কলকাতা: বিরাট কোহলি (Virat Kohli) কি ফুরিয়ে গেলেন? বিরাট কোহলির ব্যাট জবাব দেওয়া কি বন্ধ করে দিল? ক্রিকেট মহলে এই নিয়ে আলোচনা চলছেই। এ বারের বিশ্বকাপে (T20 World Cup) বিরাট কোহলি ৬ ম্যাচে ৬৬ রান করেছেন। যার মধ্যে ২টি ম্যাচে শূন্যেও ফিরেছিলেন বিরাট কোহলি। এই কোহলি অনেকের অপরিচিত। রানমেশিনের ব্যাটে কেন চলছে রানের খরা? খাতা-পেন নিয়ে বিশ্লেষণে নেমে পড়েছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। একদল ক্রিকেট প্রেমী যখন বিরাটের ফর্ম নিয়ে চিন্তায়, তাঁর অপর এক দল অনুরাগী আবার মনে করাচ্ছেন নকআউট ম্যাচে কোহলি বরাবর হিরে ফলিয়েছেন। কে বলতে পারে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও (দ্বিতীয় সেমিফাইনালে) তেমনই এক ইনিংস হয়তো লোড হচ্ছে বিরাটের ব্যাটে। ভারতের প্রাক্তন ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার তো জানিয়েছেন, বিরাটের কাছে সুযোগ রয়েছে ধোনির মতো নায়ক হয়ে ওঠার।
বিশ্বকাপের সম্প্রচারকারী চ্যানেল স্টার স্পোর্টসে সঞ্জয় বাঙ্গার জানিয়েছেন, ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে ধোনির একট ইনিংস কত কিছু বদলে দিয়েছিল। আরসিবির প্রাক্তন ব্যাটিং কোচ মনে করেন, ধোনি যা করেছিলেন সেই বিশ্বকাপে, এ বার তা করে দেখাতে পারেন বিরাট কোহলি। তিনি বলেন, ‘বড় ম্যাচে অনেক কিছু হতে পারে। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে ধোনির কাছেও টুর্নামেন্ট দুর্দান্ত কিছু ছিল না। কিন্তু ফাইনালে দলের প্রয়োজনে যখন ধোনি একটা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল, সব বদলে গিয়েছিল। বিরাট কোহলির ক্ষেত্রেও সেটা হতে পারে।’
নিজেও বিরাট প্রবল ভাবে রানে ফিরতে চান। এমনটাই মনে করেন সঞ্জয় বাঙ্গার। তাঁর কথায়, ‘বিরাটের নিজের থেকে অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। ও অনুশীলনে সেই চেষ্টাটা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রবল ভাবে রানে ফিরতে চাইছে। আমরা এর আগে যখনই ভেবেছি ওর ব্যাটে তো বড় রান আসছে না, ঠিক তখনই ও সকলকে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে চমকে দিয়েছে। ওর সেট হওয়ার জন্য ৫-১০টা বল চাই। তারপর ওর অবদান আমরা সকলেই দেখতে পাব।’
ধোনি ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে ৭৯ বলে ৯১ রান করেছিলেন। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে তাঁর ম্যাচ জেতানো ছক্কা নিয়ে আজও চর্চা হয়। সে বার দ্বিতীয় বিশ্বকাপ এসেছিল ভারতের ঝুলিতে। বিরাট কোহলি কি পারবেন এ বারের টি-২০ বিশ্বকাপে ধোনি হয়ে উঠতে? ভারতের অন্যান্য ম্যাচের মতো বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালেও ক্রিকেট প্রেমীদের বাড়তি নজর থাকবে কিং কোহলির দিকে।