রঞ্জি ট্রফির এ মরসুমে বাংলা কোনও ম্যাচে হারেনি। তেমনই কোনও ম্যাচে জেতেওনি। প্রথম জয়ের খোঁজে বাংলা। রঞ্জি ট্রফির পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে খেলছে বাংলা। ইন্দোরে প্রথম দিন ছিল হতাশার। তবে দ্বিতীয় দিন মহম্মদ সামির অনবদ্য় বোলিংয়ে বাংলা ম্যাচে ফেরে। প্রথম ইনিংসে মাত্র ২২৮ রানে অলআউট হওয়ার পর মধ্যপ্রদেশের ওপেনিংয়েই সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ। বাংলার ঘুরে দাঁড়ানো খুবই কঠিন ছিল। সেই কঠিন কাজটা করে দেখিয়েছেন সামি। তবে ম্যাচ জেতার ক্ষেত্রে বাংলার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন হিমাংশু মন্ত্রী ও শুভ্রাংশু সেনাপতি।
প্রথম ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ লিড নেওয়ায় বাংলা অ্যাডভান্টেজে ছিল। প্রয়োজন ছিল দ্বিতীয় ইনিংসে বড় রান করে লিড বাড়ানো। সেই লক্ষ্য পূরণেও অবদান রাখলেন সামি। দ্বিতীয় দিনের শেষে ক্রিজে ছিলেন ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় ও ঋদ্ধিমান সাহা। ঋত্বিক হাফসেঞ্চুরি করেন। গত ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করা ঋদ্ধিমান করেন ৪৪ রান। বাংলার লিড আরও বাড়ানো প্রয়োজন ছিল। আর এখানেই কামাল করলেন মহম্মদ সামি।
টেস্ট ক্রিকেটে দুটো অনবদ্য ইনিংস রয়েছে। সামির ব্যাটিংয়ের হাত যে ভালো, তা সকলেরই জানা। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে বিধ্বংসী রূপ ধারন করেন। মাত্র ৩৬ বলে ৩৭ রানের ইনিংস! দুটি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন। স্পিনার কুমার কার্তিকেয়র বোলিংয়ে স্টেপ আউট করে স্টাম্প আউট হন। নয়তো হাফসেঞ্চুরির দিকেই এগচ্ছিলেন। শেষ অবধি ২৭৬ রানে অলআউট বাংলা।
সামির শেষ দিকের ইনিংসের সৌজন্যে মধ্যপ্রদেশকে ৩৩৮ রানের বড় টার্গেট দিয়েছে বাংলা। ম্যাচের এখনও প্রায় দেড় দিন বাকি। তবে মধ্যপ্রদেশের ওপেনিং জুটি ইতিমধ্যেই ৪৫ পেরিয়েছে। বাংলার চাপ বাড়ছে, বলাই যায়। কারণ, এরপর রজত পাতিদার, মিডল অর্ডারে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের মতো ব্যাটারও রয়েছেন।