IPL 2022: আনসোল্ড থেকে সেঞ্চুরি, ইডেনে বাদশা হয়ে উঠলেন ইন্দোরের রজত
আইপিএলের মেগা নিলামে টিমই পাননি তিনি। লুভনিথ সিসোদিয়ার চোট না লাগলে আইপিএলই খেলা হত না। সেই তিনিই কিনা আনক্যাপড ক্রিকেটার হিসেবে প্লে-অফে সেঞ্চুরি করে রেকর্ড করে ফেললেন। কে এই রজত পাতিদার?
কলকাতা: ওপেনার না হওয়া সত্ত্বেও আইপিএলে সেঞ্চুরি? এমন উদাহরণ খুব বেশি নেই। ৮ বছর আগে, ২০১৪ সালে এই শহরেরই ছেলে ঋদ্ধিমান সাহা আইপিএল ফাইনালে সেঞ্চুরি করেছিলেন। তার পর ওপেনার নন, এমন কারও সেঞ্চুরি দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হল আইপিএলকে। ইডেনেই ফুল ফোটালেন। ফুলঝুরি ছোটালেন ইন্দোরের ছেলে। হালফিলে মাঠে নামলেই কথা বলছিল তাঁর ব্যাট। কঠিন সময়ে, জটিল পরিস্থিতিতে, টিমের সিনিয়ররা যখন চরম ব্যর্থ, তখন ২৮ বছরের ছেলে আশ্চর্য সেঞ্চুরি করে গেলেন। এতেই কি শেষ? না! প্রথম আনক্যাপড ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএল প্লে-অফে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড করে ফেললেন রজত পাতিদার (Rajat Patidar)। তাঁর ছক্কার ফোয়ারা, চারের বন্যা দেখে কে বলবে, এ বারের আইপিএলের শুরুতে টিমে সুযোগই পাচ্ছিলেন না। ৪৯ বলে ১০০ করলেন। ১১টা চার, ৬টা বিশাল ছক্কায় মাতিয়ে দিয়ে গেলেন আসর। সব মিলিয়ে ৫৪ বলে নট আউট ১১২ করলেন। মারলেন ১২টা চার ও ৭টা ছয়। স্ট্রাইক রেট ২০৭.৪০। ফাফ দু প্লেসি ফিরেছেন, বিরাট কোহলি ফিরেছেন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও জমাতে পারলেন না আসর। তাতে কী, রজতই হয়ে উঠলেন ইডেনের বেতাজ বাদশা!
কে এই রজত পাতিদার? গত বছরও আইপিএল খেলেছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে। মধ্যপ্রদেশের ক্রিকেটারকে বেস প্রাইস ২০ লক্ষ টাকায় কিনেছিল আরসিবি। খেলেছিলেন মাত্র চারটে ম্যাচ। সব মিলিয়ে ছিল ৭১ রান। গড় ১৭.৭৫ রান। কে জানত সেই তিনিই এমন আশ্চর্য ইনিংস খেলে যাবেন? বলা উচিত, কে জানত, এ বারের আইপিএলে তিনি পা দেবেন? মেগা নিলামে অবিক্রিত থেকে গিয়েছিলেন আরসিবির লুভনিথ সিসোদিয়া চোটে ছিটকে যাওয়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে মোটামুটি অভিজ্ঞ একজনকে তুলতে চেয়েছিল আরসিবি। রজতকেই আবার ফেরানো হয়। এই প্রত্যাবর্তন যে এমন ঝলসানো হবে, তা বোধহয় তিনিই ঠিক করে রেখেছিলেন।
Just a reminder that Rajat Patidar is a replacement for Luvnith Sisodia. pic.twitter.com/5aGuz81l7s
— Guddu pandit ? (@vkholic18) May 25, 2022
আরসিবির ১৫০ পার করা বেশ কঠিনই দেখাচ্ছিল। লখনউ সুপার জায়েন্টের বিরুদ্ধে প্লে-অফে বিরাট কোহলির টিমকে নড়বড় দেখাচ্ছে। সেখান থেকেই একাই খেলা ঘুরিয়ে দিলেন রজত। রবি বিষ্ণোইয়ের এক ওভারে ২৬ রান নেওয়া থেকে টিমকে অবলীলায় বড় টার্গেটের দিকে নিয়ে যাওয়ার কাজটা দুর্দান্ত করেছেন রজত। ১৫ ওভারের শেষে ১২৩-৪ ছিল আরসিবি। সেখান থেকে শেষ ৫ ওভারে, ৩০ বলে ৮৪ তুলল টিম। সৌজন্য রজত।
ম্যাচের ব্রেকে রজত বলছিলেন, ‘আমার টাইমিংটা খুব ভালো হচ্ছিল। আর তাই গ্যাপে শট নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। উইকেটটাও ভালো ছিল। তাই কাজটা কিছুটা সহজ হয়ে গিয়েছিল। তবে আমি নিজের সেঞ্চুরির কথা ভাবিনি। ফোকাস করেছিলাম টিমকে একটা ভালো জায়গায় পৌঁছে দিতে, যাতে ম্যাচটা আমরা জিততে পারি।’