দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। অপেক্ষা। সেই পুরনো রোহিত শর্মাকে ফিরে পাওয়ার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই যেন হারিয়ে গিয়েছিল রোহিতের সেই দাপট। মাঝে মধ্যে জ্বলে উঠেছেন। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। বিশেষ করে ঘরের মাঠে নিউজিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ক্লিনসুইপ হওয়া। রোহিতের ব্যাটিং ও ক্যাপ্টেন্সি দুই স্ক্যানারে ছিল। অস্ট্রেলিয়ায় বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম টেস্টে ছিলেন না রোহিত। দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ফেরেন। রান করতে পারছিলেন না। যার জেরে সিডনি টেস্টে সরে দাঁড়ান ক্যাপ্টেন। দেশে ফিরে রঞ্জি ট্রফিতে এক ম্যাচ খেলেন। তাতেও রান আসেনি। এমনকি ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ান ডে-তেও ব্যর্থ হয়েছিলেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে চিন্তা বাড়ছিল রোহিতের ফর্ম নিয়ে। অবশেষে চিন্তা অনেকটাই কমল। কটকে দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তে সেঞ্চুরি।
বিরাট কোহলি ফেরায় এ দিন ভারতের ব্যাটিং লাইন আপে পরিবর্তন করতে হয়। বাদ পড়েন গত ম্যাচেই অভিষেক হওয়া বাঁ হাতি ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। ভাইস ক্য়াপ্টেন শুভমন গিল গত ম্যাচে তিনে ব্যাট করেছিলেন। এ দিন ক্যাপ্টেন রোহিতের সঙ্গে ওপেনিংয়ে ফেরেন। আর কটকে রোহিত যেন নিজেকে নতুন করে খুঁজে পেলেন। সময় খারাপ যেতেই পারে। ফর্মও। ক্লাস যে পার্মানেন্ট। সেটা ভালো করেই বুঝিয়ে দিলেন রোহিত শর্মা।
নিশ্চয়ই ভাবছেন এই টাউ টাউ বিষয়টা কী? কটকে ম্যাচ। ওড়িশার চলিত ভাষায় টাউ টাউ-এর অর্থ তাড়াতাড়ি। রোহিতের সেঞ্চুরিটা অবশ্যই টাউ টাউ। মাত্র ৭৬ বলেই সেঞ্চুরি করলেন রোহিত শর্মা। এর মধ্যে ৯টি বাউন্ডারি, ৭টি ওভার বাউন্ডারি। সেঞ্চুরিও পূর্ণ করলেন ছয় মেরেই। তাও আবার আদিল রশিদের ডেলিভারিতে ইনসাইড আউট শটে। চ্যাম্পিয়নরা যে চ্যাম্পিয়নের মতোই কামব্যাক করেন, দেখিয়ে দিলেন রোহিত শর্মা।