, ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারে।’