কলকাতা: বাইশ গজে যখনই মুখোমুখি হয় ভারত-পাকিস্তান, দুই দেশের ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে প্রায়শই লেগে যায় ধুন্ধুমার। এই মেগা ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় দিন গুনতে থাকেন ক্রিকেট প্রেমীরা। ভাবুন তো, হঠাৎ করেই যদি আর কখনও দুটো দল ২২ গজে মুখোমুখি না হয়, তা হলে কী হবে? আইসিসির ইভেন্ট ছাড়া ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের সাক্ষাৎ হয় না। এ বার যদি সেটাও না হয়, তা হলে দুই দেশের ক্রিকেট প্রেমীদের মন ভাঙবে। পঁচিশে রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy 2025)। ওই টুর্নামেন্টের আয়োজক পাকিস্তান। এ বার সে দেশে এই টুর্নামেন্ট খেলতে ভারতীয় ক্রিকেট টিম যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই। তারপর শোনা গিয়েছে, পাকিস্তানেও পরিকল্পনা চলছে যে, ভারতে আর ভবিষ্যতে সে দেশ থেকে খেলতে আসবেন না সেখানকার ক্রিকেটাররা।
নিউজ এজেন্সি এএফপির রিপোর্ট অনুযায়ী, পাক সরকার বারবার জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের স্বার্থে রাজনীতিকে খেলাধুলার সঙ্গে মেশানো উচিত নয়। কিন্তু ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সে বিষয়ে সায় মিলছে না। তাই পাকিস্তানের সরকার এ বার ভাবছে ভারতের বিরুদ্ধে খেলার ব্যাপারে বিধিনিষেধ জারি করা হবে। সে দেশের সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, পিসিবিও ভারতের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের ম্যাচ না খেলা ও ভবিষ্যতে ভারতে টিম না পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে ভারত বয়কটের ডাক দিতে চলেছে পাকিস্তান।
আগামী বছর থেকে ২০৩১ সাল অবধি, এই ৭টা বছরে ভারতের মাটিতে আইসিসির ৪টি বড় ইভেন্ট হওয়ার কথা (২০২৫ সালে রয়েছে মেয়েদের ওডিআই বিশ্বকাপ, ২০২৬ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ, ২০২৯ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, ২০৩১ সালের ওডিআই বিশ্বকাপ)। যদি এই ৪টি টুর্নামেন্ট খেলতে ভারতে টিম না পাঠায় পাকিস্তান, তা হলে অর্থনৈতিক দিক থেকে ক্ষতি হবে আইসিসির। আর্থিক দিক থেকে লাভবান হওয়ার আশায় যে কোনও আইসিসির টুর্নামেন্টে ভারত ও পাকিস্তানকে এক গ্রুপে রাখা হয়। এ বার যদি পাকিস্তান ভারত বয়কট করে, তা হলে ক্রিকেট প্রেমীদের আইসিসি টুর্নামেন্টের উপর আগ্রহ কমে যেতে পারে। আর তেমনটা হলে সম্প্রচারকারী চ্যানেলগুলোও আইসিসি টুর্নামেন্ট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। আইসিসির বিপুল আয়ের অন্যতম বড় উৎস ভারত ও পাকিস্তান ম্যাচ। ২২ গজে এই ম্যাচে রেকর্ড দর্শক আসেন। আর সেখানে এই ম্যাচই যদি আর না হয়, তা হলে আইসিসির আয় কমে যাবে। এবং যার ফলে বিশ্ব ক্রিকেটের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।